তাঁরা নজর কাড়েন সবার

রূপে ও গুনে এই শহরের ‘আইকন’ তাঁরা। টেলিভিশন খুললে তাঁদের পরিবেশিত খবর সবাইকে মুগ্ধ করে। মেধার দ্বীপ্তিতে তাঁরা উজ্জ্বল। সৌন্দর্যে তাঁরা অনন্যা। তাঁরা হলেন শামসুন্নাহার নিম্মি, নুপুর চৌধুরী, সাদিয়া খন্দকার ও তৌহিদা সুমী। দিনভর সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনার ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে তাঁরা নিজেদের সুন্দর রাখেন—এই প্রশ্ন অনেকের। বাংলাদেশে থাকতেই ছোট পর্দার উজ্জ্বল এ মুখগুলো নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, যা তাঁদের এই শহরের সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি এই চার নারী উপস্থাপকের সৌন্দর্য ভাবনা জানতেই আজকের এ আয়োজন—

নুপুর চৌধুরী

‘যা করবে সেটি খুব ভালো করে করবে, মনোযোগ দিয়ে করবে’, মায়ের এই একটি কথাই দীর্ঘ ১৮-১৯ বছরের ক্যারিয়ারে নুপুর চৌধুরীর প্রেরণার উৎস। মা নাচ করতেন, লেখালেখি করতেন। বাবা দুটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও মালিক। তাই গান-নাচের মধ্য দিয়েই নুপুরের বড় হয়ে ওঠা। গান শেখা, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক কিংবা গল্পের বই পড়াটা ছিল পারিবারিক সংস্কৃতিরই অংশ। নুপুরের ময়মনসিংহ শিল্পকলায় গান শেখাটাও হয়েছে মায়ের অনুপ্রেরণায়। ছোটবেলায় কবিতা আবৃত্তি ও বিতর্কের সময় উচ্চারণ ঠিক করার জন্য মা মেয়েকে একটা ছোট ‘হ্যান্ড ক্যাসেট প্লেয়ার’ কিনে দিয়েছিলেন নিজের উচ্চারণ শোনার জন্য, যেন নিজে নিজেই উচ্চারণ ঠিক করে নিতে পারে। প্রথম স্টেজে ওঠা কিংবা মাইক্রোফোনের সামনে আসাও ছোটবেলাতেই। স্কুলে থাকতেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। একই সময়ে বাবার পত্রিকাতে হয় লেখালেখির হাতেখড়িও। ক্লাস সেভেনে পড়াকালেই ভোরের কাগজে ছাপা হয় তাঁর প্রথম লেখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নানা সুযোগ হাতছানি দিতে থাকে। লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন বলে মা চাইতেন না সাংস্কৃতিক জগৎ কিংবা গণমাধ্যম তাঁর ক্যারিয়ার হোক। তাই অনেকটা মায়ের আগ্রহেই নুপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা করা। ইচ্ছে কূটনীতিক হওয়া। তবে যে প্রেম, যে নেশা রক্তের সঙ্গে মিশে থাকে, তা থেকে দূরে থাকা তো যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০০১ সালেই বিটিভিতে উপস্থাপনা শুরু করেন নুপুর। এরপর রেডিও টুডে। বাংলাদেশের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল সিএসবি, চ্যানেল ওয়ান, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ মেলে শিক্ষার্থী থাকাকালেই। রেডিও টুডের মাধ্যমে ভারতেও উপস্থাপনার ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ মেলে। সিএসবিতে থাকা অবস্থায় বিবিসি ও আলজারিরার সাংবাদিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ। এখন টিবিএন২৪ টেলিভিশনে চিফ নিউজ এডিটর ও সিনিয়র প্রেজেন্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানেও শিখছেন অনেক কিছু। উপস্থাপনা কিংবা সংবাদ পাঠে বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও চলে বলে মনে করেন নুপুর। তাঁর মতে, এটা তৃতীয় বিশ্বের মানসিকতা, যার ঘোর বিরোধী তিনি। সুন্দর মুখশ্রী নয় নুপুরের পক্ষপাত ব্যক্তিত্ব ও মেধার প্রতি। সৌন্দর্যের প্রতি যত্নশীল বেশি হওয়ার কারণেই অনেকেই ঝরে যান। তাই নিজেকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজের মেধাকে শাণিত করতে হবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। একজন উপস্থাপক মেধার মাধ্যমেই নিজের একটি আইডেনটিটি গড়ে নিতে পারে। সুন্দর মুখশ্রী হয়তো সাময়িক বিনোদন দিচ্ছে মাত্র। একটি রাজনৈতিক টক শোতে নিজের উপস্থাপনা কেমন হবে, আবার একটি গানের অনুষ্ঠানে নিজেকে কীভাবে তুলে ধরবে সেটি নিয়ে আলাদা প্রস্তুতি থাকে নুপুরের। এ প্রতিটি পর্যায়ের জন্য সময়ের প্রতিটি বদলের জন্য নিজের মধ্যে তাঁর ভাঙা-গড়া চলতেই থাকে।

