আয়কর রিফান্ড পাননি অনেকে

আয়কর দাখিলের পর নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর রিফান্ড পাওয়ার কথা থাকলেও বিপুলসংখ্যক করদাতা রিফান্ড পাননি। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবরণী দাখিলের পর উল্টো নিউইয়র্ক স্টেট থেকে আয়কর দাতাদের দাখিল করা আয়করের পক্ষে আয়-ব্যয়ের নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভুয়া তথ্য দেওয়ায় অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে পারলে তাঁরা রিফান্ড পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন কর বিবরণী প্রস্তুতকারীরা। 

২০১৮ সালের আয়কর বিবরণী দাখিল শুরু হয় ২৮ জানুয়ারি। ব্যক্তিগত আয়কর দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা ছিল ১৫ এপ্রিল। এ সময়ে মধ্যে শুরুর দিকে অনেকেই আয়কর দাখিল করেন। আয়কর দাখিলের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কেউ কেউ ফেডারেল রিফান্ড পেলেও অনেকেই স্টেট থেকে এখনো রিফান্ড পাননি। আবার কেউ স্টেট থেকে রিফান্ড পেলেও ফেডারেলের রিফান্ড পাননি। উল্টো ফেডারেল এবং স্টেট থেকে নির্দিষ্ট আয়-ব্যয়ের কপি সংযুক্ত অথবা চাইল্ড রিফান্ডের ক্ষেত্রে স্কুল লেটার বা ডাক্তার লেটারের চিঠি প্রমাণ হিসেবে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠি হাতে পেয়ে আয়কর দাখিলকারীরা আয়কর বিবরণী প্রস্তুতকারী অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। যাদের কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে, তাঁরা তা সংযুক্ত করে স্টেট অফিসে পাঠিয়েছেন। অনেকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষিত না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। উল্টো বাড়তি আয়কর দিতে হবে কি না সে চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন।
চলতি বছরে নিউইয়র্ক স্টেট কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ভুয়া আয়কর দাখিলের সন্ধান পেয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্টেট থেকে চিঠি প্রাপ্ত এহসানুল হক বলেন, ‘আমি একজন কর্মজীবী। স্টেট থেকে চিঠি পেয়েছি। কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
জোবায়ের নামের চিঠি প্রাপ্ত আরেকজন বলেন, ‘আমিও চিঠি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে পাঠিয়েছি। এখনো চিঠির উত্তর বা রিফান্ড পাইনি।’
এ প্রসঙ্গে সাউথ ইস্ট ইউএসএ ইনকাম ট্যাক্সের কর্ণধার অধ্যাপক এহতেশামুল হক বলেন, মনগড়া এবং যথাযথ আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল না করায় গ্রাহকেরা নোটিশ পেয়েছেন এবং রিফান্ড পাচ্ছেন না।
কাকাতুয়া ইনকাম ট্যাক্সের সিইও পারভেজ কাজী বলেন, কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে স্টেট থেকে চিঠি আসছে। কিছু কিছু ডব্লিও-২ আয়কর দাখিলকারীর ক্ষেত্রেও চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। স্টেট কর্তৃপক্ষ আয় ব্যয়ের যথাযথ ডকুমেন্ট চেয়েছেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে পারলে তাঁরা রিফান্ড পেয়ে যাবেন।
কর বিবরণী প্রস্তুতকারীদের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আইআরএস বা রাজ্য কর বিভাগ থেকে চিঠি পেলেই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ ধরনের চিঠি পেলে করণীয় সম্পর্কে একজন অভিজ্ঞ পেশাজীবীর শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।