কংগ্রেসে লড়তে চান বাংলাদেশি নাবিলাহ

নাবিলাহ ইসলাম
নাবিলাহ ইসলাম

কংগ্রেস নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাবিলাহ ইসলাম। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নাবিলাহ। বাংলাদেশি অভিবাসী দম্পতির সন্তান নাবিলাহ একজন কমিউনিটি সংগঠক হিসেবে জর্জিয়ায় এরই মধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন।

নির্বাচনে জয়ী হলে মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেবেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক নাবিলাহ ইসলাম। এখন তার প্রাথমিক লক্ষ্য হলো ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতা নিশ্চিত করা। এ আসনে গতবার সামান্য ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী ক্যারোলিন বুরডিওক্স এবারও ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নাবিলাহ যে আসনে প্রার্থী হচ্ছেন, সেই আসনটি বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির দখলে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এই আসনে রিপাবলিকানদের দখলে। গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে মাত্র ৪৩৩ ভোটে পরাজিত করেছিল রিপাবলিকান প্রার্থী। স্বল্প ভোটের ব্যবধানের কারণে এবারে ডেমোক্র্যাট দলের অনেকেই এই আসনে প্রার্থিতার দৌড়ে ছিলেন।
প্রগতিশীল এজেন্ডা নিয়ে প্রার্থিতা ঘোষণা নাবিলাহর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তাঁর প্রতি ভোটারদের সমর্থন জোগাচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বার্নি স্যান্ডার্স ‘সবার জন্য চিকিৎসা’র দাবি তুলেছিলেন। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনেক শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীও এখন এই দাবির প্রতি সরব হয়ে উঠেছেন। নাবিলাহ ইসলামও এই দাবির সঙ্গে একাত্ম।
নাবিলাহর মা খাবার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হার্ডিসের বার্গার টেনেছেন আর অর্ডার সরবরাহকারী হিসেবে বাক্স তুলেছেন। একদিন কাজে গিয়ে পিঠে আঘাত পেয়ে কাজ হারান নাবিলাহর মা। নাবিলাহ বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে আমাদের পরিবার প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। জর্জিয়ার নাগরিকেরা এমন এক কংগ্রেস সদস্যের দাবিদার যিনি তাদের পক্ষে লড়াই করতে তৈরি থাকবেন। আমি এই লড়াইয়ে প্রস্তুত।’
নাবিলাহ ইসলাম ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। আটলান্টা সিটি কাউন্সিলম্যান অ্যান্ড্রি ডিকেনের প্রচার দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া গিনেত কাউন্ট্রি ইয়াং ডেমোক্র্যাট-এর প্রেসিডেন্ট ও হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট প্রচারণায় সাউদার্ন স্টেটে সহকারী অর্থ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন নাবিলাহ।
গত বছর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য সিনেটে বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন শেখ রহমান।