সুরমা

দৃঢ় বহমান বাংলার স্রোতস্বিনী সুরমা,
আমার মাতৃভূমির তুমি অনন্যা।
মাঝি গায় ভাটিয়ালি উজান তরণী,
দূর থেকে শুনি তব কল্লোল ধ্বনি!
তোমাকে ঘিরে অনাদিকালের কত স্বপ্ন-গান
রাখালের বাঁশির সুরে সুমধুর তান।
তুমি বর্ষায় রণ-রঙ্গিনী জনপদ কর গ্রাস,
ভয়াল আক্রোশে তরঙ্গ আঘাতে
দু’তীরে জাগাও ত্রাস।
আবার স্নেহভরে ঘর্মাক্ত কৃষকের মিটাও পিয়াস!
মহা তপস্বিনী সাজো শীতে এই বাংলায়,
দু’তীর সুজলা-সুফলা কর রূপের বন্যায়।
বিচিত্র রূপিণী তুমি কখনো কীর্তিনাশা,
তোমাকে ঘিরে কত কাব্য ও কবিতা
কবি পায় ভাষা।
মহা সাধকের পদস্পর্শে ধন্য তুমি
তোমার জল,
জায়নামাজে শাহজালাল (র.)
শান্ত সুশীল বুকের ঢল।
তুমি চিরকাল বয়ে চল, পাপকে সয়লাব করো,
পুণ্যকে জাগিয়ে রাখো, ভীরুকে সাহসী করো,
অবিরাম রূপলীলা সুর আর গানে,
চতুর্দিক ভাসায়ে দাও সবুজের বাণে!
তুমি প্রকৃতির মেয়ে শ্রীহট্ট-ললনা,
‘হাডসন’ নদীর চেয়েও স্বচ্ছ-সুন্দর তুমি অনন্যা!