বাংলাদেশ ছাড়ার আগে সবুজে অবগাহন

সবুজের কাছাকাছি কে না যেতে চায়। ধরণিকে আচ্ছাদিত করে রাখা সবুজের নানা প্রজাতির নিজস্ব কিছু ভাষা আছে, সঙ্গে আছে নান্দনিকতা। কেউ কেউ সেই ভাষা বা চিত্রে খুঁজে পায় চিত্তের নানা সুখ। কেউ খুঁজতে যায় আদিম ঘ্রাণ। কোনো মাটির সন্তান আজন্ম খুঁজতে থাকে তার অতীত, যেখানে সতত তার সংযুক্তি ছিল সবুজ অরণ্যের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই। নিজে থেকে বাড়িয়ে বলছি না, মধ্য বয়সে দেশ ছেড়ে থিতু হলাম প্রবাসে পাথর আর কংক্রিটে ছেয়ে থাকা ভীষণ ব্যস্ত এক নগরে। সারা বছর অপেক্ষার প্রহর গুনি কবে যাব, সবুজের মমতাময় সান্নিধ্যে। প্রতিবার যখন দেশে যাই, স্বজন বন্ধুদের সঙ্গলাভে যেমন সুখ পাই, তেমনি বাসার চিলতে এক টুকরো সবুজে একা একা হেঁটে সেই সমান সুখ পাই। মায়ের হাতে লাগানো ফলের গাছগুলোর আশপাশে যাই। শুনতে পাই পাতার দুলনিতে নানা বিচিত্র আওয়াজ। কখনো মনে হয় কোনো অনাবিষ্কৃত দুর্লভ কোনো তাল অথবা রাগের ওপর নিয়ম মেনেই চলছে; কখনো আবার মনে হয় সবাই অগোছালো, বিষণ্ন। তবুও ভালো লাগে। কখনো হৃদয় ব্যথিত হয়, চাপযুক্ত ব্যথা অনুভব হয় যখন দেখি গ্রামে কিংবা শহরে সর্বত্র যেন পাল্লা দিয়ে চলছে সবুজ নিধন উৎসব। বাড়িঘর অট্টালিকা, সড়ক-মহাসড়ক সবকিছুতে আগ্রাসন চলছে বাধাহীন। দ্রুত কমছে সবুজের পরিমাণ। বিশাল ও বিরাট পরিধি নিয়ে শখ করে সবুজ দেখা বুঝি আজকাল বিলাসিতা হয়ে গেল!
দেশে গেলে আমার এক ভাগনি ও তার স্বামীর আতিথেয়তা সদাই থাকে সর্বোচ্চ ও বিরতিহীন। এবারও কোনো ব্যতিক্রম পাইনি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকায় নেমেই বিমানবন্দরে পেয়ে গেলাম ভাগনি জামাই তসলিমকে। নিজেই চলে এসেছে আমাকে নিতে। ঢাকায় দুদিন থেকে বিশ্রাম নিয়ে চলে গেলাম সিলেট। সেখানে চলছে আমাদের পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানের জোর প্রস্তুতি। সব আয়োজনের সফল সমাপ্তি সেরে ঢাকায় আবার ফিরতে হলো ৮ মার্চ। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন পরদিন আমরা সবাই একসঙ্গে বেরিয়ে যাব সবুজ অরণ্যে হারিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ে।
শহরের যান্ত্রিকতা ছেড়ে খোলামেলা কোনো সবুজ সমারোহ আছে এমন এলাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি সবাইকে বেশ উৎফুল্ল করে দিলাম বলে মনে হলো। জায়গা নির্ধারণ করা হলো ঢাকা থেকে ১১০ কিলো মিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের পাশে ভালুকা উপজেলার হাতির ভেড় গ্রামে। সেখানে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা। দূরত্ব বা সময়— কোনোটিই আমলে না এনে পাঁচটি পরিবারের জনা বিশেক সদস্যের শুরু হলো সম্মিলিত যাত্রা। হাতির ভেড় গ্রামে তসলিম গড়ে তুলেছে সবুজ শ্যামলিমায় ঢাকা শত একর জায়গা নিয়ে একটি আনন্দ কেন্দ্র, সঙ্গে সুসজ্জিত আধুনিক বিশ্রামাগার। যেতে হবে উত্তরা হয়ে টঙ্গী শহরের মাঝখান দিয়ে সোজা উত্তরমুখী ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে ধরে ভালুকা উপজেলায়। কবি নজরুলের স্মৃতি-বিজড়িত বিখ্যাত উপজেলা ত্রিশাল যাওয়ার আগে পড়ে জায়গাটা। ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে থেকে বামে যেতে হয় মাইল পাঁচেক উথুরা নামের একটি বাজারে। সেখান থেকে আরও প্রায় মিনিট দশেক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছাতে হয় হাতির ভেড় গ্রামে। ঢাকা শহর থেকে বেরোতে চিরপরিচিত যানজটের ধাক্কা ছিল উত্তরা এলাকায়। মেট্রোরেলের কাজ চলছে বলে পুরো এলাকায় যানবাহন চলছে নিজের খুশি মত।
আমাদের গাড়িচালক বুদ্ধি করে ডান–বাম দুপাশে কখনো মিশে, কখনো ঘেঁষে, কখনো আবার ফেঁসে ফেঁসে কায়দা করে যানজটের উজান স্রোত ঠেলে কায়দামতো গাড়ি চালিয়ে যানজটের মহাচাপ মঙ্গল মত উতরে গেল। এরপর বেশ কিছু সময় আধা ফাঁকা রাস্তা ধরে চলে আবারও মুখোমুখি গাজীপুরের বিখ্যাত চৌরাস্তার যানজটে। তাও পেরোনো গেল অনেক ঝক্কি ঝামেলা করে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল প্রশস্ত, আরামদায়ক ও স্বস্তি নিয়ে চলার মত সোজা উত্তরমুখী বিখ্যাত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। গাড়ির স্বস্তিকর মৃদু দুলনিতে বার কয়েক ঘুমিয়ে পড়লেও চোখ খোলা রেখে মহাসড়কের দুপাশের সবুজ দেখার বাসনা মনে আগে থেকেই ছিল। তবে প্রশস্ত পরিসরের রাস্তার দুপাশে প্রতিযোগিতা করে যেভাবে সারি সারি কল-কারখানা গড়ে উঠছে! তাতে মনে হলো সবুজের দেখা পাওয়া মুশকিল হতে পারে। চিত্তের কিছুটা সুখ পাওয়া গেল যখন গাজীপুর জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়ে বেশ কিছু সময় গাড়ি চলেছিল বেশ গতিতে। কিছুক্ষণ পর আবার শুরু সেই ইট পাথর কংক্রিটের ধূসর পাশচিত্র।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান মহাসড়ক কিংবা সড়কের পাশের ছোট বড় গ্রাম্য বাজারগুলো আমাকে সব সময় টানে। এ ধরনের বাজারে নেমে হেঁটে বেড়াতে আর বাজার করতে আমি ভীষণ আনন্দ পাই। বিশেষ করে নানা বয়সী নয়তো নানা চেহারার হাটুরেদের নিয়ে আসা ফল–ফলাদি ও হাতের তৈরি বাঁশ বেতের গৃহস্থালি সামগ্রী কিনতে আগ্রহ আমার ছোট বেলা থেকে। চালককে মনের ইচ্ছা জানাতে সে কৌতুকপূর্ণ হাসি দিয়ে জানাল সে আমার ইচ্ছে পূরণ করতে ভালো ও লোকসমাগম বেশি এমন বাজারে মিনিট বিশেকের বিরতি নেবে। ভালুকা যাওয়ার আগে তিন তিনটি বড় ও মাঝারি আকারের সমৃদ্ধ বনাঞ্চল অতিক্রম করতে হয়। যার একটি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এরপর রয়েছে আরও দুটো বিখ্যাত স্থাপনা—যার একটি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, অন্যটি ভালুকা উপজেলার কাছে কাদিরগড় জাতীয় উদ্যান। দুটি স্থাপনা ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় বটে। গ্রাম্য বাজারে খানিক সুখসময় কাটাতে যাত্রাবিরতি হলো মাওনা বাজারে।
