মায়ের খোঁজে

কি কর? মধ্য রাতে কাজের জায়গায় বাংলা শুনে চমকে বাম দিকে তাকাই। ফিরে দেখি প্রিয়া। তৃতীয় তলার বাসিন্দা, দক্ষিণ ভারতের মেয়ে। রং স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য ডার্ক কিন্তু খুবই মায়াবী চেহারার। বাংলা ভাষা ওর মুখে অনেক মিষ্টি শোনায়। প্লেটে করে কী যেন নিয়ে এসেছে। জিজ্ঞেস করলাম, হাই প্রিয়া, কেমন আছ? মাথা দুদিকে নাড়িয়ে সুন্দর করে বলল, ‘আই অ্যাম ওকে, হাউ অ্যাবাউট ইউ’? বললাম, এতক্ষণ ভালো ছিলাম, এখন ভালো না। হু হু করে উঠল, তুমি কখনো এভাবে বল না। নিশ্চয় তোমার মেজাজ ভালো না। আজ চলে যাই, অন্য দিন আসব। কিছু বলে বিদায় করব বলে ওর দিকে তাকিয়ে মুখ দেখে এত মায়া লাগল, কিছুই বলতে পারলাম না। ডেস্কের সামনে সোফাতে বসতে বসতে বলল, আমি চুপচাপ এখানে বসে থাকি, তোমার মেজাজ ঠান্ডা হলে গল্প করা যাবে।

সামনে এসে মায়াবী চোখটিকে আরও মায়াবী করে হাতের প্লেটটি সামনে বাড়িয়ে বলল, টেস্ট করে দেখো। নিজের হাতে বানানো। দুই পিস কেক। হাত বাড়িয়ে নিলাম। প্রিয়ার পুরো নাম একবার বলেছিল, পরিবারের পদবি দক্ষিণ ভারতের খুবই কমন নাম দেবী। অসাধারণ মেধার অধিকারিণী যাকে বলা যায় হাজারে নয় লাখে একজন। ‘এ’ লেভেল পাস করে এক বছরের ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি শেষ করে তিন বছরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সবাইকে তাক লাগিয়ে দুই বছরে শেষ করে ফেলল। বেঙ্গালুরুতে ভারতের সেরা আইটি ইনস্টিটিউটে তার নাকি ছিল সেরা রেকর্ড। ফল বেরোবার আগেই আমেরিকা থেকে চাকরির অফার। আমেরিকার সেরা আইটি কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরি। সবাই খুশি। সবাই ভাবছে, এবার দিন বদলাবে।

প্রিয়ার ভাষায়, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে তিন বোন এক ভাইয়ের সংসারে অনেক কষ্ট করে এতটুক পথ আসতে পেরেছে। শুধু একজন এসব মানতে পারছেন না, তিনি তার সমাজকর্মী বাবা। মাদ্রাজ শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে তিনি ব্যস্ত। সরকার ও আমলাদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি, ফ্যাসাদ করেন নিজের জন্য নয়। নয় নিজের আখের গোছানো বা ছেলে–মেয়েদের বিদেশ পাঠিয়ে লেখাপড়ার সুবিধা গ্রহণের জন্য। তার সব লড়াই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। সব দেখেশুনে বললেন, তুমি আমেরিকা গেলে আমার পরিবারে সুখ আসবে। কিন্তু আমি ঘরে বসে থাকলে সেই আশাহীন, সুখহীন সমাজের আরও দুঃখ–কষ্ট বেড়ে যাবে। বাবার আশা ছিল, এই মেধাবী মেয়েটি সমাজের ওই বৈষম্য ঘোচানোর সংগ্রামে তার পাশে থাকবে। কিছুটা আশাহত হলেও মেয়েকে বুকে টেনে এনে পরম মমতায় প্রাণভরে আশীর্বাদ করে দিলেন।