সাদিয়া খন্দকার

পড়াশোনা শেষ করার আগেই ২০০৬ সালে উপস্থাপনা পেশায় আসেন সাদিয়া খন্দকার। যোগ দেন দেশের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল সিএসবি নিউজে ট্রেইনি নিউজ প্রেজেন্টার ও রিপোর্টার একাডেমিক ক্যারিয়ারে মেধাবী সাদিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোম ইকোনমিকস কলেজ থেকে ক্লোদিং অ্যান্ড টেক্সটাইলে মাস্টার্স করেন। পেয়েছেন ফার্স্ট ক্লাস। কিন্তু একাডেমিক পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে সেদিকে ক্যারিয়ার না গড়ে পেশা হিসেবে বেছে নিলেন সাংবাদিকতাকে।
টিভি সাংবাদিকতায় তিনি ট্রেনিং নিয়েছেন সিএনএনের আনিতা ম্যাকনথ, বিবিসির রিচার্ড গজলান এবং ইএসপিএনের পুনম শর্মাসহ অনেকের কাছ থেকে। তবে শুরুটা হয়েছিল রেডিওতে। সাদিয়া বাংলাদেশ বেতারের প্রথম শ্রেণির তালিকাভুক্ত একজন নাট্যশিল্পী। এরপর চ্যানেল আইতে ‘বাংলার গান’ নামে একটি অনুষ্ঠান কিছুদিন উপস্থাপনা করেন। সাদিয়া খন্দকার ২০১২ সালে প্রথমবার আমেরিকায় আসেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাভার করতে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার পর যুক্ত হন নিউইয়র্কের স্থানীয় চ্যানেল টাইম টেলিভিশনে। সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে তিনি কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শুরুর দিন থেকে। তবে বর্তমানে সাদিয়ার মূল পেশা স্কুলের শিক্ষকতা।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের পাবলিক স্কুলের অ্যাসোসিয়েট টিচার সাদিয়া। এটিএন বাংলা ও বৈশাখী টেলিভিশনেও সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ও সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তিনি একজন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশে গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, এয়ারটেল, প্রাণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে ভয়েস দিয়েছেন। বাংলাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট পরিচালনায় এমসি (মাস্টার অব দ্য সেরেমনি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশে সংবাদ উপস্থাপনার পাশাপাশি নানা ধরনের টিভি টকশো সঞ্চালনা করেন সাদিয়া খন্দকার। ঢাকায় শাহরুখ খান লাইভ অনুষ্ঠান নিয়ে টিভি শো ছাড়াও তিনি উপস্থাপনা করেছেন সংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ভারতীয়দের আয়োজনে ২০১৭ সালে পেয়েছেন গোল্ডেন ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড। টিভিতে উপস্থাপনা করলে কিছুটা তো ফিটফাট হয়ে থাকতেই হয়। এর বাইরে খুব বেশি সৌন্দর্য চর্চা করা হয় না তাঁর। ব্যস্ততায় খুব একটা সময় পান না।
সাদিয়া মনে করেন, একজন উপস্থাপিকার সবচেয়ে বড় গুন থাকতে হবে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, উচ্চারণ, দর্শক শ্রোতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করার সহজাত দক্ষতা। সেই সঙ্গে একটা জিনিস থাকতে হবে—তা হলো একাগ্রতা। কোনো কাজে একাগ্রতা না থাকলে বেশি দূর এগোনো যায় না। সাদিয়ার জন্ম রাজশাহীতে। এরপর বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় চলে আসেন ঢাকায়। বাবা খন্দকার আলী হোসেন বুলু ব্যবসায়ী। মা কস্তুরি খন্দকার গৃহিণী, তবে এক সময় কাজ করেছেন অভিনেতা ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আফজাল হোসেনের মাত্রা অ্যাডভারটাইজিংয়ে। সাদিয়া দুই কন্যা সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী। সাদিয়ার পরিবারের অনেকেই মিডিয়ায় সুপরিচিত। তাঁর মামা ইথুন বাবু দেশের নামকরা সংগীত পরিচালক। খালু নাট্য অভিনেতা আবদুল আজিজ ও খালা অভিনেত্রী মনি আজিজ। সাদিয়ার দুই কাজিন অভিনেত্রী প্রমা আজিজ ও বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ঈষিকা আজিজ।

