জানা-অজানা ম্যাকেঞ্জি

জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি বেজোস
জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি বেজোস

বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের (৫৪) সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে তাঁর স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের (৪৮) প্রায় ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এবং বিশ্বের শীর্ষ নারী ধনী হয়ে উঠবেন—এই খবর এখন অনেকের জানা। তিনি যে একজন ঔপন্যাসিক, তা–ও জানেন অনেকে। এর বাইরে ম্যাকেঞ্জি সম্পর্কে খুব কমই জানে মার্কিন গণমাধ্যম। কারণ, তিনি নিজেই তাঁর সম্পর্কে খুব কম জানতে দেন বাইরের দুনিয়াকে।

জেফের সঙ্গে ম্যাকেঞ্জির সংসার দীর্ঘ ২৫ বছরের। বিবাহবিচ্ছেদের পর জেফকে তাঁর অর্ধেক সম্পত্তি দিতে হবে ম্যাকেঞ্জিকে। ওই সম্পদ ম্যাকেঞ্জিকে করে তুলবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারী, আর সামগ্রিকভাবে বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।

নিজের লেখালেখি আর চার সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকাকেই বরাবর প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন ম্যাকেঞ্জি। নিজেকে সব সময় বইপড়ুয়া অন্তর্মুখী স্বভাবের বলে চিত্রিত করেন তিনি। জেফ এর উল্টো। বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ম্যাকেঞ্জিকে এখনো কোথাও দেখতে পাননি গণমাধ্যমকর্মীরা। অথচ জেফকে এক পার্টিতে দেখা গেছে ফক্স টিভির সাবেক অনুষ্ঠান সঞ্চালক লরেন সানচেজের সঙ্গে। মার্কিন গণমাধ্যমের গুঞ্জন, সানচেজের সঙ্গেই এখন প্রণয়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন জেফ।

শুরু থেকেই পুরোদস্তুর একজন সাহিত্যিক হতে চেয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। ছয় বছর বয়সে শিশুতোষ গল্পের বই দ্য বুক ওয়ার্ম দিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু। ১৯৯২ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। নোবেল বিজয়ী লেখিকা টনি মরিসন ছিলেন সেখানে তাঁর শিক্ষক। ম্যাকেঞ্জির লেখা বই দ্য টেস্টিং অব লুথার অলব্রাইট (২০০৫) ও ট্র্যাপস (২০১৩) সমালোচকদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

জেফ বেজোসের সঙ্গে ম্যাকেঞ্জির প্রথম দেখা ১৯৯২ সালে। জেফ তখন নিউইয়র্কভিত্তিক বিনিয়োগ কোম্পানি ডি ই শর ভাইস প্রেসিডেন্ট। চাকরির জন্য সেখানে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। সেই থেকে পরিচয়, এরপর প্রেম, তিন মাসের মধ্যে বাগদান। ১৯৯৩ সালে বিয়ে হয় তাঁদের, জেফ তখন ৩০ বছরের যুবক, ম্যাকেঞ্জির সদ্য ২৩ পেরিয়েছে। পরের বছরই সিয়াটলের ভাড়া বাসায় দুজনের সংসার শুরু। ওই বছরই জেফ প্রতিষ্ঠা করেন আমাজন। সেই আমাজন এখন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান। তবে ম্যাকেঞ্জি জনসমক্ষে এসেছেন কমই।