আমেরিকান আইটি কোম্পানি তড়িঘড়ি করে ভিসা, প্লেন টিকিটসহ হাত খরচ বাবদ ভালো অঙ্কের ডলার পাঠিয়ে দিল। সবকিছু গুছিয়ে ২০১০ সালের বৃষ্টিস্নাত সুন্দর একটি দিনের শেষে প্রিয়া পরিবারকে পেছনে রেখে মাদ্রাজের চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে প্রিয়ার আমেরিকা যাত্রা শুরু। এয়ার ইন্ডিয়ার বিশাল বিমানে লন্ডন হয়ে শিকাগো। দুদিন বিশ্রাম নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে না দিতে অসামান্য মেধার বলে সবার মধ্যমণি হয়ে উঠলেন তিনি। কম্পিউটার বিজ্ঞানের সব আধুনিক নানা সমাধানে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখাতে লাগলেন। প্রথম চেক পেয়ে মাকে ফোনে করলেন। তাও ওদের নিজের নয়, প্রতিবেশীর ফোনে তিনি কী বললেন আর মা কী শুনলেন, শোনা গেল শুধু তার কান্না। বাবাকে একবারের জন্যও পাননি। সারা দিন শহরের কোন বস্তিবাসীর সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত। মাকে বলে দিলেন, ছোট দুবোনের বিয়ের ব্যবস্থা করতে। ইতিমধ্যে একমাত্র ভাই মাদ্রাজের সেরা কলেজে ভর্তি হল। কিন্তু বাবাকে জনতার জন্য লড়াই থেকে আর ফেরানো গেল না। মা খুশি হয়ে মেয়ের পয়সায় স্বামীকে ভালো কাপড় কিনে দেন। পরে পরবে বলে সহযোদ্ধা কাউকে নতুন কেনা কাপড় প্যাকেটসহ বাবা দিয়ে দেয়।
দুই রুমের পুরোনো ঘরখানা বদলে চাইলে শহরের উপকণ্ঠে নতুন ফ্ল্যাট কিনে উঠে যাবে। সুবিধা ছিল ভালো। অগ্রিম টাকা দিয়ে পরে কিস্তিতে পরিশোধ। বাবা শুনে রেগে বললেন, বাপ–দাদার ভিটা ছাড়লে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলে আত্মহত্যা করবেন। শুনে দমে গেলেন প্রিয়া। শিকাগোতে কাজে কাজে ২০১০ সাল গেল। কাজে সুনাম পেল। বস ও সহকর্মীরা সবাই সমীহ করে, ভালোবাসে। ওপরে ওঠার পরামর্শ চায়। সহকর্মীদের সঙ্গে প্রায়ই বাইরে আউটিংয়ে যায়।

ধীরে ধীরে আমেরিকান জীবনযাপনে নিজেকে মিলিয়ে নেন প্রিয়া। ২০১১ সালের শেষে মোবাইল ফোনে মায়ের সঙ্গে, কখনো ভাই ও নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসা বোনদের সঙ্গে কথা বলে। বড় বোনের সংসারে ফুটফুটে বোনজির আধো আধো বোল শুনে টের পায়, বুকের কোণে শিরশিরে একটি ব্যথা ভেতরটা দুমড়ে–মুচড়ে দেয়। ভাবে আগামীকাল মাদ্রাজ চলে যাবে। পরক্ষণেই মনে হয়, তিন বছরের কন্ট্রাক্ট সাইন করেছে। সময় শেষ হতে আর বেশি দিন নেই। রোববার ছুটির দিনে পাশের মলে যায় এটা-সেটা কিনতে। ফেডেক্স, ডিএইচএলে মা–ভাই–বোনদের জন্য এটা-সেটা পাঠায়। মা বারণ করে। ভাই বোন সবাই খুশি হয়।

২০১২ সালের ১১ নভেম্বর, রোববার। ছুটির দিন, কাজে যাওয়ার তাড়া নেই। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাল। আগের রাতে গভীর ঘুমে মাকে বার দু-এক স্বপ্ন দেখল। কারা যেন মাকে কোলে তুলে নিয়ে যেতে চাইছে, মা যাবে না। বিছানা ছেড়ে উঠে পানি খেলেন, কিন্তু মনে কেমন যেন একটি অস্বস্তি। অনেকক্ষণ সজাগ থেকে ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু ঘুম আসছে না। এর মধ্যেই ডোর বেল। প্রিয়ার পুরো শরীরে প্রবল একটি ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। এই ছুটির দিনে অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় ভোরবেলায় অতিথি? কে হতে পারে? হিসাব মিলছে না, ভাবলেন বিল্ডিংয়ের কেউ হবে। তিনি তো কাউকে ডাকেননি, তো কারা এল? দরজা খুলে হতবাক! সামনে দাঁড়ানো বস, সঙ্গে ভারতীয় দুজন সহকর্মী। ওরা কেন এই সকাল বেলা তাঁর ফ্ল্যাটে। বস ঘরে ঢুকলেন, শেলী নামের মুম্বাই থেকে আসা মেয়েটি প্রিয়ার পাশে বসে। তারপর আরও একজন ভারতীয় বন্ধু আর বস পাশাপাশি বসেন। সবাইকে ভীষণ নার্ভাস ও অপ্রস্তুত মনে হল। তারপর এ–ওর দিকে ইশারা করে কিছু বলার চেষ্টা করতেই প্রিয়ার মনে হল, গত রাতের দুঃস্বপ্নের কথা। সারা শরীর কাঁটা দিয়ে উঠল। পুরা শরীর কাঁপছে, হাত পা ঘামতে লাগল। এ–ওর দিকে বারবার তাকাচ্ছে দেখে প্রিয়ার অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল।

