অনন্ত অনুভবে

কখনো তোমায় আমি দেখিনি
পরিচয় অনলাইনে
বলেছিলে দেশে এসে
সামনাসামনি দেখতে
তোমাকে ভালোবেসে এত দূর
হাজার হাজার মাইল পার করে আসলাম
শুধু তোমার স্বপ্ন দেখব বলে,
সেই তুমি আমাকে ফাঁকি দিয়ে

চলে গেছ অজানার দেশে।
দেশে ফিরে এয়ারপোর্ট থেকে
সরাসরি তোমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে,
বুকটা ধুক ধুক করছে
যদি তুমি ফিরে আস
খবরটা ভুল হয়
সত্য মিথ্যা ভাবনার মাঝে
কলিং বেলে পড়ল হাত
কেউ একজন দরজা খুলে,
গন্ধরাজ গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে
বুঝে নিতে কষ্ট হলো না
তোমার ফেলে যাওয়া শিউলি ফুল
কি অপরূপ সে দেখতে
খুব জানতে ইচ্ছে করছিল
তারপরও কি দেখে
এত ভালোবেসেছিলে আমাকে?
আমার না আছে রূপ বা তেমন গুন
মিথ্যে করে বললাম, তুমি আমার বন্ধু হতে
বুকের ভিতর সব দুমড়ে-মুচড়ে গেল
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল
আমি ওর শেষ বেলার প্রদীপ ছিলাম।
যাকে ও এক প্রহর না পেলে
অস্থির হতো, আলো নিভু নিভু করত,
ভিতরে প্রবেশ করলাম,
চারিদিকের সবকিছু যেন আমার চেনা
তোমার গল্পতে, তোমার লেখাতে।
মনে হচ্ছিল আমার বহু পুরোনো সংসারে
দাঁড়িয়ে আমি।
সবকিছুই যেন আমার,
কিছুক্ষণ পর ছোট ছোট পায়ে
একজন রাজকুমার এল
আমি বুঝে নিয়েছি
ও ছিল আমাদের গল্পের রোজকার সুখ।
আমি ওর হাত ধরলাম মনে হলো
এই প্রথম তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম
খুব যত্ন করে সযত্নে রেখে
ওর চোখ-কান-নাক-মুখ
সব এক এক করে
সম্পূর্ণ তোমাকে
দেখে নিলাম দু চোখ ভরে।
ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে
নিশ্বাস নিলাম,
যেমনটি রোজ নিতাম ফোনে
প্রাণ ভরে শ্বাস নিলাম, সাথে তোমার ঘ্রাণ নিলাম বুকে,
আর কিছুটা মাখিয়ে নিলাম গায়ে
যেই সুবাসে বাকিটা জীবন
না হয় কাটিয়ে দেব শুধুই তোমায় ভেবে।