আমন্ত্রিত লেখকদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ

নিউইয়র্ক বইমেলা চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৭ জুন চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেখক ও প্রকাশক অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীসহ লেখক সেলিনা হোসেন এবং ভারত থেকে লেখক সমরেশ মজুমদারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরও যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে আছেন—লেখক ও সম্পাদক আবুল হাসনাত, কবি ইকবাল হাসান, লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, কবি ও সাংবাদিক সাজ্জাদ শরিফ, শিশুসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন, শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, কবি জাফর আহমদ রাশেদ, লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, লেখক সাদত হোসাইন প্রমুখ।
প্রকাশকদের মধ্যে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, সহসভাপতি শ্যামল পাল, আলমগীর সিকদার লোটন, মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক, অঙ্কুর প্রকাশনীর প্রকাশক মেসবাহউদ্দিন আহমদ, কথাপ্রকাশের প্রকাশক জসিম উদ্দিন, মো. আবুল বাসার ফিরোজ শেখ, সন্দেশ প্রকাশনীর প্রকাশক লুৎফর রহমান চৌধুরী, অন্বয় প্রকাশের প্রকাশক হুমায়ূন কবীর ঢালী, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জহিরুল আবেদিন জুয়েল, নালন্দা প্রকাশনীর প্রকাশক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন—প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়েজুন্নেসা, রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
এবার বইমেলা চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে জ্যাকসন হাইটসের ৭৭ স্ট্রিট ও ৩৭ অ্যাভিনিউয়ের পিএস ৬৯ মিলনায়তনে। এর পরের দিন ১৭ জুন বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে স্কুলের পাশেই অবস্থিত জ্যুইশ সেন্টারে। ২৭তম বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে আসা প্রকাশকদের প্রস্তাবে ২৮তম বইমেলা একদিন বাড়ানো হয়েছে বলে আয়োজক মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।
২৮তম নিউইয়র্ক বইমেলায় এবারের নতুন সংযোজন হবে ২০১৯ সালে অভিবাসী লেখকদের প্রকাশিত ‘সেরা বাংলা বই’ পুরস্কার। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান ৫০০ ডলার। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে অবস্থানরত যেকোনো অভিবাসী লেখক এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মের মধ্যে প্রকাশিত কোনো একটি গ্রন্থ ১ জুনের মধ্যে এই পুরস্কারের জন্য পাঠাতে আয়োজকেরা অনুরোধ জানিয়েছেন। লেখক ও প্রকাশকদের একটি বোর্ড পুরস্কারের বিজয়ী নির্ধারণ করবেন।
প্রতি বছরের মতো এবারেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একজন লেখককে দুই হাজার মার্কিন ডলার মূল্য মানের মুক্তধারা/জেএফবি পুরস্কার দেওয়া হবে। সেরা প্রদর্শনী ও ব্যবস্থাপনা নৈপুণ্যের জন্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের মধ্যে একজন মুক্তধারা-কথাপ্রকাশ পুরস্কারে ভূষিত হবেন। এই পুরস্কারের মূল্যমান বাংলাদেশি অর্থে ৫০ হাজার টাকা।