সোফায় বসা বস একটু এগিয়ে যখন প্রিয়াকে কিছু বলতে যাবে, তখনই প্রিয়া পাগলের মত চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, কী হলো, তোমরা চুপ কেন? আমার বাড়িতে কি কিছু হয়েছে? উত্তরে খুবই নিচু স্বরে বস বললেন, প্রিয়া আমরা একটি খারাপ খবর নিয়ে এত ভোরে এসেছি। সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়া ও ঈশ্বর বলে উচ্চ স্বরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল। বলল, আমি জানি, আমার মা আর বেঁচে নেই। পাশের বন্ধুটি ওকে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরল আর বস দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে শুধু বলতে পারল, হ্যাঁ ডিয়ার, তুমি ঠিকই বুঝেছ, আমরা খুব দুঃখিত। পরক্ষণই প্রিয়ার মনে হল, গত ৪ দিন আগে মাকে ফোন করলেন, রিং হল, কিন্তু কেউ ফোন ধরল না। এমনতো কখনো হয়নি। অনেকক্ষণ পর অচেনা কণ্ঠে হ্যালো শুনে ভাবলেন, রং নম্বর নাকি? কেমন অসুস্থ লোকের আওয়াজ, অনেকক্ষণ পর বুঝলেন এটি তার মায়ের আওয়াজ। জানলেন, মায়ের ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হয়েছে। ভাই চিকিৎসক দেখিয়েছেন, বোনরা নিজের সংসার ফেলে এসে মাকে দেখাশোনা করছেন। কিন্তু বরাবরের ন্যায় বাবা দু–একবার ঘরে ফিরে মায়ের পাশে কতক্ষণ বসে আবার তার সেই বস্তিবাসী মেহনতি মানুষের কাছে ফিরে যান।

আজ সেদিনের মায়ের কণ্ঠ অচেনা লাগা, আগের রাতের দুঃস্বপ্ন—সবটাই যেন এক সুর হয়ে কঠিনতম স্বরগ্রাম হয়ে সারাক্ষণ বাজতে লাগল। সহকর্মী ও বস সবাই চুপ করে বসে থাকলেন। আর প্রিয়া সহকর্মী বন্ধুকে জড়িয়ে অনেকক্ষণ কাঁদল। যাওয়ার সময় বস প্রিয়াকে এক সপ্তাহের ছুটি দিলেন আর বললেন, মাদ্রাজ যেতে চাইলে ছুটি আরও বাড়িয়ে দেবেন। দেশে ফোন করে সব জেনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ভাবলেন, মা–ই যখন না ফেরার দেশে চলে গেলেন, বাবা অন্য জগতে, আর কী লাভ দেশে গিয়ে। ২০১৩ সালে চুক্তিবদ্ধ সময় শেষ হওয়ার আগেই নিউইয়র্কের এই লোভনীয় ও ছয় সংখ্যার বেতনের চাকরির অফার পেয়ে যায়। সেই বছরের শেষ দিকের কোন এক সময় উল্লেখিত চাকরিতে যোগ দিয়ে আমাদের ভবনে ভাড়ায় উঠেন। তখন আমার শিফট ছিল বিকেল ৪টা হতে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।

প্রথমে শুধু হাই–হ্যালো তারপর একদিন কোন এক প্রসঙ্গে সিনেমার কথা উঠে যায়। তখনই প্রিয়া জানতে চায়, ‘পাই’ (PIE) নামের সিনেমাটি দেখেছি কিনা। আমি না বলাতে সে সুন্দর করে গল্পটি বলে। গল্পের চরিত্র বর্ণনা করার ভঙ্গি এতই নিখুঁত ও জীবন্ত ছিল, আমার কাছে মনে হল আমি সিনেমাটি পর্দায় দেখছি। খাবারের গল্প করতে গিয়ে জানলাম, করলা ওর খুবই প্রিয় ইংলিশে যাকে Bitter Groud বলে। সে তার দাদির রেসিপির বর্ণনা দিয়ে বলতে লাগল, এই খাবারটি সে খুব মিস করে। রেসিপি একদম সহজ কিন্তু আমরা শুনলে বলতে পারি ওয়াক। এভাবে করলা কীভাবে খায়?

