মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নিউইয়র্কে সভা

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে শোকসভায় আলোচকেরা। ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে শোকসভায় আলোচকেরা। ছবি: প্রথম আলো

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের অকাল প্রয়াণে নিউইয়র্কে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ জুলাই প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে ‘আলাপে সংলাপে’ এবং উচ্চারণের সাপ্তাহিক আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের জীবন নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর শোকার্ত সহচর, অনুরাগী ও অনুসারীরা। জানানো হয় পরিবারের প্রতি সমবেদনা। বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান দেখিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। আত্মার মাগফেরাতের জন্য মোনাজাত করা হয়।

সভায় লেখক, প্রকাশক, কবি ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশক মনিরুল হক ও হূমায়ুন কবীর ঢালী ঢাকা ফিরে যাওয়ার আগে শোক সমাবেশ ও লেখক সংলাপে যোগ দেন। মুহম্মদ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী, লেখক আহমাদ মাযহার, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, প্রকাশক মনিরুল হক, আবৃত্তিকার ও কবি আনোয়ারুল হক লাভলু।

এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন, কবি রোকেয়া দীপা, সাংবাদিক ও লেখক মনিজা রহমান, লেখক রিমি রুম্মান, লেখক উইলী মুক্তি, লেখক শেলী জামান খান, শিল্পী মরিয়ম মারিয়া, তানভীর রব্বানী, লেখক আবদুস শহীদ, ফটোগ্রাফার কাজী শফিকুল হক, লেখক মাহবুব রহমান, লেখক ইশতিয়াক রূপু, লেখক ও কবি ফারুক ফয়সল, সাংবাদিক শাহেদ আলম, সালেহ আহমেদ, মনজুরুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম টক শো বা আলোচনাধর্মী অনুষ্ঠান ‘অভিমত’ এর সঞ্চালক ছিলেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। ৯ জুলাই দিবাগত রাতে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রবীণ এই সাংবাদিক দীর্ঘ দিন ধরে রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ৮ জুলাই বেলা ১১টার দিকে তাঁকে ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকাতে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মিডিয়া বিষয়ে বেশ কিছু বই লিখেছেন এবং সেন্টার ফর কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট নামের একটি বেসরকারি সংস্থাও গঠন করেন।

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসের আলোচনায় বক্তারা বলেন, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতি যে ভালোবাসার প্রকাশের তাগিদ ছিল, তা হয়নি। এমন উদাসীনতাকে এক ধরনের দীনতা উল্লেখ করে আলোচকেরা বলেন, এসব সীমাবদ্ধতার কারণে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের অবদান বা কীর্তি কোনোটাই ম্লান হয়ে যায় না বরং বিরাজমান অসংগতিকে আরও প্রকাশ্য করে দেয়।