ট্রাম্প-উন আবার বৈঠকে বসছেন

গত বছর জুনে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের প্রথম বৈঠক হয়। ছবি: এএফপি
গত বছর জুনে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের প্রথম বৈঠক হয়। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের মধ্যে আবারও বৈঠক হতে যাচ্ছে। দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় এই বৈঠক আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে হবে। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা ও দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং-চল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর বৈঠকের এ সময় ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস।

আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, কিম ইয়ং-চল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লেখা কিম জং-উনের চিঠি নিয়ে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিম প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন। তখন থেকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে অগ্রগতি খুব কম। তবে দুই নেতার দ্বিতীয় বৈঠক কোথায় হবে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বৈঠকটি ভিয়েতনামে হতে পারে বলে জোর আলোচনা রয়েছে।

ট্রাম্পকে লেখা কিমের চিঠিতে কী রয়েছে, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। ধারণা করা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বৈঠকের ইস্যুগুলোই ছিল। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

ট্রাম্পের তথ্যসচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনায় অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখছে।

ট্রাম্প-কিমের প্রথম বৈঠকের পর ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক আলোচনা থেমে গেছে। উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি এবং দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

কিম জং-উন বিশ্বব্যাপী তাঁর ভাবমূর্তি বাড়াতে ব্যস্ত। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করেছেন। দুই দেশ সামরিক মুক্ত জোন থেকে তল্লাশিচৌকি সরিয়ে নিয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে একাধিকবার চীন সফর করেছেন কিম জং-উন।

গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের বৈঠকটিকে ঐতিহাসিক বলা হয়, কারণ বহু আলোচনার পর বৈঠকটি অন্তত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে তা খুব কার্যকর কিছু হয়নি। চুক্তিটি ছিল অস্পষ্ট। চুক্তিতে এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য ছিল না।

দ্বিতীয় বৈঠকের ব্যাপারে অনেকে আশা করছেন, সুনির্দিষ্ট কিছু বেরিয়ে আসবে।

প্রথম বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া আর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। যদিও গত বছরের নভেম্বরে দেশটি উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র পরীক্ষা করছে। ওই অস্ত্র পরীক্ষায় বড় ধরনের কোনো হুমকি ছিল না।