রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের 'সাহসী নারী' পদক

‘সাহসী নারী’ পদক গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প (ডানে) ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে  মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে।  ছবি: ওয়ানইন্ডিয়া ডটকম
‘সাহসী নারী’ পদক গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প (ডানে) ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। ছবি: ওয়ানইন্ডিয়া ডটকম

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী (আইডব্লিউওসি) পদক পেয়েছেন রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনিসহ এ বছর এই পদক বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠানটি হয়।

রাজিয়া সুলতানা ১৯৭৩ সালে মিয়ানমারের মংডুতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাঁকে ‘বাংলাদেশের নাগরিক’ বলে উল্লেখ করে। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নিরলস কাজ করায় এ পদক পেয়েছেন।

রাজিয়া ছাড়াও এ বছর সাহসী নারী পদক পেয়েছেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ন কেনিয়াও প, জিবুতির পুলিশ কর্মকর্তা মৌমিনা হুসেইন দারার, মিসরের মানবাধিকারকর্মী মামা ম্যাগি, আয়ারল্যান্ডের নান সিস্টার ওরলা ট্রেসি, জর্ডানের সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল খালিদা আল-তাওয়াল, মন্টেনেগ্রোর সাংবাদিক অলিভেরা লাকিচ, পেরুর সরকারি কর্মকর্তা ফ্লোর দ্য মারিয়া ভেগা যাপাতা, শ্রীলঙ্কার নারী ও শিশু অধিকারকর্মী মারিনি ডি লিভেরা এবং তানজানিয়ার নারী অধিকারকর্মী আনা হেঙ্গা।

শান্তিপ্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর আইডব্লিউওসি পদক দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় আইনজীবী, শিক্ষকতা ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সরাসরি রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছেন। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত শতাধিক রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যাতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো যৌন সহিংসতার চিত্র উঠে এসেছে। তিনি ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন’-এর সমন্বয়ক এবং রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের নারী শাখার পরিচালক।