মার্কিন মুসলিম আইনপ্রণেতা ইলহানকে হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তার ১

ইলহান ওমর। ছবি: রয়টার্স
ইলহান ওমর। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আইনসভার প্রতিনিধি ইলহান ওমরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম প্যাট্রিক কারলিনিও (৫৫)। তিনি ইলহান ওমরের ওয়াশিংটন অফিসে ফোন করে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। ইলহান ওমরকে তিনি মিসরের নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য বলে দাবি করেন। গুলি করে তাঁর মাথার খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

প্যাট্রিককে গত শুক্রবার এফবিআই গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তিনি সগর্বে বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা বেঁচে থাকলে ইলহান ওমরকে গুলি করে হত্যা করতেন।’

ইলহান ওমরের জন্মস্থান সোমালিয়া। সে দেশ থেকে আসা প্রথম আমেরিকান-মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি। ২০১৬ সালে মিনেসোটার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য নির্বাচিত হন এই নারী। অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করেন তিনি।

ইসরায়েল এবং মার্কিন রাজনীতিতে ইসরায়েলি লবির প্রভাব নিয়ে সমালোচনা করায় কয়েক সপ্তাহ আগে নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে ও বাইরে তোপের মুখে পড়েন ইলহান ওমর। তাঁর বক্তব্য ইহুদিবিদ্বেষী—এই অভিযোগে ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে (ইলহান ওমর) কংগ্রেসের বৈদেশিক কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রগতিশীল সদস্যরা ইলহান ওমরের পাশে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আলেকজান্দ্রিয়া অকাসিও-করতেজ। রক্ষণশীল টিভি ফক্স নিউজ যেভাবে ইলহান ওমরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছে—তার সমালোচনা করে গতকাল শনিবার আলেকজান্দ্রিয়া বলেছেন, তাদের লাগামছাড়া বক্তব্যের কারণেই একজন কংগ্রেস সদস্যকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

নিজের বক্তব্যের জন্য ইলহান ওমর অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে সমালোচকদেরও বিনা প্রতিবাদে ছেড়ে দেননি তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে ইসরায়েল-বিরোধী হিসেবে সমালোচনা করায় ইলহান ওমর বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর সারা জীবন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলে এসেছেন। ইহুদি, মুসলিম, আদিবাসী, কৃষ্ণকায়—সবাই তাঁর বিদ্বেষের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার কথায় যে অন্য মানুষ আহত হতে পারে, সে শিক্ষা আমি পেয়েছি। কিন্তু আপনি কবে সে শিক্ষা পাবেন?’