স্পেনে মার্কিন মেরিন সেনা গ্রেপ্তার

উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস। ছবি: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক মেরিন সেনাকে স্পেন থেকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। উত্তর কোরিয়ার মাদ্রিদ দূতাবাসে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মালামাল চুরির অভিযোগ রয়েছে একদল মেরিন সেনার বিরুদ্ধে। ক্রিস্টোফার অ্যান নামের সাবেক ওই মার্কিন সেনা ওই গ্রুপের সদস্য। গ্রেপ্তারের সঙ্গে যুক্ত দুটি সূত্র গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, মাদ্রিদে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য সরিয়েছেন ওই মার্কিন সেনা। তাঁকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাঁকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ফেডারেল কোর্টে হাজির করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র ফেডারেল এজেন্টরা গত বৃহস্পতিবার আদ্রিয়ান হংয়ের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালান। আদ্রিয়ান হং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে উৎখাতে কাজ করা চিওলিমা সিভিল ডিফেন্স গ্রুপের নেতা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সেখানে অভিযান চালায় মার্কিন মেরিন সেনারা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১০ জন সেনার একটি দল দ্রুত দূতাবাসে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর ও পালিয়ে যাওয়ার আগে কয়েকজনকে জিম্মি করে।

স্পেনের একটি আদালতের তথ্য অনুযায়ী, মেরিন সেনারা যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর আগে দূতাবাস থেকে কম্পিউটার ও হার্ডড্রাইভ সরিয়েছে, তা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

ওই ঘটনার পর তদন্তে নেমেছিল এফবিআই। তারা ওই সব ইলেকট্রনিকস পণ্য স্পেনের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। পরে স্পেনের কর্তৃপক্ষ তা পিয়ংইয়ং মিশনের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

কিমবিরোধী ওই গ্রুপ একে অবশ্য আক্রমণ বলে উল্লেখ করেনি। ওই ঘটনা স্পর্শকাতর একটি সময়ে ঘটেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের দ্বিতীয় বৈঠকের আগে এ ঘটনা ঘটে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করে। এর পেছনে এফবিআইকে আংশিক দায়ী করে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের কোনো হাত নেই।