করলাকে হালকা ভেজে গুড় আর টক তেঁতুলের মিশ্রিত সিরা প্রথমে সামান্য পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে ফোড়ন দিয়ে আগে থেকে তৈরি করা মিশ্রণে ফেলে ঝাল দিয়ে ঘন করে ভাত বা ইডলি দিয়ে খাওয়া। মিস করছে শুনে বেগম সাহেবকে বললাম, ওর জন্য করলার খাবার তৈরি করে দিতে। বেগম সাহেবা বললেন, তুমি বানিয়ে নিয়ে যাও। পারবেন না বলেও শেষ পর্যন্ত তিনি যত্ন করে তৈরি করে দিলেন করলার এই ভিন্ন স্বাদের রান্না। খাবার খেয়ে প্রিয়া ভীষণ খুশি। বারবার বলছেন, তোমার স্ত্রীকে আমার ধন্যবাদ বলো। একদম দেশের মত হয়েছে। দারুণ স্বাদের হয়েছে। মেয়েটি খুশি হয়েছে, বেশ ভালোই লাগল। ২০১৩ সালের শেষ দিকে নতুন কাজে যোগ দিয়ে ২০১৪ সাল পুরো সময় শেষ করে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি এসে একদিন বললেন, আহমদ, আমি মাদ্রাজ ফিরে যাচ্ছি। তোমার ইমেইল অ্যাড্রেস আমায় দেবে? তোমার সঙ্গে যদি দেখা নাও হয়, যোগাযোগ যেন থাকে। তোমার অসম্ভব ভালো একটি মন আছে, আমি তার পূজা করে যাব সারাজীবন।

বিগত আড়াই বছর সময়ে তোমায় আমি অনেক গল্প শুনিয়েছি। আজ শোনাব শেষ গল্প। নিউইয়র্কে এসে নতুন কাজে যোগ দেওয়ার ১৫ দিন পর ৬ সংখ্যার হিসেবে চেক পেয়ে দেখলাম, তাতে প্রচুর মার্কিন মুদ্রা। মনে মনে রুপিতে কনভার্ট করে যা পেলাম, সেটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হল। বারবার চেকটি দেখতে লাগলাম, হঠাৎ মনে হল, কে যেন ছোট করে হাসল যা আমার কানে বাজল স্পষ্ট, যা ছিল আমার মায়ের হাসি সত্যি বলছি! সেটা আমার মায়ের হাসির আওয়াজ ছিল। পরক্ষণই দুহাতে চেকটি উঁচু করে আসমানের দিকে তাক করে বললাম, দেখ মা দেখ কত রুপি আজ আমার হাতে অথচ মা আমাদের তিন বোনকে দেওয়ালিতে একসঙ্গে কাপড় দিতে পার নাই। তাই পুরোনো জামাতে তোমার শাড়ির আঁচল লাগিয়ে নতুন বানিয়ে আমদের পরিয়েছ, আজ আমি এক চেকে হাজারটি নতুন জামা কিনতে পারব মা দেখে দেখে যা। কোথায় গেলি মা?

ছোট ভাইকে ডাক্তারের পরামর্শে দুধ কিনে খাওয়াতে না পেরে হেঁটে হেঁটে মাইল খানিক দূর শিব মন্দিরে গিয়ে প্রসাদের দুধ খাইয়েছিস। আজ আমি, সেই ভাই দুধের পুকুরে স্নান করাতে পারব মা। কই গেলি আজ? সারা জীবন সুখের দেখা পেলি না, আজ যখন সুখ এল তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেলি। আয়রে মা! আয় অভিমান করে আর লুকিয়ে থাকিস না, লুকিয়ে থাকিস না। মায়ের জন্য তার এই নির্মল হাহাকার ডাউন টাউনের আকাশছোঁয়া ভবনগুলোতে প্রতিধ্বনিত হয়ে হাডসন পেরিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে মিলিয়ে গেল বারবার।
আজকাল কী হয়েছে জানি না, ভারতীয় আদলের কোন মেয়েকে দেখলে মনে হয়, সেই মায়ের স্নেহ মমতা খুঁজে বেড়ানো, কান্নায় কান্নায় ভেজা এক জোড়া মায়াবী চোখের মেয়ে, প্রিয়াকে দেখছি।