মায়ের গন্ধ

বারেবারে যাই যে ফিরে সিকিরচরে
যেথায় আছে ভালোবাসা থরে-থরে

বাতাস-জলে সোঁদা মাটির গন্ধমাখা-
স্বচ্ছ সকাল, দারুণ দুপুর স্বপ্নে আঁকা।

সোনালি শিষ সুর তুলে যায় হাওয়ার তালে
দোয়েল-শ্যামা, শালিক-টিয়া গাছের ডালে

মনের সুখে গান গেয়ে যায় পুচ্ছ নেড়ে-
এমন ছবি নেয় যে আময় হৃদয় কেড়ে।

আমার প্রিয় সিকিরচরে বিকেলবেলা
মুক্তমাঠে উপচে পড়ে চাঁদের মেলা।

খোকা-খুকু মনহারানো খেলায় মাতে-
নীলজোনাকি আলোর পিদিম জ্বালায় রাতে।

ঝিঁঝির বাঁশি ছড়ায় সুধা প্রাণে-প্রাণে
মন হয়ে যায় উদাস-উদাস ফুলের ঘ্রাণে।

চাঁদের আলোয় ইলিক ঝিলিক দিঘির পানি-
শ্যামল শোবার গ্রামটি আমার গাঁয়ের রানি।

রাত ফুরালে পাতায় পাতায় রোদের বাহার
দৃষ্টি কাড়ে নীলচে-সাদা মেঘের পাহাড়

ফুলের বনে প্রজাপতির পাখার দোলা-
এসব ছবি করে আমায় আপনভোলা।

ভোরে আজান স্নিগ্ধ করে হৃদয়-জমিন
ঘুমটি ভেঙে মসজিদে যায় সাচ্চা মমিন।

অজু করেই মা বসে যায় জায়নামাজে-
ফজর-শেষে হয় যে সবাই ব্যস্ত কাজে।

সিকিরচরের এমন ছবি নিত্য থাকে-
বিপদ এলে সবাই ছোটে সবার ডাকে।