পাঠক ও লেখক

ঈদসংখ্যা ২০১৩ বাজারে এসেছে। বিভিন্ন পত্রিকা বের করেছে নানাভাবে। ‘প্রথম আলো ঈদ সংখ্যা ২০১৩’ কিনলাম। নানা উপাদানে (জাহানারা ইমামের অন্তরঙ্গ চিঠি, নেলসন ম্যান্ডেলা, উপন্যাস, আত্মজীবনী, সাহিত্য, গল্প, স্মৃতিকথা, কবিতা, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ভ্রমণ, খেলা, চলচ্চিত্র, রান্না, ফ্যাশন) ভরপুর এবারের প্রথম আলো ঈদসংখ্যাকে ফাটাফাটি বিশেষণ দিলে কম হয়ে যাবে। নানা তথ্যসমৃদ্ধ লেখার কারণে সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখার মতো। ধন্যবাদ সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ঈদসংখ্যা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফকে, পাঠকদের এমন একটি সংখ্যা উপহার দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি স্মরণ করছি সাহিত্যের রাজপুত্র হুমায়ূন আহমেদের অনুপস্থিতি। এই মহান লেখকের চলে যাওয়াটা পাঠকদের হূদয়ে যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, তার দাগ কোনো দিন মুছবে না। এই ক্ষতি অপূরণীয়।
ঈদসংখ্যার মতো বড় মাপের সংখ্যাগুলোতে সব সময় বড় বড় লেখকের লেখা ছাপা হয়। যার ঘোষণা আগে থেকে শুরু হয়। পাঠকেরাও তা উপভোগ করেন। কিন্তু কিছু পাঠক আছেন আমার মতো, যাঁরা ভাবেন, ‘ইশ্, যদি এখানে আমার একটি লেখা থাকত।’ কিন্তু এই ইচ্ছাটা অপূর্ণ থেকে যায়। কেননা, এই সুপ্ত বাসনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এসব সংখ্যায় পাঠকদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয় না, যা দুঃখজনক।
উপরন্তু সব লেখকই পাঠক, কিন্তু সব পাঠক লেখক নন। পাঠকদেরও যদি বড় পরিসরে (ঈদসংখ্যা) সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সংখ্যাটি হবে আরও আকর্ষণীয়।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
আলীশারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল।