ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে সাক্ষ্য দেবেন কূটনীতিকেরা

ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ছবি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনবিষয়ক তদন্তের গতি আরও বাড়ছে। সূত্র বলেছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে দেশটির কূটনীতিকদের বেশ কয়েকজনকে প্রতিনিধি পরিষদে ডাকা হবে। যদিও হোয়াইট হাউস এই তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

সাক্ষ্য দেবেন এমন কূটনীতিকের তালিকায় রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সনল্যান্ড। তিনি মূলত হান্টার বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত শুরুর জন্য ইউক্রেনে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাশা ইভানোভিচকেও সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের অতীত ব্যবসার ব্যাপারে তদন্তের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প। বিনিময়ে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ সহায়তা তহবিল অনুমোদন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এই কথোপকথনের তথ্য ফাঁস করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) অজ্ঞাতনামা এক কর্মকর্তা। এরপর চলতি সপ্তাহে আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি মার্ক জাইদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তবে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ওই দ্বিতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা কী কী বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, তা বিস্তারিত জানাননি জাইদ। তিনি বলেছেন, এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথোপকথনের বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

হোয়াইট হাউস সূত্র বলেছে, অভিশংসন তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি যেসব নথি চেয়েছে, তা দেওয়ার আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ নিয়ে ভোট হতে হবে। ওই ভোটে ডেমোক্র্যাটরা জিতলেই তবে হোয়াইট হাউস এসব নথি দেবে। যদিও পোলোসি আগেই বলেছেন, এ জন্য ভোটের প্রয়োজন নেই।

এদিকে ডেমোক্র্যাটদের পদক্ষেপে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পেলোসি জানেন প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ মিথ্যা বলছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হতে পারে।