ছন্নছাড়া জীবন

শার্টের বোতাম খুলে 

হাঁটছি রাজপথ ধরে,
গন্তব্য কোথায় জানি না, জানে না অন্তর্যামী
কাল বৈশাখীর ঝড়ে বেপরোয়া বাতাস গায়ে মেখে
আজ মাতাল হাওয়া হয়ে গেছি আমি।

এখন আমার সামনে পেছনে
কোনো অতীত নেই, নেই কোনো ভবিষ্যতের
সোনালি হাতছানি,
অনিশ্চিত এই ভবঘুরে বাউন্ডুলেপনার
একাই আমি দোসর, একাই আমি অভিমানী।

সারা দিন বিবেকের ধারে আঁচড়কাটা সময়
ক্ষতবিক্ষত করে অনুদ্দিষ্ট পথের স্রোতে
ভাসিয়ে নিয়ে যায় অজানার আলপথ ধরে,
শ্মশানের ভূত আমার গতিরোধ করে দাঁড়ায়
সরীসৃপের মতো বুকে ভর করে ।

জনশূন্য পথে তক্ষকের ভয়ে
থামবে কি এই পথ চলা?
অরণ্যের গভীরে বিপৎসংকুল দিনে
দেখি শুধু মৃত্যুর কাফেলা ।

তুষার আবৃত মৈনাক শিখর চূড়ায়
শুভ্র মেঘে উষ্ণতার ব্যর্থ আয়োজন,
রাতের অন্ধকারে পথিকের শুধু পথ ভাঙার শব্দ
ক্ষ্যাপা বাউলের হাতে মরমি একতারা
থেমে গেছে সুর, থেমে গেছে বিরহী রোদন ।

চারিদিকে ঘোর অমাবস্যার সূর্য ঢাকা আলো
বেপরোয়া এই ছন্নছাড়া জীবন, সেই তো অনেক ভালো।