অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি

মারুফ আলম
মারুফ আলম

মারুফ মিটু আলম নামে তিনি পরিচিত। ২৯ বছর বয়সী এই প্রবাসী বাংলাদেশি ১১ বছর ধরে ব্রুকলিনের অ্যাসেম্বলি মেম্বার ফেলিক্স অর্টিজের অফিসে কাজ করছেন। ৮০ হাজার ডলার আত্মসাতের অভিযোগে ৮ আগস্ট সকালে তাঁকে ব্রুকলিনের সানসেট পার্কের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অ্যাসেম্বলি মেম্বার ফেলিক্স অর্টিজের প্রচার তহবিল থেকে আলম এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
আলমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ফৌজদারি অভিযোগ অনুসারে, আলম প্রচার কমিটি ও এর দাতাদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য বেশ সুক্ষ্ম একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। মিথ্যা ও প্রতারণামূলক এক বা একাধিক প্রচারণা উপস্থাপনার মাধ্যমে এই অংকের ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
ফৌজদারি অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একটি প্রচার প্রকল্প চলে আসছিল। ওই প্রকল্পে আলমকে প্রচারণা অ্যাকাউন্টের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে তিনি ভুল ও মিথ্যা প্রচার দেখিয়ে ব্যয়ের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এভাবে তিনি প্রচার তহবিল থেকে অর্থ চুরি করে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন।
আদালত আলমকে এক লাখ ডলার বন্ডে জামিন দিয়েছে। জামিনের শুনানির সময় তাঁর মা ও বাবা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ওমেনের প্রচারণা অ্যাকাউন্টকে আলম তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাব হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ডোনোগ বলেছেন, ‘আলম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। আজকের গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয়, অসাধু সরকারি কর্মচারীদের তাদের অপরাধের পরিণতির জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত আইনের মাধ্যমে পুরোপুরি তাদের বিচার করা হবে।’
অ্যাসেম্বলি সদস্য ফেলিক্স অর্টিজের অফিসে ভুয়া প্রচারণা চালিয়ে ৮০ হাজার ডলার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক প্রচারণা তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম আসছে নিউইয়র্কের গণমাধ্যমে। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীরা বিব্রত হচ্ছেন। চূড়ান্ত বিচারে অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত মিটু আলমকে নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি অনেকেই।