খান টিউটোরিয়ালের নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ

ইভান খানের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা
ইভান খানের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা

খ্যাতনামা টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠান খান টিউটোরিয়াল গত সপ্তাহান্তে তাদের বাৎসরিক লিডারশিপ (নেতৃত্ব) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করেছে। সাটপিন বুলেভার্ডের প্রধান কার্যালয়ে এ লিডারশিপ প্রশিক্ষণে খান টিউটোরিয়ালের উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষকেরা অংশ নেন। এ প্রশিক্ষণে শিক্ষা সহযোগিতার মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কমন কোর পরীক্ষা, রিজেন্ট পরীক্ষা, এসএটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য বিস্তারিত আলোচনা হয়। খান টিউটোরিয়াল কমিউনিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের যেকোনো জিজ্ঞাসার সঠিক জবাব দিতে পারে।
খান টিউটোরিয়ালের কমন কোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইসরাত হক বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছি। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছে। এবারে খান টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় আরও ভালো করার জন্য আশাবাদী। গত বছর ১০৩২ জন শিক্ষার্থী খান টিউটোরিয়াল থেকে ৪/৪ স্কোর করেছে। এ সাফল্য বজায় রেখে তারা আরও এগিয়ে যেতে চান বলে বলেছেন।
হাই স্কুল অ্যাচিভমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স তাস্নীম ইমাম খান বলেছেন, এবারের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আরও বেশি উৎফুল্ল। ১০ম এবং ১১ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা খান টিউটোরিয়াল ফিরে এসেছে। তারা সামনের এসএটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণটি নতুন আসা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
খান টিউটোরিয়ালের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী ডা. ইভান খান বলেছেন, ‘প্রতি বছরই আমরা এ ধরনের একাধিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকি। এ প্রশিক্ষণের ফলে তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, তারা আরও বেশি কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ হতে পারে।’
নিউইয়র্কের ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস, জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া , সানিসাইড, ওজন পার্ক ও ফ্লোরাল পার্কের ১১টি স্থানে খান টিউটোরিয়ালের শাখা আছে। নিম্ন, মধ্যআয় ও নতুন আসা অভিবাসী পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিশেষায়িত স্কুলে ভর্তির জন্য খান টিউটোরিয়াল ১৯৯৪ সাল থেকে সেবা দিয়ে আসছে এবং তাদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বিশেষায়িত স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।