সাহিত্যে ব্রেক্সলিট বনাম ক্যানলিট

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের এক্সিট তথা ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সমাজ আজ বিভাজিত। তাঁরা শঙ্কিত তাঁদের জাতিসত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইউরোপীয় পরিচয় থেকে ব্রিটিশ পরিচয়ে ফিরে আসার পর একঘরে হয়ে পড়ার চিন্তায় মিডিয়ার পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী সমাজও আজ উদ্বিগ্ন। বেতার, টেলিভিশন, মঞ্চ, প্রিন্ট মিডিয়া—সবাই আজ বিভাজিত সবখানে। এই বিভাজন ইংরেজি সাহিত্যে ফিরিয়ে এনেছে বিংশ শতাব্দীর সেই ক্ল্যাসিক্যাল মাত্রা— ‘ডিস্টোপিয়া’ তথা দূরকল্প। সাহিত্য সমালোচকেরা নতুন ধারার এই সাহিত্যকে ‘ব্রেক্সিট লিটারেচর’ হিসেবে অভিহিত করলেও লন্ডনের ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ এটিকে ‘ব্রেক্সলিট’ অভিধায় অলংকৃত করে ইংরেজি সাহিত্যে একটি নতুন প্রপঞ্চের উদ্ভাস ছড়িয়েছে। ব্রিটিশ ঔপন্যাসিকেরা অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলছেন ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের কল্পিত বিপন্ন তাঁদের এই সব ‘ডিস্টোপিয়াান’ তথা দূরকল্পী উপন্যাসে। সমকালীন ব্রিটিশ সমাজে পাঠকদের রুচি ও পছন্দেও এসেছে তড়িৎ পরিবর্তন। বিপন্ন ব্রিটেনের আসন্ন সংকটকালকে পুঁজি করে লেখা এই দূরকল্পী উপন্যাসগুলো স্থান করে নিচ্ছে ‘বেস্টসেলার’ তালিকায়। বেশ কিছু উপন্যাস উঠে গেছে ‘ম্যান বুকার ফাইনালিস্ট’ উচ্চতায়।
নিয়তির কী খেলা! ইইউ থেকে ব্রিটেনের এক্সিট প্রেক্ষাপট থেকে জন্ম নিয়েছে ব্রেক্সলিট। ১৮৬৭ সালে কানাডা থেকে এই ব্রিটেনেরই ‘এক্সিট’ পরবর্তীকালে উন্মেষ ঘটেছিল ক্যানলিটের। ১৮৬৭ সালে কানাডা থেকে ব্রিটিশ সরকারের রাজনৈতিক প্রস্থানের পর কানাডীয় জনগণ ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসলেন যুক্তরাজ্যের ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির প্রভাব থেকে। তাঁরা আত্মরক্ষা করতে শিখলেন দেশের দক্ষিণ সীমান্তে থাবা বিস্তারকারী মার্কিন দৈত্যের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে। আত্ম-পরিচয়ের এই উত্থান ১৯৬২ সালে কানাডীয় সাহিত্যে একটি প্রপঞ্চ হিসেবে জন্ম নিয়েছিল। নতুন এই মাত্রা এবং উচ্চতাই আজ ‘ক্যানলিট’ হিসেবে আসীন বিশ্বসাহিত্যের দরবারে। ক্যানলিট ও ব্রেক্সলিট ব্রিটেনের এক্সিটকে কেন্দ্র করে জন্ম নিলেও এই দুইয়ের একটি অপরটির বিপ্রতীপ। দেড় শ বছর আগের ‘এক্সিট’ থেকে জন্ম নিয়েছিল একটি ঔপনিবেশিক শক্তিকে তাড়িয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান পর্ব। আর, আজকে দেড় শ বছর পর একটি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে সেই একই ঔপনিবেশিক শক্তি তথা ব্রিটেনের ‘এক্সিট’ প্রেক্ষাপট থেকে জন্ম নিয়েছে স্বয়ং ব্রিটেনেরই বিপন্ন অস্তিত্ব নিয়ে সামাজিক বিভাজন পর্ব।
