মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণার বর্ণনা তাজুল মোহাম্মদের

পাঠশালা’র দশম আসরে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চারণ-গবেষক ও লেখক তাজুল মোহাম্মদ
পাঠশালা’র দশম আসরে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চারণ-গবেষক ও লেখক তাজুল মোহাম্মদ

দর্শন-শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠশালা’র দশম আসরটি হয়ে গেল ১৫ ডিসেম্বর, এগলিন্টন স্কয়ার টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরিতে। বিজয় দিবস সামনে রেখে সাজানো হয় আসরটি। এবারের আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চারণ-গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য রচনার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০১৫’ প্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ।
উল্লেখ্য, গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিক থেকে অদ্যাবধি, চার দশক ধরে, চারণের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে, ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য, ইতিহাস তুলে এনে তাজুল মোহাম্মদ রচনা করেছেন ৫৫টি গ্রন্থ।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার সাধনপুর গ্রামে জন্ম তাজুল মোহাম্মদের। শিক্ষা ও চাকরিজীবন বৃহত্তর সিলেটেই। ১৯৭১ এ দক্ষিণ কুলাউড়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, কুলাউড়ায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে (৭৪-৭৭), সিলেট জেলা খেতমজুর সমিতির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (৮২-৯২), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য (৮৪-৯২), বালাগঞ্জ উদীচীর সহসভাপতি ও খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সহসভাপতি ও দুটোরই জাতীয় পরিষদের সদস্য তিনি। তাজুল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সফল খেতমজুর আন্দোলন হয়েছে সিলেটের এওলারটুক, চারখাই এবং বালাগঞ্জে। তাজুল বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাজুল মোহাম্মদ কুরিয়ার হিসেবে কাজ করেন।
তাজুল মোহাম্মদ রচিত প্রায় সব বইই মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ-সংগঠক, প্রত্যক্ষদর্শী, সহায়তাকারীদের বয়ানে গণহত্যা, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, আলবদর-রাজাকার-আল শামসের নারকীয় কর্মকাণ্ড, গবেষক হিসেবে নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা, নিজে দেখা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি ঠাঁই পেয়েছে বইগুলোতে। আর ছয়-সাতটি বই মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার নানা ঐতিহাসিক সংগ্রামে ও সমাজ-জীবনে ভূমিকা রাখা আলোকিত ব্যক্তিত্বের ওপর। সদ্য প্রয়াত তারামন বিবির ওপর ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি, বীরপ্রতীক’ শিরোনামে তাঁর লেখা একটি বই আছে।
বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজুল মোহাম্মদের লেখালেখি শুরু আশির দশকের শুরুতে। রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম বৈরিতা, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হুমকি, যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির অপ্রতুলতা—এসবের মধ্যেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে, সাপ্তাহিক ‘সচিত্র সন্ধানী’তে ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেন সিলেটের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে- ‘সিলেটে গণহত্যা’; যা পরে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে। ‘সিলেটে গণহত্যা’ বইটি দিয়ে দেশজুড়ে পরিচিত হন লেখক তাজুল মোহাম্মদ। এরপর একটানা লিখে গেছেন।
