যুদ্ধ করতে চাইলে ছারখার হবে ইরান: ট্রাম্প

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ করতে চাইলে ছারখার হবে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান—দুই দেশ মুখে যুদ্ধ না চাওয়ার কথা বললেও পরস্পরকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। এতে উত্তেজনা কমার বদলে বরং সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে। এর মধ্যে ইরানকে নতুন করে হুমকি দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প গতকাল রোববার ইরানকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করে টুইটারে লিখেছেন, ‘যদি ইরান যুদ্ধ করতে চায়, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবেই ছারখার হবে ইরান।’ ইরানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আর কখনো হুমকি দিয়ো না।’

ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে—নিজ দেশের এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে লক্ষ্য করে লোহিত সাগরের সুয়েজ খালে শক্তিশালী রণতরি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে মার্কিন নৌবহর। যদিও ইরান মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ভুয়া দাবি করে অবজ্ঞার সঙ্গে বলেছে, তাদের স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন রণতরিকে আঘাত হানার জন্য যথেষ্ট। তবে সেই সঙ্গে ইরান এটাও জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ চায় না।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়াচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আশা করি, না।’

গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা না চাইলে বা ইরানের মোকাবিলা করার কথা কেউ না ভাবলে এ অঞ্চলে কোনো যুদ্ধ হবে না।’

সবশেষ ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই চরম অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে। বলা হচ্ছে, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার মতো। এরপরই ইরানের সঙ্গে চুক্তি করা ছয়টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে গত বছর তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় এবং দেশটির ওপর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদ দূতাবাস থেকে তাদের কয়েকজন কর্মীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শাখা দ্য ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।