হাত ছাড়াই হাতের লেখায় প্রথম

সারা হেনেসলি।  ছবি: ওয়াশিংটন পোস্ট
সারা হেনেসলি। ছবি: ওয়াশিংটন পোস্ট

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ১০ বছর বয়সী শিশু সারা হেনেসলি জাতীয় পর্যায়ে ‘সুন্দর হাতের লেখা’র জন্য ২০১৯ সালে নিকোলাস ম্যাক্সিম পুরস্কার পেয়েছে। অথচ জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কোনো কৃত্রিম হাত ছাড়াই লিখতে পারে সে। লাখো শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হয়েছে। বাঁকা গোটা গোটা হাতের লেখায় তার জাতীয় পুরস্কারকে এখন অনুপ্রেরণা মানছেন অনেকেই।

হাত না থাকলেও মূলত দুই বাহুতে পেনসিল চেপে লেখে সারা। লেখা তার কাছে শিল্পকর্ম সৃষ্টির মতো মনে হয়।

সারা মেরিল্যান্ডের ফ্রেডরিকে সেন্ট জোনস রিজিওনাল ক্যাথলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সারার শিক্ষিক শেরিল চারিলা বলেন, ‘আমি এই ছোট্ট মেয়েকে কখনো কোনো কাজে “পারব না” বলতে শুনিনি। সে খুদে রকস্টারের মতো। তাকে যা দেবেন, তা–ই শিখে নিতে পারে সে।’

সারা ছবি আঁকতে পারে, মাটি দিয়ে ভাস্কর্যও বানাতে পারে। তার জন্ম চীনে। ২০১৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে আসে সে। চার বছর আগে যখন সে যুক্তরাষ্ট্রে আসে, ইংরেজি একদমই পারত না। তবে মান্দারিন ভাষায় তখনই লিখতে শিখেছিল সে। এরপর ইংরেজি ভাষা খুব দ্রুতই রপ্ত করে। বোন ভেরোনিকা তাকে এ কাজে সাহায্য করেছে।

সারার মা ক্যাথরিন হেনেসলি বলেন, সারা সব কাজ একা একাই করে। কাঁচি দিয়ে কাগজ কাটার সময় কেউ হয়তো তাকে সাহায্য করতে চাইল, সেটা কখনোই নেবে না সে। লেখার মতো সব কাজই অদম্য উৎসাহ নিয়ে শিখেছে।

অবসরে সারার প্রিয় কাজ সাঁতার কাটা কিংবা বোন ভেরোনিকার সঙ্গে খেলা করা। এত ছোট বয়সেই স্কুলের দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেছে সে।

১৩ জুন সারার হাতে তুলে দেওয়া হবে নিকোলাস ম্যাক্সিম জাতীয় পুরস্কার। একটি ট্রফি ও সঙ্গে ৫০০ ডলার দেওয়া হবে তাকে।