ফিরে চলি ব্রেক্সলিট প্রসঙ্গে। ব্রেক্সিট লিটারেচারের কল্পধারার উপন্যাসগুলোর মধ্যে আলি স্মিথ রচিত অটাম (২০১৬) ‘ফার্স্ট গ্রেট ব্রেক্সিট নভেল’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায়। আলি তাঁর উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন ব্রেক্সিটভিত্তিক সামাজিক বিভাজনের একটি চাপা চিত্র। এই চিত্রে উঠে এসেছে গোটা ব্রিটিশ জাতির রাজনৈতিক দৈন্য দশার অবয়ব। এই গ্রন্থে, আলির ভাষায়, ‘সারা দেশের মানুষ ভাবছে কাজটি ঠিক হয়নি। সারা দেশের মানুষ ভাবছে কাজটি ভালোই হয়েছে। সারা দেশের মানুষ ভাবছে আমরা হেরেছি। সারা দেশের মানুষ ভাবছে আমরা জিতেছি।’ সাধারণত একটি দূরকল্পী উপন্যাসে সমাজ কিংবা রাষ্ট্র জনগণের বিপক্ষশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে আটকে থাকে পক্ষের আর বিপক্ষের নিরীহ মানুষ। এই উপন্যাসে একটি গ্রাম দ্বিধাবিভক্ত। গ্রামের অর্ধেক মানুষ বাকি অর্ধেকের সঙ্গে কথা বলে না। গ্রামের মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। একটি অভিবাসী পরিবারের বাড়ির দেয়ালে লিখে রাখা হয়েছে ‘গো হোম’। কাছেই পাহারায় নিয়োজিত আছে সিকিউরিটি ক্যামেরাসহ রক্ষীদল। এই পরিস্থিতির মধ্যে এক শ এক বছর বয়সী স্থানীয় ব্রিটিশ নাগরিক ড্যানিয়েলকে প্রায়ই সেবা দিতে যান প্রতিবেশী অভিবাসী নারী বত্রিশ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এলিজাবেথ। এই সেবার বিনিময় মূল্য শুধুই ভালোবাসা। এলিজাবেথ একদিন দেখলেন সেই বাড়ির ‘গো হোম’ নোটিশের নিচে ‘উই আর অলরেডি হোম থ্যাংক ইউ’ লেখা আরেকটি প্রজ্ঞাপন। প্রাণোচ্ছল এলিজাবেথ আজ তাঁর পাসপোর্ট নবায়ন করতে গেছেন; অপেক্ষা করছেন ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েটিং রুমে। ভেতর থেকে একজন ক্লার্ক এসে জানিয়ে দিয়ে গেলেন তাঁর জমাকৃত ছবি নির্দেশিত স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী না হওয়ার কারণে এলিজাবেথের পাসপোর্ট আর কোনো দিন নবায়ন করা হবে না। প্রাণঘাতী পাসপোর্টটি সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আজ মনে পড়ল, আট বছর বয়সে প্রথম যেদিন দেখা হয়েছিল ড্যানিয়েলের সঙ্গে, সেই দিনের কথা। ড্যানিয়েল বলেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তোমার সঙ্গে দেখা হওয়াতে আমি খুব আনন্দিত।‘ ‘আমরা তো অভিবাসন নিয়ে এই দেশে এসেছি মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে। আপনি শেষ পর্যন্ত বলতে কী বোঝাতে চাইলেন?’ এলিজাবেথ প্রশ্ন করেছিলেন। অপর প্রান্তের জবাব ছিল, ‘প্রাণের বন্ধুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য কখনো কখনো আমাদের চিরকাল অপেক্ষা করতে হয়।’