বিরাট বাজার। দোকানি আর হাঁটুরে সব মিলিয়ে বেশ বড়সড় জমায়েত। স্বাভাবিক গ্রাম্য বাজারের আবরণ ও চিৎকার হইচই থাকলেও গ্রামের বাজারের আসল রূপ অনেক বদল হয়ে গেছে। সারা বাজার জুড়ে সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া হাটের ভেতর ও বাইরে সব স্থানে। সারা বাজার ঘুরেও পাশের নয় তো দূরের কোনো গ্রাম থেকে আসা কাউকে দেখতে পাইনি, যিনি হাটের এক পাশে ৩টি পাকা পেঁপে বা এক ঝুড়ি কাঁচা পাকা পেয়ারা নিয়ে বিরস বদনে বসে আছেন। কোনো সত্যিকারের কৃষককে পেলাম না, যিনি তার বাড়ির পাশের খেতে ফলানো ৩/৪টি লাউ কিংবা গামছায় রাখা দুই কেজি শিম নিয়ে বসেছেন। সেখানে আজকাল আধুনিক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত চাহিদা ও সরবরাহের নগ্ন রূপ। বাজারের মুখে সারি সারি ফলের দোকানে স্তূপ করে রাখা ভারতীয় আপেলসহ নানা বিদেশি ফলের সরব উপস্থিতি। এলাকার অন্যত্র থেকে শাকসবজি আর তরিতরকারি ভর্তি মিনি ট্রাকের সারি বাজারের পাশে অপেক্ষমাণ। এলাকার বিল বাদাড় থেকে ধরে আনা কোনো দেশি মাছ চোখেই পড়ল না। এর বদলে সারি সারি হাফ ড্রামে জিইয়ে রাখা বদ্ধ পুকুরে চাষকৃত তেলাপিয়া আর নানা জাতের বিদেশি কার্পের আধিপত্য।
বাজারের আংশিক দেখেই পুরোপুরি হতাশ। সঙ্গে সঙ্গে আর কিছু গ্রামীণ জনপদের অকৃত্রিম ছোঁয়া যে চোখে পড়বে না, তাও নিশ্চিত হয়ে গেলাম। বিষণ্ন মনে গাড়িতে ফিরতে ফিরতে ভাবছি, ইতিমধ্যেই কি সেই সময় এসে গেছে যখন আমার দেখা সেই আসল গ্রাম্য বাজারকে দেখতে হলে জাদুঘরে যেতে হবে? গাড়ি আবার চলতে শুরু করল গন্তব্যে। বেলা তখন বেশ বেড়েছে। গাড়িতে বসে রোদের তেজ অনুভূত হচ্ছে বেশ ভালোই। এরপরও মনে হলো দিনের শুরুর এ ছড়ানো আলো সবাইকে শতভাগ উৎসবমুখর মুডে নিয়ে এসেছে। মিনিট চল্লিশেক গাড়ি চলে ভালুকা উপজেলায় যাওয়ার আগে মহাসড়ক থেকে বামে নেমে যাওয়া অপ্রশস্ত রাস্তা ধরে ছুটে চলছি হাতিরভেড় গ্রামের দিকে। রাস্তার ডানে ও বাঁয়ে খেয়াল করলে এই জনপদ বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের মত মনে হলেও কোথাও যেন ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলো। অবশেষে তা ধরাও পড়ল। জনপদে সমতল ভূমি ছাড়াও উঁচু নিচু বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু টিলা চোখে পড়ল। তবে লক্ষণীয়, পুরো পথটি প্রশস্ত ও সদ্য তৈরি পিচঢালা পথ। গ্রাম্য জনপদের অভ্যন্তরে এত মসৃণ প্রশস্ত রাস্তা উন্নয়নের পরিচয় বটে। সেই রাস্তা ধরে একে একে পার হয়ে গেলাম আরও তিনটি বাজারসহ মসজিদ ও মাদ্রাসা। তিনটি বাজারের একটি হলো আথুরা বাজার। যা পার হয়ে মাইল তিনেক চলার পর গাড়ি এসে থামল প্রশস্ত একটি লোহার ফটকের সামনে।
বাইরে থেকে একটি দোতলা দালান ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ল না। তবে দুপাশে শুরু হয়ে যাওয়া লম্বা লম্বা তালগাছের সারি দেখে মনে হলো, ভেতরে নিশ্চয় আরও কিছু বিস্ময় অপেক্ষমাণ। সবুজ ঘাসে মোড়ানো চত্বর ধরে এগিয়ে চলছে আমাদের গাড়ি।
সামান্য উঁচুনিচু পথ বেয়ে পৌঁছলাম রিসোর্টের শেষ প্রান্তে। যেখানে আছে তিন কক্ষের আধুনিক বিশ্রামাগার। যার রয়েছে দুটো বৈশিষ্ট্য। প্রথম বাংলোর দরজা-জানালা অনেক প্রশস্ত। তাই ভেতরে সব জায়গায় অফুরন্ত আলো। দ্বিতীয় বাংলোর উপরিভাগে মাটির টালি দিয়ে সুন্দরভাবে তৈরি, দেখতে মনোরম ও স্নিগ্ধতায় ভর্তি ছাদ। বিরাট এলাকারজুড়ে ঘন সবুজের সঙ্গে লাল টালির তৈরি বিশ্রামাগার মানিয়েছে বেশ। আগত সব অতিথিকে আন্তরিকভাবে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি ভরপেট জলখাবারের বেশুমার আয়োজন। আমাকে তো চারদিকের সবুজ অরণ্য ভীষণ টানছে। সময়ক্ষেপণ না করে বেরিয়ে গেলাম অজানা টানে। সে এক অজানা টান শুধু অনুভূতিতে আসে না, মনে হল তা এক তীব্র আকর্ষণ। যা বাছা বাছা শব্দ আর উচ্চমানের সাহিত্য দিয়ে সহজে বোঝানো যাবে না। আপনার মধ্যে আলাদা কোনো রসায়ন কাজ শুরু করবে।
