শেষ হলো রাধারমণ লোক উৎসব

কখনো বিচ্ছেদ, কখনো প্রেম, আবার কখনো দেহতত্ত্বের ভেতর-বাহির। এভাবে গীতিকবি রাধারমণ দত্তের সুরের আবেশ ছড়িয়ে যায় কানাডার টরন্টোতে। ভিন দেশের বুকে রাধারমণের সুরে শ্রোতাদের মন ভিজিয়েছেন বাংলাদেশি ও কানাডাপ্রবাসী শিল্পীরা।

গত ২১ জুন টরন্টোর শহরে আয়োজন করা হয় রাধারমণ লোক উৎসব ২০১৯। নান্দনিক আগাখান মিউজিয়াম মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করে ড্যানফোর্থ এক্সপ্রেস। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নানা পরিবেশনায় দর্শকেরা উপভোগ করেন অনন্য এ আয়োজন। অতিথি শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাধারমণ লোক উৎসবে যোগ দেন চন্দনা মজুমদার, আশিক ও পিন্টু ঘোষ। আর টরন্টো থেকে যোগ দেন শিল্পী তমা পাল, তমা রায় ও সাবু শাহ।
সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব। ছিল রাধারমণের সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্য। মেরী রাশেদীন ও উজ্জ্বল দাশের উপস্থাপনায় প্রথম পর্বে গান পরিবেশন করেন কানাডাপ্রবাসী শিল্পী সাবু শাহ, তমা রায় ও তমা পাল। সবশেষে ঢাকা থেকে আগত অতিথি শিল্পী চন্দনা মজুমদার, আশিক ও পিন্টু ঘোষ গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের আগে উৎসব উদ্‌যাপনের আহ্বায়ক সুদীপ সোম রিংকু অতিথি ও দর্শক শ্রোতাদের স্বাগত জানান। তিনি বলেন, কানাডার বহু সংস্কৃতির বৃহত্তর পরিসরে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটুক—এমন চাওয়া থেকেই এ রাধারমণ লোক উৎসবের আয়োজন। প্রবাসে বাস করেও বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রতি কানাডা প্রবাসীদের আগ্রহকে তিনি অভিনন্দন জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন টরন্টোয় বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমদ, কবি আসাদ চৌধুরী, সিটি কাউন্সিলর গ্যারি ক্রফোর্ড, ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, ড. সুশীতল চৌধুরী, শিল্পী মুন্নী সোবহানী, দেবব্রত দে তমাল প্রমুখ। আলোচনা পর্বের শুরুতে জ্যোতি দত্ত পুরকায়স্থ ও আবদুল কাইয়ূম মুকুল রাধারমনের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে টরন্টোয় বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সাধক-কবি রাধারমণ দত্তকে নিয়ে বিশাল পরিসরে এ লোক উৎসব ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ী। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই রাধারমণ দত্তের গান ও জীবন দর্শনকে তুলে ধরার এ অনন্য প্রয়াসের জন্য।’
কানাডায় প্রথমবারের মতো এ রাধারমণ লোক উৎসবের আয়োজনে সহযোগী ছিল ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড বাংলাদেশ, জেএনআর লিগ্যাল সার্ভিসেস, রিয়েলটর দেবব্রত দে, দেশে-বিদেশ টিভি, ঝংকার টিভি ও সংস্কৃতিবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা গানপার।