যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমিক খুনি ৫০ জনকে মেরেছেন

সিরিয়াল কিলার স্যামুয়েল লিটল। ছবি: এএফপি
সিরিয়াল কিলার স্যামুয়েল লিটল। ছবি: এএফপি

আশির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো মার্কিন নাগরিক স্যামুয়েল লিটল কমপক্ষে ৫০ জনকে হত্যা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, স্যামুয়েল লিটল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার)। খবর এএফপির।

১৯৭০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৯৩টি হত্যাকাণ্ড সংঘটনের কথা গতকাল রোববার স্বীকার করেছেন স্যামুয়েল লিটল (৭৯)। এফবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, নিহত লোকজনের বেশির ভাগই নারী। তদন্ত কর্মকর্তারা এর মধ্যে ৫০টি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের বিশ্বাস, লিটলের স্বীকারোক্তি বিশ্বাসযোগ্য।

লিটল যাঁদের হত্যা করার কথা দাবি করছেন, অজ্ঞাতপরিচয় সেসব ব্যক্তির ভিডিও ফুটেজ এবং হাতে আঁকা স্কেচ নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে এফবিআই।

এফবিআই সেই ওয়েবসাইটে লিখেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অনেকেই অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ, দুর্ঘটনা অথবা অস্বাভাবিক কোনো কারণে মারা গেছেন। কয়েকজনের লাশ শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনটি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন লিটল। তখন থেকে তিনি জেলেই আছেন।

এফবিআইয়ের অপরাধ বিশ্লেষক ক্রিস্টি প্যালাজলো বলেন, ‘স্যামুয়েল লিটল বহু বছর ধরে বিশ্বাস করতেন, তিনি ধরা পড়বেন না। কারণ, তিনি ভেবেছিলেন তাঁর শিকারদের পক্ষ নিয়ে কেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন। তবে এফবিআইয়ের বিশ্বাস, অন্যায়ের শিকার প্রতিটি ব্যক্তির ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কাজেই যত দূর সম্ভব প্রতিটি মামলার সুরাহা করার চেষ্টা করছি আমরা।’

স্যামুয়েল ম্যাকডয়েল নামে পরিচিত সাবেক এই বক্সারকে ২০১২ সালে কেনটাকির গৃহহীন মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রথমবার গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেবার তাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।

সেখানে আসার পর ডিএনএ পরীক্ষায় অপর তিনটি হত্যা মামলার সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের প্রমাণ পায় পুলিশ। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে তিন নারীকে হত্যার দায়ে ২০১৪ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নিহত নারীদের তিনজনকেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।