আপনার মধ্যে সৃষ্টি হবে অন্যরকম এক ধরনের ভালোবাসা ও ভালোলাগার একটি অচেনা পর্ব। তা আমি শতভাগ অনুভব করতে পেরেছিলাম যখন আমি দেখতে পেলাম দূরের মাঠ, খাঁজকাটা অবারিত প্রান্তর, ধূলিধূসরিত গ্রাম, ঘাসফুল মাড়ানো শিশির, সবুজ ঘাস, ধানখেতের সারি, নানা বর্ণের ঘাসফুলে মিশে আছে কলমিলতা, বেড়া ঘেরা মাটির বাড়ি, হেমন্তের মাঠ, পরজীবী সোনালি লতা, ধীরে বয়ে যাওয়া নরম হাওয়া, হলুদ সোনালি ফুল, ফাটা ফাটা শুষ্ক মাটি, কাঁকর পথ, অরণ্য, প্রজাপতি, সূর্যের আলো, পাখিদের শিস, বটের ঝুড়ি, উঁচু নিচু ভূমি, ধুতরার ফুল, রঙিন ঘুড়ির উড্ডীন দিন, পিঠালু, কলাপাতা, ঘাসফড়িং, চড়ুই, প্রজাপতি, পদ্মপাতা, তুঁত গাছ, ছোট ছোট ডোবা—সব শেষে সবুজ ধান খেতের খোলা প্রান্তর। সবুজের এ চোখ শীতল করা ফ্রেম শুধু তার বর্তমান অবস্থানে আটক না রেখে পরিধি আরও বাড়িয়ে নিতে রিসোর্ট অধিকারীর আরও স্বপ্ন আর পরিকল্পনা শুনে মনটি ভরে গেল। আশা করি আরও কেউ না কেউ এগিয়ে আসবেন সবুজ প্রকৃতিকে ভালোবেসে এবং আরও বেশি বেশি ভালোবাসতে। বেঁচে থাকুক এ সবুজ সৃষ্টির নেশা। যা আমাদের মোহগ্রস্ত করবেই কোনো কারণ ছাড়া।
এসব দেখতে দেখতে ভাবছি, কীভাবে জানব এই জনপদের কথা কিংবা ইতিহাস। সুযোগ হয়ে গেল সহজেই। রিসোর্টে দেখা হলো ষাটোর্ধ্ব একজন এলাকাবাসীর সঙ্গে যিনি আবার ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার শৃঙ্খল ভাঙতে হাতে নিয়েছিলেন অস্ত্র। তিনি জানালেন হাতির ভেড় নামকরণের ইতিহাস।
এই রিসোর্ট থেকে সোজা উত্তরে মধুপুরের গড় নামে গভীর বনাঞ্চল। যেখানে এখনো অনেক বন্য হাতি অবাধে বিচরণ করে বনজুড়ে। জমিদারি আমল অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনামলে দূর থেকে লোকজন আসত হাতি ধরতে। কারণ এখানে ঘন সবুজ বনে ছিল প্রচুর খাবার। আজ মানব বসতির কারণে বিরানপ্রায়। জমিদারেরা সরকারকে উশুল দিয়ে নিজ লোকলস্কর দিয়ে তৈরি করতেন বড় বড় হাতির খেদা। এলাকার জমি আর ছোট বড় টিলা আর সমতল ভূমি ছিল খেদা তৈরির উপযুক্ত স্থান।
আর তাই বুঝি সবুজবেষ্টিত এই গ্রামের নামকরণ হলো হাতিরভেড় গ্রাম। বেড়াতে বেড়াতে ডাক পড়ে গেল সবুজের মাঝে সাজানো বাংলাতে ফিরে যাওয়ার। যেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক পদের সুস্বাদু ব্যঞ্জনের বড়সড় আয়োজন। এরই মধ্যে সবাই মিলে যোগ দিলাম নানা ধরনের আনন্দময় বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতায়। সময় কেটে গেল বড্ড দ্রুত। সন্ধ্যার শেষ আলো পশ্চিম আকাশের সীমানায় মিলিয়ে যেতে না যেতেই শুরু হলো আমাদের ফিরতি যাত্রা। ইট পাথরের তৈরি কোটি জনমানবের পদভারে আজও চলমান রাজধানী ঢাকা নগরে।