শামসুন্নাহার নিম্মি

বাবা-মার সরকারি চাকরির সুবাদে শামসুন্নাহার নিম্মি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় থেকেই সংবাদ পাঠকে নেশা ও পেশা হিসেবে নিয়েছেন; এখনো তা-ই চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন নিম্মি। বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেলে এনটিভির শুরুর দিন থেকে ২০১৫ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমানো পর্যন্ত সংবাদ পাঠ করেছেন তিনি। নিয়মিত সংবাদ পাঠের পাশাপাশি কয়েকটি প্রোগ্রামও উপস্থাপনা করতেন নিম্মি। এর মধ্যে ‘গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড’, ‘মা আমার মা’ অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল। এ ছাড়া টানা তিন বছর একুশে বইমেলার এনটিভির ‘বই বসন্ত’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন তিনি। বলতে গেলে উপস্থাপনাই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। এখনো এ পেশাতেই যুক্ত আছেন। মাঝে তালিকাভুক্ত হন বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে। যদিও এখন গান করা হয় না। আমেরিকায় পাড়ি জমানোর পর নিম্মি যোগ দেন নিউইয়র্কের টাইম টেলিভিশনে। কিছুদিন কাজ করেছেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকায়। এখন আছেন টিবিএন২৪ টেলিভিশনে সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে। এর বাইরে নিউইয়র্কের বড় বড় ইনডোর অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থাপনাও করেন। এর মধ্যে রুনা লায়লা-সাবিনা ইয়াসমিনের যৌথ কনসার্ট থেকে শুরু বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পীর অনুষ্ঠান উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্য। সব মিলিয়ে নিউইয়র্কের দুই শতাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন তিনি। কাজ করছেন আমেরিকান সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে। সপ্তাহের সোমবার থেকে শুক্রবার অফিস করেন। আর শুক্র, শনি ও রোববার করেন উপস্থাপনা। এমনও সময় গেছে সপ্তাহে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন ছয়টি। এত কাজের মধ্যে স্বামী সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর ও একমাত্র সন্তান সাইফান নিহানকে নিয়ে ভালো আছেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে কী করে সুন্দর রাখেন জাতে চাইলে বললেন, ‘আসলে পেশার কারণে নিজেকে সুন্দর রাখতে হয়, সুন্দর ভাবতে হয় এবং সৌন্দর্য চর্চা করতে হয়। এ কারণেই করি। আমি আলাদা করে সাজিনা। নরমাল সাজটাই আমার সৌন্দর্য। তবে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কখন, কী ধরনের সাজতে হয়, কী ধরনের পোশাক পরতে হয়, তা তো রপ্ত করতে হয়ই।’ নিম্মি মনে করেন একজন উপস্থাপকের সবচেয়ে বড় গুন হলো আত্মবিশ্বাস। একই সঙ্গে সময়সচেতন, চারপাশের সবকিছু সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং মঞ্চ ও দর্শকদের বোঝাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তৌহিদা সুমী

