অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিয়ম

অধিকারকর্মীরা গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সদর দপ্তরের কাছে বিক্ষোভ করে। ছবি: রয়টার্স
অধিকারকর্মীরা গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সদর দপ্তরের কাছে বিক্ষোভ করে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত পাঠাতে নতুন নিয়ম করেছে দেশটি। নতুন এই নিয়মের অধীনে বৈধ কাগজপত্র নেই, এমন অভিবাসনপ্রত্যাশী যিনি যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বসবাস টানা দুই বছরের বেশি হয়েছে বলে প্রমাণ করতে পারবেন না, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠানো যাবে। ওই ব্যক্তি অভিবাসন আদালতে যাওয়ারও সুযোগ পাবেন না। মঙ্গলবার এই নতুন নিয়মের বিষয়টি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। এরপরই তা পুরো দেশে দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু হবে।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন অভিবাসন নীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের চাপ বৃদ্ধি, বিশেষ করে মেক্সিকোর সঙ্গে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় আটক কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন এই নিয়ম করা হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ক্ষমতায় এলে অভিবাসন বিষয়ে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও তাঁর মূল ইস্যু অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থান। সে লক্ষ্যেই তিনি নতুন নিয়ম তৈরি করছেন।

আগের নিয়মে ছিল, সীমান্তের ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে আটক ব্যক্তিকে যদি দেখা যায়, দুই সপ্তাহের কম সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছেন, তাহলে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠানো হবে। এর বাইরে অন্য জায়গায় যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেখা যাবে অথবা যাঁরা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটিতে অবস্থান করছেন, তাঁদের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হবে এবং ওই অভিবাসনপ্রত্যাশী আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পাবেন।

তবে নতুন নিয়মের আওতায় দেশটির যেকোনো জায়গা থেকে বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আটক হলেই তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আইনজীবী রাখারও সুযোগ কম।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে আরও দক্ষতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে নতুন নিয়মটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এদিকে অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) নতুন নিয়মকে অবৈধ দাবি করে এর বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে নামার ঘোষণা দিয়েছে।