মস্কো ভ্রমণের ভিসা পেতে ব্যর্থ দুই মার্কিন সিনেটর

পুতিনের ব্যাপারে ট্রাম্পের উৎসাহ ক্রেমলিনকে খুব বেশি নাড়া দিচ্ছে না। ছবি: রয়টার্স
পুতিনের ব্যাপারে ট্রাম্পের উৎসাহ ক্রেমলিনকে খুব বেশি নাড়া দিচ্ছে না। ছবি: রয়টার্স

পরবর্তী জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্রান্সের সাগরঘেঁষা শহর বিয়ারিটজে অনুষ্ঠিত শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, পুতিনকে পরবর্তী সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পুতিনের ব্যাপারে ট্রাম্পের এই উৎসাহ ক্রেমলিনকে খুব বেশি নাড়া দিচ্ছে না। মার্কিন সিনেটের দুই সদস্য মস্কো ভ্রমণের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

দুই মার্কিন সিনেটরের একজন ডেমোক্রেটিক সদস্য ক্রিস মার্ফি। অপরজন রিপাবলিকান সদস্য রন জনসন। আরেক রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লিকে নিয়ে মার্ফি ও জনসনের আগামী সপ্তাহে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা। লির ভিসার ব্যাপারটি এখনো জানা যায়নি।

ট্রাম্প আগামী বছরের জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানাতে চান—এমন খবরে একাধিক ডেমোক্রেটিক সিনেটর বিরক্ত হন। এর মধ্যে মার্কিন সিনেটের সদস্যদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে মস্কো, এই খবর তাঁদের আরও তাঁতিয়ে তোলে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্ফি ও জনসন ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে ভিসা প্রদানে অস্বীকৃতির জন্য মস্কোর কঠোর সমালোচনা করেন। মার্ফি বলেন, এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটবে।

মার্ফি ও জনসন দুজনই পুতিনের সরকারকে কর্তৃত্ববাদী বলে সমালোচনা করেন। তাঁর ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণের পরামর্শ দেন। রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও মস্কোর এই সিদ্ধান্তে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের আগ পর্যন্ত রাশিয়া জি-৮ নামে পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর জোটের সদস্য ছিল। ক্রিমিয়া দখলের শাস্তি হিসেবে রাশিয়াকে জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে জোটে নাম দাঁড়ায় জি-৭।

আগামী বছর জি-৭ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এই সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানাতে চান ট্রাম্প—এই প্রস্তাবের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার। ট্রাম্পের কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, এই গ্রুপে অন্তর্ভুক্তির জন্য যে গণতান্ত্রিক কাঠামো বা অর্থনৈতিক যোগ্যতা দরকার, তা এই মুহূর্তে রাশিয়ার নেই।

পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে ট্রাম্প তাঁর আগ্রহের কথা গত শনিবার এক নৈশভোজের সময় প্রথম জানান। সেখানেই ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। ইউরোপীয় সূত্রে বলা হয়েছে, পুতিন প্রশ্নে বাদানুবাদের ফলে একটি চমৎকার নৈশভোজ মাটি হয়ে যায়।