ট্রাম্পের চিঠিতে 'মহা সন্তুষ্ট' উন

সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে গত বছরের জুনে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। ছবি: এএফপি
সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে গত বছরের জুনে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পেয়ে ‘মহা সন্তুষ্ট’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

কিম জং-উন তাঁর শীর্ষ সহযোগীদের একজনের সঙ্গে দেখা করার পরে এই মন্তব্য করেছেন। ওই সহযোগী গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের সমঝোতার বিস্তারিত নিয়ে উনকে ওই চিঠি লেখেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন থেকে চিঠিটি ওই সহযোগীর হাতে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

এর আগে চলতি মাসে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আবারও চীনে গিয়েছিলেন কিম জং–উন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতেই চীনে সফর করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। সিঙ্গাপুর প্রথম বৈঠকের আগেও চীনে গিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা কিম ইয়ং চোল। সংবাদমাধ্যম বলছে, কিম ইয়ং চোল কিম জং–উনের খুবই বিশ্বস্ত লোক। তাকে কিমের ‘ডান হাত’ বলা হয়। তিনি দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় আলোচক। সেই সঙ্গে তিনি দেশের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানও। চোল কিম জং–উনের কাছ থেকে আরেকটি চিঠি নিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য। পরে ট্রাম্পের চিঠি নিয়ে আসেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি বৈঠক করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং–উন। এর আগে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে কথা বলেন দুই বিশ্বনেতা। তবে সে বিষয়ে এতটা সময় পরে খুব সামান্য অগ্রগতিই হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কিম জং–উন বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাবের বিষয়ে বিশ্বাস রাখি। ধৈর্যের সঙ্গে এবং ভালো আশা নিয়ে অপেক্ষা করছি। একসঙ্গে একটু একটু করে ধাপে ধাপে দুই দেশ লক্ষ্যে পৌঁছাবে।’

ফেব্রুয়ারির বৈঠক কোথায় হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভিয়েতনাম একটি সম্ভাব্য অবস্থান হতে পারে।