চারণ-গবেষক তাজুল মোহাম্মদ ঘুরেছেন গ্রামে, জনপদে। মিশেছেন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে। বাস্তবতা থেকে আহরণ করেছেন তথ্য। ১৯৮০ থেকে এ কাজ করে চলেছেন তিনি। ঘরে বসে বইপত্র, পত্র-পত্রিকা থেকে তথ্য আহরণ নয়, একেবারে উৎসের কাছাকাছি ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ। এর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে তাঁর অনেকগুলো গ্রন্থ। ধীমান গবেষক তাজুল মোহাম্মদ তৃণমূল পর্যায়ে অতি শ্রমসাপেক্ষ তথ্যানুসন্ধানের কাজে রয়েছেন একনিষ্ঠভাবে ব্রতী। এ কাজগুলো করতে গিয়েই তাঁর জীবনে আসে হুমকি। বাধ্য হন ১৯৯৫ সালে প্রবাস জীবন বরণ করে নিতে। বর্তমানে তিনি কানাডার মন্ট্রিয়েল প্রবাসী।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সাহিত্য প্রকাশের কর্ণধার মফিদুল হক বলেন, ‘চারণের মতো ঘুরে ঘুরে আঞ্চলিক ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় তাজুল মেলে ধরেছেন সবার কাছে। তাঁর প্রতিটি গ্রন্থ সরেজমিন অনুসন্ধান, বহু মানুষের সঙ্গে আলোচনা এবং বিবিধ উপায়ে তথ্য আহরণের ফসল। ফলে তাঁর গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধ জানা-বোঝার জন্য হয়ে ওঠে অপরিহার্য। তাজুল কোনো আরাম কেদারাশ্রয়ী গবেষক নন, তিনি চারণের মতো ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন তথ্য, অতীত ঘটনার অংশী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ও কথোপকথনের মাধ্যমে দাঁড় করান ইতিহাসের ভাষ্য এবং এভাবে তাঁর প্রণীত প্রতিটি গ্রন্থ হয়ে ওঠে অনন্য ও বিশিষ্ট।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ১৯৯৫ সালে, ইংল্যান্ডের টোয়েন্টি টোয়েন্টি টেলিভিশন নির্মিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইলে’ তাজুল মোহাম্মদের তৃণমূল গবেষণা তথ্যগুলো বিশেষভাবে সংযোজিত হয়। হাওয়ার্ড ব্রাডবার্ন এর পরিচালনায় ও রিপোর্টার ডেভিড বার্গম্যানের রিপোর্টিংয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় তথ্যচিত্রটি। ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইল’ টিমে তাজুল যুক্ত হন গবেষণা কাজে।
আসরের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পাঠশালার আসরে তাজুল মোহাম্মদ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আলাপচারিতায় যোগ দেন পাঠশালার সমন্বয়ক, লেখক-অনুবাদক ফারহানা আজিম শিউলীর সঙ্গে। এই একান্ত আলোচনায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সবগুলো গ্রন্থ রচনার সার কথা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের অভিজ্ঞতা, প্রতিনিয়ত বৈরিতা মোকাবিলার কথা।
তাজুল বলেন, তিনি পরিকল্পিতভাবে কিছু শুরু করেননি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রায় কিশোর বয়স থেকে এবং কর্মজীবনে বৃহত্তর সিলেটের নানান জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। সেই সময় এবং ৭৫ পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকার সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারেন মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের বর্বর সব কাহিনি, দেখতে পান সিলেট জুড়ে অসংখ্য বধ্যভূমি। তাঁর মনে হয়, এ তো একটি কুঁড়ি, দুটি পাতার নয় বরং অগুনতি বধ্যভূমির সমাহার এই সিলেট। তখন থেকে তিনি গণহত্যার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সংগ্রহ করতে শুরু করেন নানা তথ্য-উপাত্ত। ৭ বছরের সংগৃহীত তথ্যের আলোকে রচিত হয় “সিলেটে গণহত্যা” (১৯৮৯, ২০০৫)। আবার ৮৬ থেকে ৯২—এই ৬ বছরের গবেষণা অর্থাৎ মোট ১১ বছরের পরিশ্রমের ফসল আরও দুটি বই: ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মারক’ (১৯৯৭) ও ‘সিলেটের যুদ্ধকথা’ (১৯৯৯)। ওয়ার ক্রাইমস ফাইল টিমের জন্য তাঁর এক বছরের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় দুটি গ্রন্থ: ‘যুদ্ধাপরাধীর খোঁজে নয় মাস’ (২০১২) ও ‘আলবদরের ডায়েরি’ (২০১১)।
তাজুল মোহাম্মদের আলাপচারিতায় জানা যায়, এক সময় সিলেট ছাড়িয়ে প্রায় পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পদচারণা। উত্তরবঙ্গের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে - কুড়িগ্রাম’ (২০০৮), ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক’ (২০১৮), মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত আলী ও তাঁর যুদ্ধ (২০১৬)।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামের ওর‍্যাল হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের এক এসাইনমেন্টে তাজুল ইংল্যান্ডের লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, স্কটল্যান্ডের এডিনবরা, স্পেনের মাদ্রিদ ইত্যাদি এলাকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নেন। সেগুলো সংরক্ষিত আছে সে মিউজিয়ামে। আর সেই তথ্যগুলো সংযোজিত হয় তার ‘আমাদের একাত্তর’ বইয়ে।
