ট্রাম্প আমলে দুর্নীতি বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, বৈশ্বিক দুর্নীতির সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবনমন হয়েছে। দুর্নীতির সূচকে ২০১৮ সালে দেশটি ১০০–এর মধ্যে ৭১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

টিআইর প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২২ নম্বরে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কম দুর্নীতির শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে থেকে ছিটকে পড়ল।

টিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ডেনমার্ক। দেশটি ১০০–এর মধ্যে ৮৮ পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, পয়েন্ট ৮৭। এই তালিকায় সব শেষে আছে সোমালিয়া, পয়েন্ট ১০।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন ফরচুন টিআইর বরাত দিয়ে বলেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ছয় ধাপ পিছিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতির ভারসাম্য কমে গেছে, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে টিআই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল এবং লোকরঞ্জনবাদীদের আধিপত্য বাড়ছে, রাজনৈতিক মেরুকরণ হচ্ছে, ঘৃণাবশত বিদ্বেষ বাড়ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন নাগরিকেরা।

টিআই বলেছে, এমন সময়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্যব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার উচ্চপর্যায়ে থাকা ব্যক্তি–নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের এক জরিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১০ নাগরিকের মধ্যে ছয়জনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশ্বাসযোগ্যতা, রাজনৈতিক চুক্তি এবং কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন না।

ম্যানাফোর্টের সাজা স্থগিত

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সাবেক চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টের যে সাজা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার ভার্জিনিয়ার ফেডারেল বিচারক টি এস এলিস এই আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে চলমান অন্য মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখতে চান।

ম্যুলার তদন্ত শেষের পথে

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলার যে তদন্ত চালাচ্ছেন, তা শেষের পথে। সোমবার ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ হুইটেকার এই তথ্য জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ম্যুলারের তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে।

যদিও এই তদন্তের বিষয়ে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে ম্যুলারের কার্যালয়। তদন্ত নিয়ে হুইটেকারই প্রথম মুখ খুলেছিলেন।

হুইটেকার আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি শিগগিরই ম্যুলারের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।’