উইন্ডসরে সরকারি ঘোষণায় বৈশাখ 'বাংলা ঐতিহ্যের মাস'

ঐতিহাসিক এই ঘোষণাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উইন্ডসরের বাংলাদেশি কমিউনিটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে
ঐতিহাসিক এই ঘোষণাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উইন্ডসরের বাংলাদেশি কমিউনিটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে

কানাডার মোটরযান সিটি উইন্ডসরে বাংলা মাস বৈশাখকে ‘বাংলা ঐতিহ্যের মাস’ হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা (প্রক্লেমেশন) করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আবেদন ও এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটি মেয়র ড. ড্রিউ ডিলকেন্স গত মার্চ মাসে প্রক্লেমেশনে স্বাক্ষর করেন। আর গত ১৫ এপ্রিল প্রক্লেমেশনটি সিটি কাউন্সিলে গৃহীত হয়।
ঐতিহাসিক এই ঘোষণাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উইন্ডসরের বাংলাদেশি কমিউনিটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। যদিও বাংলাদেশে এটি হয় বৈশাখের প্রথম দিনে কিন্তু ভালো আবহাওয়ার বিবেচনায় এটি উদ্‌যাপিত হয় বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে। রৌদ্রোজ্জ্বল এই স্মরণীয় দিনে সকাল থেকেই সব মানুষ জড়ো হতে থাকে উইন্ডসরের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত বাংলাদেশ পিস ক্লকের সামনে। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শত শত নারী-পুরুষ একত্রিত পিস ক্লকের সামনে। শাড়ি-পাঞ্জাবিসহ বর্ণিল দেশি পোশাকে শোভাযাত্রাটি ওলেট রোডের পাশ দিয়ে এগোতে থাকে ডেট্রয়েট রিভারের দিকে। এই শোভাযাত্রায় স্থানীয় দুই এমপি ব্রায়ান মেসি এবং শেরল হার্ড ক্যাসল, উইন্ডসর স্কুল বোর্ডের চেয়ারপারসন ড. জেসিকা সার্টরি, সাউথ এশিয়ান সেন্টারের নির্বাহী সভাপতি জিওয়ান গিল, উইন্ডসর ওয়েস্টের ডেমোক্র্যাট লিডার মেলিন্ডা মনরোসহ অনেকেই অংশ নেন। এমপি শেরল হার্ড ক্যাসল এবং ড. জেসিকাসহ কোনো কোনো অতিথির শাড়ি পড়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শোভাযাত্রাটি ডেট্রয়েট রিভারের গ্রেট কানাডিয়ান ফ্ল্যাগের নিচে বিরতি দেয়। সেখানে বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ভূঁইয়াসহ অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
এমপি শেরল হার্ড ক্যাসল বলেন, ইতিপূর্বে তিনি কানাডিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি নিজ চোখে দেখেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি। তিনি বলেন, ‘শাড়ি পড়ে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত।;
ড. জেসিকা সার্টরি বলেন, উইন্ডসরে বাংলা স্কুল চালু রেখেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিশুরা। এটা গর্বের। স্কুল বোর্ড থেকে সব সময় তাঁরা সহায়তা দেবেন। তিনি আরও বলেন, একুশকে উইন্ডসর পাবলিক স্কুল বোর্ডের তালিকায় আনুষ্ঠানিক উদ্‌যাপনের দিন হিসেবে ঘোষণার আবেদন তিনি সমর্থন করেন এবং বালাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ভূঁইয়ার সঙ্গে এর বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন।
এই আলোচনায় সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াহিয়া মোল্লা। তিনি উপস্থিত কমিউনিটির সদস্য, অতিথি এবং সমিতির ভিপি শামীম মমতাজ, ইঞ্জিনিয়ার সামছুল আলম, প্রফেসর ড. ফজলে বাকী, এ জি এস হারুনুর রশীদ রুমী এবং জালাজ উদ্দিন, কালচারাল সেক্রেটারি তুহিন-পলি-শান্তা, স্পোর্টস সেক্রেটারি রবিউল বিপ্লবসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ক্ষণিক যাত্রা বিরতি ও বক্তব্য শেষে হালকা আপ্যায়নের পর শোভাযাত্রাটি বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবিত শহীদ মিনারের স্থানে গিয়ে শেষ হয়।