লেখক আমান্ডা ক্রেইগ তাঁর ‘দ্য লাই অব দ্য ল্যান্ড’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন ব্রেক্সিটের কারণে বিপর্যস্ত তিন সন্তানের জন্মদাতা কুয়েনটিন-লটি দম্পতির হতাশার কথা। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দুজনের কারও চাকরি নেই। মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বাড়ির মালিক হয়েও চাকরি ছাড়া লন্ডন শহরে টিকে থাকা অসম্ভব। স্বামীর জিপার সমস্যা একটি বাড়তি কষ্ট। ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হলেও আর্থিক অক্ষমতার কারণে তাঁদের সেই পথে এগোনোও সম্ভব নয়। বাড়ি বিক্রি করে তাঁরা চলে যেতে বাধ্য হলেন ইংলিশ চ্যানেলের উত্তর পাড়ে ডিভনশায়ারের মতো একটি পল্লি অঞ্চলে। কোনো কোনো সমালোচকের দৃষ্টিতে ‘দেওয়ার ইজ নো মানি’ বাক্য দিয়ে শুরু করা ‘দ্য লাই অব দ্য ল্যান্ড’ই প্রথম দৃষ্টিকাড়া ব্রেক্সিট উপন্যাস।
জ্যাডি স্মিথের ‘দ্য ল্যাজি রিভার’ গল্পের অবয়বে আমরা দেখি একদল ইংরেজ অভিভাবকের হতাশা। তাঁদের দেশে এখন বিদেশি অতিথিরা আগের মতো আর ভিড় জমান না। বাচ্চাদের নিয়ে তাঁরা ছুটি কাটাতে এসেছেন হোটেলে। লেখকের চিত্রকল্পে নদীও যেন আগের মতো আর বয়ে যায় না। রাতে বাচ্চারা ঘুমিয়ে গেলে হোটেলের বারান্দায় আড্ডা বসে অভিভাবকদের। তাঁদের মনে হচ্ছে, ব্রেক্সিটের কারণে গোটা ব্রিটেন দেশটাই যেন ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে।
আমরা তাকিয়ে দেখতে পারি লেখক রাসেল কাস্কের ‘কুডো’ উপন্যাসের পাতায় পাতায় যেখানে ব্রিটেনের ইইউ পরিত্যাগকে তুলনা করা হয়েছে একটি অসফল ডিভোর্সের রূপকল্প হিসেবে। উপন্যাসের নায়িকা ফেয়ে একজন লেখক। তিনি যোগ দিয়েছেন ইউরোপের এক শহরে অনুষ্ঠানরত সাহিত্য সম্মেলনে। এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক, সম্পাদকসহ মিডিয়া–সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীগণ- যাঁরা আগে অনেক হাসিখুশি ছিলেন। তাঁরা আগে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন এবং বক্তাদের প্রতি শ্রবণশীল ছিলেন। ব্রেক্সিটের প্রাক্কালে আজ তাঁদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু এখন বিয়ে, সন্তান, পারিবারিক শান্তি ও দুর্দশা এবং স্বাধীনতা ও সফলতার সত্যিকারের মর্মার্থ। নায়িকা ফেয়ে নিজেও উপলব্ধি করতে পেরেছেন, ডিভোর্সে শান্তি নেই। তিনি পুনরায় বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। লেখক রাসেল তাঁর নায়িকা ফেয়ের মাধম্যে ব্রেক্সিটের কারণে ব্রিটেনের অন্ধকার ভবিষ্যৎকেই হয়তো কল্পনা করেছেন।
২০১৭ সালে প্রকাশিত অলিভিয়া লেইং বিরচিত ‘ক্রুডো’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্নরকম। কাহিনির নায়িকা ক্যাথির বয়স যখন চল্লিশ, তখন তিনি একজনকে ভালোবাসলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন। তার আগ পর্যন্ত তিনি শুধু জিপার খুলেছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার যখন ফ্যাসিবাদের কবলে, সত্য যখন নির্বাসিত, উত্তর মেরুতে বরফ যখন ক্রমশ গলমান, ব্রেক্সিট ঝরে ব্রিটেন পঙ্গু, ঠিক এই সময়ে ক্যাথির চিরস্থায়ীভাবে শুধু একজনের সঙ্গে সহবাস করার মানসে পরিণয়ের সিদ্ধান্তে ব্রেক্সিটের বিপক্ষে লেখকের অবস্থানকে অনায়াসে উন্মোচিত করেছেন পাঠকবর্গ। মন বলে, ভালোবাসা হোক সমস্ত বিভাজনের দুর্গকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রধান হাতিয়ার।