মুসলিম মেয়রকে বিমানবন্দরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ

নিউজার্সির এক নগরীর মুসলিম মেয়রকে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুধু মুসলিম হওয়ার কারণেই তাঁকে হয়রানি করা হয়েছে বলে এরই মধ্যে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ।
নিউজার্সির প্রোসপেক্ট পার্ক নগরীর মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ তাঁর পরিবারসহ তুরস্ক সফর শেষে আমেরিকায় ফেরার সময় হয়রানির শিকার হন। পরিবারসহ তাঁকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এ অবস্থায় মুসলিম বলে জাতিগত হয়রানি করা হয়েছে মর্মে তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেন।
প্রোসপেক্ট পার্ক শহরের মেয়রের দায়িত্ব অনেক দিন ধরেই পালন করছেন মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ। তিনি বলেন, জেএফকে বিমানবন্দরে কাস্টমস ও বর্ডার পেট্রল এজেন্টরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক করে। কয়েক ঘণ্টার জন্য তাঁকে আটক করে রাখে। গত ২ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। আটকাবস্থায় এজেন্টরা তাঁকে অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে। তাঁর কাছ থেকে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাঁর মায়ের নাম এবং তিনি কোথায় ভ্রমণ করেছিলেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ সফরের সময় কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কি না এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কি না তাও তারা জানতে চায়।
মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা চরম অপমানজনক। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে আলাদাভাবে বিবেচনা করবার জন্য শ্রেণিভুক্ত করা চরম আপত্তির। এজেন্টরা আমার ব্যক্তিগত ফোন তল্লাশি করে, যেখানে ব্যক্তিগত ই-মেইলসহ অন্যান্য বার্তা রয়েছে। ফোনটি ফেরত চাইলে তারা তা অস্বীকার করে। বলে, এটি তাদের রাখতে হবে।’
পরে আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের আইনজীবীর হস্তক্ষেপে ঘটনার ১২ দিন পর মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ তাঁর ফোন ফিরে পান। মেয়র খায়রুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমাদের আইন ও সংবিধানের সঙ্গে খুব পরিচিত। সেখানে আমার সঙ্গে যা যা করা হয়েছে, তা ছিল সংবিধানের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।’