সে বিশ্ব আমারই মূর্তি, দীর্ঘ ছায়া আমার মনের

বিভিন্ন কারণে মানুষের সাগর পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কখনো রাজনৈতিক, কখনো আর্থিক, কখনো জীবন যখন হুমকির মুখে পড়ে বা অন্য কারণে মানুষ নিজের জন্মভূমি ছেড়ে দূরে চলে যায়। এ ছাড়া একেবারে মানসিক কারণ, মানে ‘নিজের’ থেকে পালানোর জন্যও কেউ কেউ বিদেশে আশ্রয় নিতে পারে। আমাদের স্বদেশি বাঙালি সমাজ বহুদিন আগে থেকেই বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বা প্রবাসী হয়েছেন। বিশেষ করে গত শতাব্দীর গোড়ায় বিলেতে গেছেন কেউ কেউ। তার কিছুকাল পরেই আমেরিকায় এসেছেন অনেক বাঙালি। আদনান সৈয়দ এ বিষয়ে গবেষণামূলক বই লিখেছেন। আমাদের নিজেদের ইতিহাসের জন্য এ বিষয় গ্রন্থিত করা জরুরি।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বেশি বাঙালি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের মতো এসব বাঙালির বেশির ভাগই এসেছেন পড়াশোনা করতে। তাদের কেউ কেউ পড়াশোনা করে ফিরে গেছেন দেশে। সত্তরের শেষ ও আশির দশকের গোড়ার দিকে কম শিক্ষিত খেটে খাওয়া বাঙালিরা ভাগ্যান্বেষণে আসতে শুরু করেন। এঁদের সংখ্যা বিপুল। তাই গত সাড়ে তিন দশকে আসা বাঙালিরা আমেরিকার বিভিন্ন শহরে নিজেদের আবাস গড়ে তুলছেন। আমাদের ভাষায় এসব প্রবাসী মানুষকেই আমরা অভিবাসী বলি। কিন্তু শিক্ষিত মানুষেরা তাঁদের অভিবাসী পরিচয় নিয়ে বা তাদের জাতিগত পরিচয় কী হবে তা নিয়ে ভাবিত। কেউ কেউ মনে করেন, দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে আমাদের সন্তানেরা যারা এ দেশে বা অন্যান্য দেশে আছে, সবাই সেসব দেশের সংস্কৃতিতে নিজেদের গড়ে তুলবে। কিন্তু এঁদের মধ্যে যারা নিজেদের আদি সংস্কৃতি, ভাষা, শিক্ষাদীক্ষা, এমনকি ধর্ম বংশ পরম্পরায় টিকিয়ে রাখার প্রয়াস নিয়ে ভাবেন, তাঁরা ভিন্ন চিন্তা করেন। কিন্তু আসলে এই আদি পরিচয় সত্যিই টিকে থাকবে কিনা, তা নিয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ ইউরোপের অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিপুল গবেষণা হচ্ছে, বিশেষ করে সত্তর দশকের পর থেকে গত প্রায় পঞ্চাশ বছরে। এর মধ্যে আশির দশকের গোড়া থেকে পশ্চিমা পুঁজিবাদে বিপুল পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কম দামে মজুরের আশায় পশ্চিমা পুঁজির মালিকেরা বেশি মুনাফা করতে দরিদ্র দেশগুলোতে বিনিয়োগ করছে। এর ফলে বিশ্বায়ন বা গোলোকায়নের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সমাজবিজ্ঞানে বা অর্থবিজ্ঞানে এত দিন অভিবাসী পরিচয় নিয়ে যে তাত্ত্বিক আলোচনা হতো, তার সঙ্গে বিশ্বায়ন তত্ত্বের বা তত্ত্বগুলোর একটা সমান্তরাল যাত্রা বা কোথাও কোথাও মিশ্রণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একটা সময় ছিল যখন একাডেমিক জগতে ‘ডায়াসপোরা’ শব্দটা শুধু সে সব মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো, যারা নিজের মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বা সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন এবং অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, যেমন ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায়। যেমন ইহুদি, গ্রিক, আর্মেনিয়ান বা কিউবান। এটা ঘটেছিল মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কারণে। এসব মানুষ গত শতাব্দীতে তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সত্তা বজায় রাখার জন্য আশ্রয় নেওয়া দেশের সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতি ভাবেননি। তাদের মধ্যে জন্মভূমিতে একদিন ফিরে যাওয়ার তীব্র বাসনা পোষণ করতেন। কিন্তু যারা একেবারেই ভাগ্যান্বেষণে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন, তাদের মধ্যে জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার বাসনা তীব্র নয়।
