আয়কর হিসাব নিয়ে ট্রাম্প-কংগ্রেস বিবাদ বাড়ছে

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছয় বছরের আয়করের হিসাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের কর প্রণয়ন-সম্পর্কিত কমিটির প্রধান। গতকাল বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে ওই হিসাব তুলে দিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। কংগ্রেসের হাতে ট্রাম্পের আয়করের হিসাব পৌঁছায়নি।

রাজস্বমন্ত্রী স্টিভ মিনুশিন বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিচার বিভাগের সঙ্গে সলাপরামর্শ করছেন। কোনো করদাতার আর্থিক গোপনীয়তা যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এই পরামর্শ। কংগ্রেসের ডেমোক্রেটিক নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছে, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, কংগ্রেসের অনুরোধের ভিত্তিতে যেকোনো আয়করের হিসাব হস্তান্তরে রাজস্ব বিভাগ বাধ্য। এখানে বিচার বিভাগের সঙ্গে সলাপরামর্শের কোনো সুযোগ নেই। রাজস্বমন্ত্রী কংগ্রেসকে এই হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে তিনি আইনের লঙ্ঘন করবেন।

স্পষ্টতই ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীরা বিষয়টি যত দিন সম্ভব বিলম্বিত করতে চান। ট্রাম্পের অস্থায়ী চিফ অব স্টাফ মাইক মুলভানি জানিয়ে দিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটরা কখনোই এই আয়করের হিসাব দেখতে পাবেন না।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর আয়করের হিসাব নিয়ে অডিট বা হিসাব-নিরীক্ষা চলছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্পের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে আয়করের নথি অবমুক্ত করায় কোনো বাধা নেই। গত অর্ধশতাব্দীতে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যিনি নির্বাচনের আগে নিজের আয়করের হিসাব দাখিল করেননি।

ট্রাম্পকে বাধ্য করতে ডেমোক্র্যাটরা এরপর কী করবেন, তা স্পষ্ট নয়। আপাতত তাঁরা একই দাবি জানিয়ে দ্বিতীয় একটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে করবিষয়ক কমিটির প্রধান ট্রাম্পের আয়করের হিসাব দাবি করে রাজস্বমন্ত্রীর কাছে সমন পাঠাতে পারেন। সেই সমন উপেক্ষা করলে কংগ্রেস হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে। সেই মামলা নিম্ন আদালত থেকে হয়তো সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে। এই প্রক্রিয়া সম্ভবত এতটা প্রলম্বিত হবে যে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের আয়করের হিসাব আদৌ দিনের আলোর মুখ দেখবে না।