খাঁটি শুয়োর

ঘোড়ার আস্তাবলে, গোচারণ ভূমিতে শুয়োরের

নগ্ন দৃশ্যে মায়ের ওলানে মুখ লুকায় গো বাছুর,
লোকালয় ছেড়ে যে ঘোড়া আস্তাবলে আশ্রিত ছিল
গরুর স্বভাব অর্জনে আজ সে খাঁটি শুয়োর।

গরু, ঘোড়া আর শুয়োরের সাথে আমি যে মানুষের
পার্থক্যের অঙ্ক কষি তা একেবারে অযাচিত নয়।
আবর্জনায় বেড়ে ওঠা কীটপতঙ্গ বিশুদ্ধতাকে
অশুদ্ধ ভাববে কিংবা খাপ খাইয়ে নেয়া সময়সাপেক্ষ।

মানুষ সময়কে ধারণ করে পরিপক্ক হয়, প্রস্তুত হয়-
পশুত্ব গোছাতে কিংবা মানুষের স্বরূপ অর্জন করতে
আর আস্তাবল, চারণভূমি, আবর্জনা মাড়িয়েছে যারা
মানুষের সাথে দ্বিচারণ নীতিতে- আজ তারাই খাঁটি পশু।