প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তি তথ্য দিলে নেবেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে কেউ নেতিবাচক তথ্য দিলে তা গ্রহণ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই তথ্য বিদেশি কোনো দেশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এসব কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার মতো নয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেছেন, ‘তাদের কাছে তথ্য আছে, আমি মনে করি, আমি তা নেব।’

যখন ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, ২০১৬ সালে যদি তেমন একটি ই–মেইল পেতেন, তিনি কি মনে করেন তাঁর ছেলের এফবিআইকে তা জানানো উচিত হতো? এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে একটু বিরতি দিন, জীবন ওভাবে চলে না।’ যদিও পরে তিনি বলেন, তিনি ‘হয়তো’ এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, যদি তাঁকে এমন তথ্য দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতো। তিনি ভাবতেন, ‘এখানে ভুল কিছু আছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয় শুনতে চাইতেন, শুনতে চাওয়াটা দোষের কিছু না।’ তিনি বলেন, ‘ কেউ যদি কোনো দেশ থেকে ফোন দেন এবং বলেন “আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য আছে”, আমি মনে করি আমি তা শুনতে চাইব।’

বিষয়টি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের শামিল কি না, তা জানতে চাইলে ট্রাম্প তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘এটা হস্তক্ষেপ না, তাদের কাছে তথ্য আছে, আমি মনে করি, আমি তা নেব। যদি আমি মনে করি সেখানে ভুল কিছু হতে যাচ্ছে, আমি যাব। হয়তো এফবিআইয়ের কাছেও যাব। যদি আমি মনে করি ভুল কিছু হচ্ছে।’

২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছিলেন—এমন অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি। দীর্ঘ তদন্তের পর বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট ম্যুলার তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, এ ব্যাপারে ট্রাম্পের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও এ নিয়ে ট্রাম্পবিরোধীরা কিছু বিষয়ে এখনো প্রশ্ন তুলছেন। ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়রকে মার্কিন সিনেটররা তাঁর সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল–মনোনীত প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, এ ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদেশি হস্তক্ষেপকে ‘স্বাগত’ জানাচ্ছেন।