তৌহিদা সুমীর জন্ম ও বড় হওয়া রংপুরে। সেখানে রংপুর ক্যান্ট পাবলিক কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সময়েই কাজ শুরু করেন। ‘রেডিও আমার’ নামে এফএম রেডিওতে খণ্ডকালীন খবর পড়তেন শুরুতে। সেখান থেকে ঢাকা স্কলাস্টিকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ছিলেন ছয় মাস। পরে যোগ দেন ঢাকা সিটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে। সেখানে ছিলেন প্রায় দেড় বছর। পাশাপাশি রেডিওতে খবর পড়তেন। শুরুতে খবর পাঠ ছিল শুধু নেশা। কিন্তু এক সময় শিক্ষকতার কাজে একঘেয়েমি চলে এল। ফলে পুরো পেশাই বদলে ফেললেন। একাত্তর টিভির শুরু থেকে যুক্ত হলেন সুমী। স্কুলজীবন থেকে সংবাদ পাঠের প্রতি আগ্রহ ছিল। বাবার সঙ্গে বসে টেলিভিশনে খবর দেখতেন। বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান সুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মাসখানেক আগে। একুশে টেলিভিশন যখন বাংলাদেশে নতুন ধারার সংবাদ পাঠ শুরু করল, সেটা মুগ্ধ করেছিল সুমীকে। সেই সঙ্গে সিএনএনের সংবাদ পাঠকদের পরিবেশনা-তাঁদের পোশাক তাঁর মধ্যে একটা স্বপ্ন এঁকে দিল। কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের মতো ব্লেজার বানিয়ে পরা শুরু করেন সুমী। তখনো জানতেন না যে, ভবিষ্যতে প্রেজেন্টারই হবেন। এমনকি সেটা হওয়ার জন্য কোনো প্রস্তুতিও নেননি। মানুষ যেটা স্বপ্ন দেখে সেটাই হয়। এক সময় একাত্তর টিভির রিপোর্টার কাম প্রেজেন্টার হয়ে গেলেন। সুমী মনে করেন, সংবাদ বা খবর হলো জীবনকে আপডেট রাখার সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ। সুন্দরী সুমী আলাদাভাবে কোনো সৌন্দর্য চর্চা করেন না। তাঁর কাছে সৌন্দর্য চর্চা হলো নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা। ব্যবহার করেন ময়েশ্চারাইজার। জন্মগতভাবে পাওয়া সুন্দর ত্বকের জন্য খুব বেশি যত্ন করতে হয় না সুমীকে। সময়ের অভাবে পারলারে যাওয়া হয় না। তবে বাসায় সপ্তাহে একদিন মাস্ক লাগান সুমী। ক্লিনিক প্রোডাক্টের পণ্য ব্যবহার করেন। তবে শুধু ক্রিম বা লোশন নয়, সুমী মনে করেন, নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস ও পরিমিত ঘুম খুব জরুরি। ভালো উপস্থাপনার জন্য সুন্দর বাচনভঙ্গি, উচ্চারণ, নিজের ব্যক্তিত্ব ও ধরন অনুযায়ী পোশাক পরা জরুরি। উপস্থাপনার বিষয় জানা থাকলে কাজটা অনেক সাবলীল হয়ে যায়।