ঋণাত্মক স্রোত

স্থলে, মাটির ওপরে দু’পায়ে দাঁড়িয়ে, তবু ডুবে যাচ্ছি
যেন এক অসীম নীল সাগরে সাঁতরাচ্ছি
তাবত্‍ পৃথিবী আমার বিপরীতে,
সব স্রোত, সব ঢেউ এক হয়ে, একটা ঋণাত্মক গতিতে
থামিয়ে দিচ্ছি এই পথ চলা, এগিয়ে যাওয়া।

প্রতিকূল স্রোত ঠেলে যেতে যেতে
এই হাত, পা, চোখ সব ক্লান্ত, অবিশ্রান্ত
তবু এই পথের হয় না শেষ, দেখা হয় না তার অন্ত
মুঠো খুলে, সব ফেলে
ভেসে যাওয়ারও নেই অন্য কোনো সুযোগ।

এই পথে না চাইলেও নামে ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাত
মাথার ওপরে কখনো মেলে না
একটিও ছাতা কিংবা চেনা কোনো হাত
অসময়ে আঁধার করে পথে নেমে আসে কালো রাত।

বাইরের মতো এই দেহের ভেতরেও আছে
বহমান স্রোতের একটি নদী, এলোমেলো সেই নদীর ঢেউ
কখনো সে সানন্দে পাহাড়, পর্বত ডিঙায়,
আবার কখনো বাধার প্রাচীর হয়ে নিজেরই সম্মুখে দাঁড়ায়।