সমালোচনার তোড়ে ইহুদিবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন ইলহান

ইলহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত
ইলহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে একটি টুইট বার্তা লিখেছিলেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। তাতেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইলহান। নিজের ও বিরোধী—উভয় রাজনৈতিক দল থেকেই নিন্দা-মন্দ শুনতে হয়েছে তাঁকে। শেষে ক্ষমাই চাইলেন ইলহান ওমর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেটিক দলের আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর সম্প্রতি এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইহুদি বিরোধিতা সত্যিই হয়ে থাকে এবং আমি কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, আমার ইহুদি মিত্র ও সহকর্মীরা এই বিষয়ে আমাকে অবগত করেছেন। তাঁদের কারণেই আমি ইহুদি বিরোধিতার যন্ত্রণাদায়ক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে সব ইহুদি-আমেরিকানদের আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’

ইলহান ওমরের জন্মস্থান সোমালিয়া। ওই দেশ থেকে আসা প্রথম আমেরিকান-মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি। ২০১৬ সালে মিনেসোটার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য নির্বাচিত হন এই নারী। অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করে থাকেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত টুইটারে। সেখানে ইলহান একটি বার্তা লিখেছিলেন, যাঁর মূল বক্তব্য ছিল, কিছু গোষ্ঠী ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন রাজনীতিবিদদের অর্থ দিয়ে থাকে। আর এতেই ওঠে নিন্দার ঝড়। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও অন্য ডেমোক্রেটিক নেতারা এই কথায় তীব্র নিন্দা জানান। সমালোচনা করেন বিরোধী রিপাবলিকান দলের নেতারাও। তাঁরা বলছেন, ইলহানের মন্তব্য ইহুদিদের প্রতি জাতিগত ‘বিরোধিতার’ শামিল। এটি অত্যন্ত ঘৃণ্য একটি কাজ।

এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ইলহানের মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এর জন্য তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত। এবং আমি মনে করি না যে, তাঁর ক্ষমা প্রার্থনাও যথেষ্ট হবে।’