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ লেখক মোহসীন হামিদের ‘এক্সিট ওয়েস্ট’ উপন্যাসের কথা। কাহিনিতে তিনি আঁকার চেষ্টা করেছেন ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনে একটি সত্যিকারের সার্বভৌম সরকারের অভাবে সাধারণ মানুষ এবং অভিবাসীদের জীবনে নেমে আসা নানান দুর্দশার চিত্রকথা। ব্রিটেনের একজন গ্রন্থ সম্পাদক ম্যাথিউ জ্যানী ‘ব্রেক্সিট লিটারেচার: অ্যা কোয়াইট ফর্ম অব ডিস্টোপিয়ান ফিকশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে অভিবাসীদের দুর্দশা প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে সমালোচক রাসেল আভিভের ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘দ্য ট্রমা অব ফেসিং ডিপোর্টেশন’ প্রবন্ধের উল্লেখ করেছেন। এই প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের কোনো এক সময় সুইডেন থেকে কিছু অবৈধ অভিবাসীকে অবিলম্বে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলে বহু সংখ্যক কিশোর-কিশোরী খবরটি শোনার সাথ সাথেই ‘রেজিগনেশন সিন্ড্রোম’ রোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
মাইকেল প্যারাস্কসের উপন্যাসে বিধৃত হয়েছে ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের বিধ্বস্ত আর্থসামাজিক চিত্র। এই চিত্রে ব্রিটেনে চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয়; ব্রিটিশ জাতি বেঁচে থাকে ইইউ’র খাদ্য সাহায্যের ওপর। মার্ক বিলিংহ্যামের অপরাধমূলক ‘লাভ লাইক ব্লাড’ উপন্যাসে বেড়ে ওঠে পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস এবং পরিণতিতে শুরু হয় হত্যার রাজনীতি।
একজন সমালোচক আশা করছেন, ব্রেক্সলিট উন্মাদনা নিকট ভবিষ্যতে আমেরিকার সাহিত্যে, হয় তো, ‘ট্রাম্পলিট’ ধারাকে পল্লবিত করবে। উত্তর কোরিয়া ও মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ ইস্যুতে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আরোহণের পর পর ‘ভ্রূণ মোচনের দায়ে নারীদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ’ বলে মন্তব্য করেন। তার পরের সপ্তাহেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মার্গারেট অ্যাটউডের ‘দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেইল’ উপন্যাসটি মার্কিন পাঠকদের চাহিদার কবলে পড়ে যায় এবং আমাজনের টপ টেন বেস্টসেলার তালিকায় উঠে আসে (খবর: দ্য গার্ডিয়ান)। পরে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। এখানে জানান দিয়ে রাখা প্রয়োজন, অ্যাটউডের ‘দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেইল’ একটি দূরকল্পী উপন্যাস, যেটি রচিত হয়েছে একটি কল্পিত মৌলবাদী মার্কিন রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে। এই দেশের সংবিধান অনুযায়ী, শাসকচক্রের প্রতিটি পুরুষের স্ত্রীকে নির্বীজিত করে রাখা হয়। এই সব পুরুষেরা সন্তানের জন্ম দেন অন্য নারীর গর্ভে এবং এই প্রক্রিয়াটি সংসাধিত হয় নিজ স্ত্রীকে সামনে রেখেই।