পুরোনো সেই দিনের কথা

পুরোনো বন্ধুদের আড্ডা।
পুরোনো বন্ধুদের আড্ডা।


বন্ধু আসে বন্ধু যায়। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে এখনো সক্রিয় আছেন যাত্রাবাড়ীর বন্ধু কাজল। নতুন–পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সমানতালে মিশে থাকেন তিনি। দীর্ঘদিন পর সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে আবেগে আপ্লুত বন্ধুরা। আড্ডায় মিলিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ের বন্ধুরা। বিকেল পাঁচটা থেকে একে একে পরিচয় ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন উপস্থিত প্রায় ৫০ জন বন্ধু। চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ব্যানারের দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম। আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুরোনো বন্ধুদের আড্ডা’। কিন্তু বন্ধুত্ব কখনো পুরোনো হয় না। তাই কেটে দেওয়া হয়েছে ব্যানারের ‘পুরোনো’ শব্দটি।
ইফতারের পর শুরু হয় সত্যিকারের আড্ডা। একে অপরের খোঁজখবর নিচ্ছেন, স্মৃতিচারণা করছেন, আরও বেশি ঘনিষ্ঠ ও মন খুলে কথা বলছেন বন্ধুরা। সিএ ভবনের পঞ্চম তলায় প্রথম আলোর প্রশিক্ষণকক্ষে সৃষ্টি হলো আবেগঘন পরিবেশ।
প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধুসভার দীর্ঘসময়ের পথচলায় নানা রকম ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লক্ষাধিক বন্ধু। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সামাজিক আন্দোলনে আলোর মিছিলে শামিল হয়েছেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করেছেন। পেশাগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছেন বন্ধুরা। নানা ব্যস্ততার মধ্যেও বন্ধুসভাকে ভুলতে পারেন না বন্ধুরা। তাই নতুন–পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের এই আয়োজন।
পারিবারিক ও পেশাগত কারণে রাজশাহীতে চলে যাওয়ায় ২০০৫ সালের পর বন্ধুসভায় আসতে পারেননি বন্ধু বিপাশা চৌধুরী। তাই দীর্ঘদিন পর সবার সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি তিনি। বন্ধুসভার শুরু থেকে আছেন বন্ধু আশফাকুজ্জামান। তিনি বন্ধুদেরকে আড্ডায় জমিয়ে রাখেন আগের মতোই।
পঞ্চম তলার কক্ষ থেকে বিদায় দিতে কষ্টই হচ্ছিল বন্ধুদের। তাই বাইরে চায়ের আড্ডায় মশগুল হন বন্ধুরা। যাই যাই করেও কেটে গেল আরও একটি ঘণ্টা। রাত ৯টা, তখনো অড্ডা চলছে। বিদায় নিয়ে চলে আসতেই আবারও দেখা হয়ে গেল একযুগের বেশি সময় ধরে বন্ধুসভার হাল ধরে থাকা বর্তমান সভাপতি দন্ত্যস রওশনের সঙ্গে। আগামী জুলাই মাসে বড় পরিসরে বন্ধুদের এমন মিলনমেলা আয়োজনের কথা জানালেন বন্ধুসভার সভাপতি। সেই আয়োজনের আপেক্ষায় আছেন বন্ধুরা।

সাবেক নির্বাহী সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ।