বিনিয়োগের অংক বাড়ছে, লাগবে অন্য যোগ্যতাও

অর্থ ব্যয় বা বিনিয়োগ করে আমেরিকার নাগরিক হতে চান? সেটা সব সময় আমেরিকায় সম্ভব ছিল এবং সেই সম্ভাবনা এখনো আছে। একসময় শুধু অর্থ খরচ করে আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করা যেত। কিন্তু এখন আর শুধু অর্থ বিনিয়োগ করে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। নাগরিকত্ব পেতে হলে অর্থ বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্য যোগ্যতাও থাকতে হবে। আবার বিনিয়োগের পরিমাণও আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে। ট্রাম্প সরকার এবার অর্থ দিয়ে আমেরিকার গ্রিনকার্ড বা নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রোগ্রামে নতুন কিছু নিয়ম যোগ করেছে।

অভিবাসী বিনিয়োগকারী ইবি-৫ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমেরিকায় বিনিয়োগ করে গ্রিনকার্ড পায়। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন বিদেশিদের মার্কিন গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য প্রান্তিক বিনিয়োগের বৃদ্ধির পরিমাণ চলতি বছরের ২১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আগে মার্কিন গ্রিনকার্ডের জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এখন এই বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা করা হচ্ছে।
একটু পরিষ্কার করেই বলা যাক। আগে বাংলাদেশ থেকে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশি টাকায় চার কোটি পঁচিশ লাখ টাকা আমেরিকার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে আঠারো মাসের মধ্যে গ্রিনকার্ড নিতে পারতেন। এই প্রোগ্রামকে বলা হয় ইবি-৫ গ্রিনকার্ড প্রোগ্রাম। আর গ্রিনকার্ড পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়। এখন বাংলাদেশ থেকে কোনো ব্যক্তিকে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আঠারো মাসের মধ্যে আমেরিকার গ্রিনকার্ড পেতে পারেন তিনি।
শুধু অর্থের পরিমাণ যে বেড়েছে তাই নয়। ট্রাম্প সরকার ইবি-৫ এর মাধ্যমে গ্রিনকার্ড পেতে আরও নতুন কিছু নিয়ম যোগ করেছে। সেগুলো হচ্ছে—ইবি-৫ অন্তর্ভুক্ত হতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে, আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। উপরিউক্ত নিয়মগুলো আগে শুধু আমেরিকার নাগরিক হতে প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন ট্রাম্পের সরকার ইবি-৫ গ্রিনকার্ড প্রোগ্রামে তা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
পাম গোল্ডিং ইন্টারন্যাশনালের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ক্রিস ইমেলম্যান বলেন, ‘অর্থ বিনিয়োগের এই বৃদ্ধি প্রত্যাশিত হিসেবে ততটা বেশি নয়। কিন্তু আপনি যদি ইবি-৫ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করার বিষয়ে সিরিয়াস হন এবং ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার নিম্ন বিনিয়োগ থেকে উপকৃত হতে চান তবে আপনার প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনি কেবল ১ নভেম্বরের মধ্যে আপনার আবেদন জমা দিন। এই সময়ের পর হলে আপনাকে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই কেবল ১৮ মাসের মধ্যে আমেরিকার গ্রিনকার্ড পেতে পারেন।