প্রবাসী, অভিবাসী বা ডায়াসপোরা-শব্দগুলোর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যারা শিক্ষা জগতে ডায়াসপোরা নিয়ে গবেষণা করেন, তারা এর ব্যাখ্যা ভিন্নভাবে দেন। হিব্রু শব্দ Galut যা Speiro (to sow), এর সঙ্গে preposition dia (over), আদি গ্রিক ভাষায় পাওয়া যায়, ধরা হয় সেখান থেকেই শব্দটি নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন নৃবিজ্ঞানী তাত্ত্বিক বিশেষ করে রবিন কোহেন ও অর্জুন আপ্পাদুরাই “Cultural Diasporas”, “Fear Diasporas”এবং “Virtual Diasporas” ইত্যাদি বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন এসব অভিবাসী মানুষ সম্প্রদায়কে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের চরিত্রে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন ইহুদি ও আর্মেনিয়ার অভিবাসীদের তাদের মূলভূমির রাজনীতিকেরা তাদের সম্পদ ভাবেন, কারণ তারা মার্কিন দেশে বা ইউরোপে দেশে দেশে তাদের দেশের পক্ষে রাজনৈতিক লবিং করতে পারেন এবং বেশ জোরালো শক্তির সঙ্গেই পারেন। যেমন ২০০২/২০০৩ সময়ে এ দেশে অভিবাসী ইরাকিরা মার্কিনিদের ইরাক আক্রমণের পক্ষে বিশেষ প্রভাব রেখেছিলেন, তেমনি ইহুদিরা এ দেশে ইসরায়েলের পক্ষে রাজনৈতিক লবিং করে থাকেন। অন্যদিকে ফিলিপাইনের বা ভারতের অভিবাসীরা এ দেশ থেকে বিপুল অর্থ দেশে পাঠিয়ে তাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এসব অভিবাসীর জীবনে বা তাদের কাজকর্মের জন্য বিশেষ সুবিধা তারা পাচ্ছেন আধুনিক প্রযুক্তির কাছ থেকে। সেটা রাজনৈতিক দিক থেকেও সত্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতির নীতিমালা নির্ধারণে এসব অভিবাসীরা ভূমিকা রাখছেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। অভিবাসীদের নিজের দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে-ে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন অনেকে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে কমিউনিজমের পতনের পর। সেসব দেশে গণতান্ত্রিক নেশন স্টেট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকে অবদান রাখেন। আমার শিক্ষক অধ্যাপক এনড্র এরাটো ইহুদি পরিবারের সন্তান। এগারো বছর বয়সে পিতামহীর হাত ধরে হাঙ্গেরি থেকে পালিয়ে নিউইয়র্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৮৯ সালে হাঙ্গেরিতে কমিউনিজমের পতনের পর দেশটিকে গণতান্ত্রিক ধনবাদী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং এর আধুনিক শাসনতন্ত্র প্রণয়নে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নামজাদা সমাজবিজ্ঞানী। নিউ স্কুলের অধ্যাপনা থেকে ছুটি নিয়ে প্রায় দুই বছর হাঙ্গেরিতে কাটান নিজের মাতৃভূমির আধুনিক শাসনতন্ত্র রচনার জন্য। এমন উদাহরণ আরও অনেক রয়েছে। ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাঙালিরা এ দেশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন স্বাধীনতার পক্ষে।
আমাদের বাঙালি অভিবাসীদের সংখ্যা এখন যদিও কম নয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে এখনো ভারতীয় অভিবাসীদের মতো পরিকল্পিত শিক্ষিত ‘ভারতীয়-আমেরিকান’ অভিবাসী সমাজ গড়ে ওঠেনি, যাদের নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব মার্কিন রাজনীতি-সংস্কৃতি-অর্থনীতিতে রাখতে সমর্থ হয়েছে। বাঙালিদের সামগ্রিক-অভিবাসীয় কোন প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্ম আছে কিনা আমি জানি না, কিন্তু ভারতীয়দের অনেক ওয়েবসাইট আছে। সেখানে তাদের জাতীয় ও অভিবাসীয় কর্মকাণ্ডে বিবরণ দেখা যায়। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার অভিবাসীদের মধ্যে Collective Conscience সৃষ্টিতে বিশেষ সহায়ক। একটি ভারতীয় অভিবাসীদের ওয়েব সাইটে লেখা, ‘The Diaspora is very special to India. Residing in distant lands, its members have succeeded spectacularly in their chosen professions by dint of their single-minded dedication and hard work. What is more, they have retained their emotional cultural and spiritual links with the country of their origin. This strikes a reciprocal chord in the hearts of people in India’
আমাদের সঙ্গে ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক দিক থেকে কিছু জায়গায় সাদৃশ্য থাকার কারণে ও ঐতিহাসিক দিক থেকে আমরা কাছাকাছি ট্র্যাডিশনের উত্তরাধিকার, তাই আমাদের অভিবাসীদের অনেকেই আমাদের আগে আসা ভারতীয়দের পথকে অনুসরণ করেছেন। তবে আমাদের বাঙালিদের মূল অংশ এসেছে আশির দশকের গোড়ার দিক থেকেই। সত্তরের দশকে কিছু ফার্মাসিস্ট, নার্স ও ডাক্তার এসেছেন। তাঁরা নিজেদের ক্লাব বা সংগঠন করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, নিজেদের আত্মপরিচয় যাতে সন্তানদের মাঝে থাকে সে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আশির দশক থেকে বিপুলসংখ্যক বাঙালি শ্রমিক শ্রেণির মানুষ আসার পর