'তেল রক্ষায়' সিরিয়ায় কিছু মার্কিন সেনা থাকবে: ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ছবি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ছবি।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সিরিয়ায় কুর্দিদের ওপর তুরস্কের হামলার ঘটনায় নিজ দলেরও কঠোর সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্যাপক প্রাণহানির পর এবার তিনি জানালেন সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে না। কিছু সেনা রয়ে যাবে সিরিয়ায়। সেনারা থাকবে সিরিয়ার অন্য প্রান্তে, তেল রক্ষায়। এই নতুন ব্যবস্থা ইসরায়েল ও জর্ডানের অনুরোধে করছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পক্ষে ট্রাম্প একাধিকবার আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও বলা হচ্ছিল, তিনি কুর্দিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কারণ ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার লড়াইয়ে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) ছিল মার্কিন সেনাদের মূল ভরসা। আর এসডিএফকে পাল্টা জঙ্গি সংগঠন বলে থাকে তুরস্ক।

তাই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কুর্দিদের তুর্কি হামলার মুখে একা ছেড়ে দেওয়ায় ট্রাম্প নিজের সমর্থকদেরও সমালোচনার মুখে পড়েন।

ট্রাম্প বলেন, ‘দুই বড় গ্রুপের মাঝখানে কেন আমরা আমাদের সৈন্যদের রেখে দেব? হাজার হাজার সম্ভাব্য মানুষ, তারা যুদ্ধ করছে, আমি মনে করি না। আমি নির্বাচিত হয়েছি আমাদের সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’

কিছু সেনা থেকে যাওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল ও জর্ডানের অনুরোধে সিরিয়ার একদম ভিন্ন প্রান্তে কিছু মার্কিন সেনা রয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘তেল রক্ষায়’দেশটির অন্য একটি অংশে মার্কিন সেনাদের থাকার প্রয়োজন রয়েছে।

সিরিয়ার কুর্দিনিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দিদের হটাতে হামলা শুরু করে তুরস্ক। দেশটির লক্ষ্য হচ্ছে, সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলে তুরস্কে অবস্থান নেওয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে অন্তত ২০ লাখকে সরিয়ে সেখানে রাখা।

তুর্কি হামলার পর এখন পর্যন্ত তিন লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে সরে যাওয়ার শর্তে পাঁচ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক। কুর্দি বাহিনীর সরে যাওয়ার সময় আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় শেষ হচ্ছে। তবে এ সময় বাড়ানোর সম্ভাবনার বিষয়টি এখনো বাতিল করেননি ট্রাম্প।