তাজুল নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন দুটি বই। এগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে’ (২০০১) ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’ (২০১৪)। ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’র অধিকাংশ লেখাই ‘সিলেট কণ্ঠে’ ‘মুক্তিযুদ্ধের উপাত্ত সংগ্রহ’ কলামে ছাপা হয়।
সেকেন্ডারি রিসোর্সেসের ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন দুটো বই। শিমুল ফোটার ১৬ দিন (২০০৮), মার্চ ১৯৭১ (২০০৭)। এ ছাড়া লিখেছেন, মেজর আবদুস সালেক চৌধুরী বীরউত্তম ও সালদা যুদ্ধ (২০১৮), বিভীষিকাময় একাত্তর (২০১৫), এমন বর্বরতা কখনো দেখেনি কেউ (২০১৮)।
স্বদেশি আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলার সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রাখা বৃহত্তর সিলেটের আলোকিত মানুষদের ওপর তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘সোনার মলাট’ (১৯৯০), ‘বারীণ দত্ত ও সংগ্রামমুখর দিনগুলি’ (২০০৯), ‘গোপেশ মালাকার তাঁর জীবন ও সময়’ (২০১৩), ‘সূর্যমণি দেব জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ (২০১১, সম্পাদিত), ‘সংগ্রামী সাত নারী’ (২০০৯), ‘হেনা দাস জীবন নিবেদিত মুক্তির প্রয়াসে’ (২০০৯), ‘মৃত্যুঞ্জয়ী হিমাংশু শেখর ধর’ (সম্পাদিত, ২০০৬), ‘ড. মীজান রহমান ধ্রুব জ্যোতি তুমি অন্ধকারে’ (২০১৭), ‘প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আজিজ সম্মাননা গ্রন্থ’ (সম্পাদিত, ২০১৩), ‘মৃত্যুহীন প্রাণ আজির উদ্দিন খান’ (২০০৮) ইত্যাদি।
বৃহত্তর সিলেটের সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে রচনা করেছেন ‘সিলেটের দুই শত বছরের আন্দোলন’ (১৯৯৫)। এই বইয়ের বেশ কিছুটা অংশ ‘প্রথম চা শ্রমিক আন্দোলন’ শিরোনামে ইংল্যান্ডের জেসিএসসি এবং ও লেভেলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত।
ভাষা আন্দোলনে সিলেটের সম্পৃক্ততা নিয়ে রচনা করেছেন ‘ভাষা আন্দোলনে সিলেট’’ (১৯৯৪) ও ‘ভাষা সংগ্রামীদের কথা, বৃহত্তর সিলেট’ (২০১৭)।
পাঠশালার পক্ষ থেকে বলা হয়, তাজুল মোহাম্মদ, মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক প্রথম জেনারেশনের গবেষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে গেলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে তাজুল মোহাম্মদদের গবেষণাকর্মের কাছে বারবার যেতে হবে। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে একাত্তরের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি চিত্রিত করেছেন তাজুল মোহাম্মদরা, তাঁদের অক্লান্ত শ্রমের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক ভূমিকার পাশাপাশি তাঁদের সেই সাহসী কাজের অনেকগুলোই এখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে, করছে। তাঁদের মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গ্রন্থগুলো সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থাগার। তাজুল রচিত বিভিন্ন জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাধারার অনুপুঙখ ভাষ্য আঞ্চলিক হয়েও বহন করছে জাতীয় তাৎপর্য, হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক দলিল, যেমন অঞ্চলের তেমনিভাবে জাতিরও বটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিক ইতিহাসের তাৎপর্য অনুধাবনে এবং মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপ্তি, বৈশিষ্ট্য ও পরিসর বুঝতে আগ্রহী পাঠকদের কাছে অপরিহার্য বলেই গণ্য হবে তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রতিটি গ্রন্থ।
তাজুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পূত ইতিহাস মুছে ফেলার সব প্রক্রিয়া যখন সক্রিয়, তখন নতুন প্রজন্মের কাছে ন্যূনতম অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই তার শ্রম সার্থক।
ইতিহাসের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘ইতিহাসবিদদের যা করার কথা ছিল, তাজুল মোহাম্মদ সেটাই নিজ দায়িত্বে কাধে তুলে নিয়েছেন।’
সাক্ষাৎকার ভিত্তিক আলাপচারিতার পর আগত সাহিত্যানুরাগীদের সঙ্গে এক আন্তরিক প্রশ্নোত্তর পর্বে মিলিত হন তাজুল মোহাম্মদ।
পাঠশালার বিজয় দিবসের আসরটি শেষ হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।