তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, মার্কিন অভিযোগে জাপানের 'না'

ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য দায়ী ইরান—যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই অভিযোগ উত্থাপন করেছে। তারা একটি অস্পষ্ট ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত ট্যাংকারের একটি থেকে ইরানি নিরাপত্তাপ্রহরীরা অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে ফেলছেন।

যে ট্যাংকার দুটি আক্রান্ত হয়, তার একটির মালিক জাপানি কোম্পানি কোকুকা সাঙ্গিও শিপিং ফার্ম। এই কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ইউতাকা কাতাদা বলেছেন, কোনো মাইনে তাঁর ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জাহাজের ক্রুরা জানিয়েছেন, দূর থেকে উড়ে আসা একটা কিছুর আঘাতে বিস্ফোরণ ঘটে। আর তার ফলে জাহাজের এক পাশে ফুটো হয়ে যায়।

ইউতাকা কাতাদা বলেন, ‘বোমার বিস্ফোরণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের মনে হয় না। বিস্ফোরণ হলে জাহাজের অন্যান্য স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা।’ তিনি বলেন, এটা কোন টর্পেডোও নয়, কারণ যে বস্তুর আঘাতে বিস্ফোরণ ঘটে, তা পানির বেশ ওপরে এসে আঘাত করে।

এই বিস্ফোরণের সময় তেহরানে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইরানি নেতাদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে আলোচনা বসেছিলেন। সে কথা উল্লেখ করে ইউতাকা কাতাদা বলেন, জাপানি বলে জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে, সে কথা সম্ভবত সঠিক নয়। কারণ, ব্যাপারটা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা খুব সহজ নয়।

মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত কাজটি ইরানিদের দ্বারাই ঘটেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রকাশিত ভিডিওটি উল্লেখ করে বলেছেন, এতে তো স্পষ্ট, ব্যাপারটার সঙ্গে ইরান যুক্ত। তারাই এই কাজ করেছে। তবে ইউরোপীয়রা এই মার্কিন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সন্দিহান। তারা আরও স্পষ্ট প্রমাণ চেয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইরাক যুদ্ধের সময় মার্কিন কর্তৃপক্ষ সাদ্দাম হোসেনের আণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে যে প্রমাণ দাখিল করে, তা সত্য প্রমাণিত হয়নি। সে কারণেই তাদের সন্দেহ।