খাসোগির বিষয়ে সিনেটের অবস্থান প্রত্যাখ্যান সৌদির

সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক বাণিজ্য ও সামরিক চুক্তির দোহাই দিয়ে বারবারই দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক বাণিজ্য ও সামরিক চুক্তির দোহাই দিয়ে বারবারই দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে মার্কিন সিনেটে প্রস্তাব পাসের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। সিনেটে একই সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধেরও প্রস্তাব পাস করা হয়। সিনেটে পাস করা এ দুটি প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটাকে ‘অসত্য অভিযোগের’ ভিত্তিতে ‘হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে।

আজ সোমবার সকালে বিবিসি অনলাইন ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার সিনেটে পাস হওয়া দুটি প্রস্তাব প্রতীকী এবং এটা আইন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এর মাধ্যমে মার্কিন আইনপ্রণেতারা সৌদি নীতির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক বার্তা দিলেন।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মার্কিন সিনেটের সবশেষ অবস্থানের ব্যাপারে নিন্দা প্রকাশ করছে। অসত্য অভিযোগের ভিত্তিতে এ অবস্থান নেওয়া হয়েছে এবং সৌদি আরব এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

তবে সৌদি বিবৃতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

মার্কিন কংগ্রেসের কোনো কক্ষে এই প্রথমবার কোনো ভোটে ‘১৯৭৩ ওয়ার প্রটেক্ট অ্যাক্ট’–এর অধীনে সামরিক যুদ্ধ থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের সম্মতি প্রকাশ করা হয়। ৫৬-৪১ ভোটে তা পাস হয়।

বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা না থাকা এই প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি ইসলামি চরমপন্থী ছাড়া ইয়েমেন যুদ্ধে সম্পৃক্ত মার্কিন সব বাহিনীকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

এরপর সিনেট জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে সর্বসম্মতিক্রমে এক প্রস্তাব পাস করে। প্রস্তাবে এ হত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে সৌদি আরবের জবাবদিহির ওপর জোর দেওয়া হয়।

সিনেটের এ পদক্ষেপে ভেটো দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রস্তাবটি এ সময় প্রতিনিধি পরিষদে পাসের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এই পদক্ষেপের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স আশা প্রকাশ করেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয় লাভ করা ডেমোক্র্যাটরা জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিলে এই প্রস্তাব পাসের সুযোগ তৈরি হবে।