আমাদের প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে চরিত্রগত বা প্রকৃতিগত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শ্রমিক শ্রেণির মানুষ শিক্ষা বা সংস্কৃতিতে একটু ন্যূন হলেও সংখ্যায় বেশি থাকার কারণে তাঁরা নিজেদের সংগঠন গড়ে তোলেন এবং তাঁদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বড় শহরগুলোতে বাঙালিদের উপস্থিতির জানান দেন জোরালোভাবে। এর ফলে বিভিন্ন ব্যবসা, সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকাণ্ড লক্ষ্য করা যায়। গোড়ার দিকে মানে আশির শেষ দিকে ও নব্বইয়ের গোড়ায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সংবাদপত্র যেমন ‘দিগন্ত’, ‘প্রবাসী’, ‘ঠিকানা’, ‘বাঙালী’, ‘পরিচয়’ ও আরও দু-একটি সাপ্তাহিক বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
নব্বইয়ের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশনালয় মুক্তধারা পরিবারের সদস্য বিশ্বজিত সাহা নিউয়র্কে আসেন। তিনি বাংলাদেশে জেলা শহরে থাকাকালে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন। নিউয়র্কে তখন ‘প্রবাসী’ প্রধান সাপ্তাহিকগুলোর একটি। সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ সম্পাদিত সেই পত্রিকায় যোগ দিয়ে বিশ্বজিত নিউইয়র্কে সাংবাদিকতা শুরু করেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য বা নিজের ভেতরের ক্ষুধা, যে কারণেই হোক তিনি নিজের ঘরে বসে কিছু বই পাঠকদের কাছে বিক্রি শুরু করেন। রাজনৈতিক আদর্শ ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে তিনি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে ধারণ করেন, তাই শুরু থেকেই দু-চারজন সমমনা বন্ধুদের নিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন বা স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস পালন ইত্যাদি ছোট আকারে পালনের সঙ্গে যুক্ত হন। তখন নিউয়র্কে কয়েকজন লেখক বাস করতেন এবং তাঁরাও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতির অনুসারী, তাঁরা বিশ্বজিত সাহাকে এসব কাজে সাহায্য করেন। একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের মধ্যে দিয়েই হয়তো তাঁর পরিবারের বিখ্যাত প্রকাশক, যিনি বাংলাদেশে একুশের বইমেলার প্রবর্তক, চিত্তরঞ্জন সাহার মতো নিউয়র্কেও বই মেলা করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নেন। এতে তাঁকে যারা সাহায্য করেন তাঁদের মধ্যে ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, ড. পূরবী বসু, সৈয়দ মোহামদ উল্লাহ, ড. নুরুন্নবী, ড. জিয়াউদ্দিন, হাসান ফেরদৌস, নিনি ওয়াহেদ, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সেমন্তী ওয়াহেদ, আদনান সৈয়দসহ আরও অনেকে। ধীরে ধীরে বইমেলা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক লেখক সাহিত্যিকের মিলনমেলায় পরিণত হয়। দেখতে দেখতে ২৭ বছর পেরিয়ে আটাশ বছরে পা দিয়েছে এই জনপ্রিয় বইমেলা। ঢাকা, কলকাতা ও নিউইয়র্কের লেখক-পাঠকদের কাছে এখন এটা একটা বড় বার্ষিক অনুষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
অভিবাসীদের মধ্যে নিউইয়র্ক বইমেলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা বিরাট। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। তাই দেখা যায়, এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা এবং কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। সাংস্কৃতিকভাবে বইমেলার আয়োজকবৃন্দ ও এর সহযোগীরা প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী প্রগতির পক্ষের মানুষ। তাই এই মেলা ও মুক্তধারার অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বাঙালি অভিবাসীদের মধ্যে আজ প্রায় তিন দশক ধরে একটি প্রগতিশীল চেতনাকে নিরন্তর বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় কাজ। আমার মনে হয় বইমেলা ও মুক্তধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে সুদূর প্রসারী অবদান রাখছে। এর জন্য মুক্তধারা ও বিশ্বজিত সাহা অবশ্যই ধন্যবাদ ও প্রশংসার যোগ্য। আর আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা দাবি করেন সেই সব মানুষ, যারা আজ প্রায় তিন দশক ধরে এই মেলাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁদের শ্রম ঘাম ও মেধা দিয়ে, গৃহস্থ বধূর কল্যাণী হাতে জ্বালানো সন্ধ্যাপ্রদীপের সলতের আলোর মতো!