মূলধারার নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

জয় চৌধুরী,জাহাঙ্গীর আলম,তৈয়বুর রহমান,ফখরুল ইসলাম ও বদরুন নাহার
জয় চৌধুরী,জাহাঙ্গীর আলম,তৈয়বুর রহমান,ফখরুল ইসলাম ও বদরুন নাহার

আমেরিকার মূলধারার নির্বাচনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিগত সময়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হাতেগোনা দু-একজন প্রার্থী হতেন। এবার নিউইয়র্ক থেকে কংগ্রেস, অঙ্গরাজ্যের আইনসভা, সিটি কাউন্সিলসহ নানা স্তরে অনেকেই নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়েছেন একাধিক প্রার্থী। অতীতের তুলনায় বাংলাদেশিদের নির্বাচনে আগ্রহ দেখে কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা তাদের সাধুবাদ ও একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

(মিতা) প্রবাসের বৃহৎ সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিউইয়র্কের কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির

প্রাইমারি নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি জ্যাকসন হাইটসসের একটি পার্টি হলে তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান করেছেন। এতে বাংলাদেশি সাধারণ মানুষসহ বিত্তবানদের অংশগ্রহণে আগ্রহের কমতি ছিল না। অনুষ্ঠানে আসা বেশির ভাগ মানুষ বদরুন নাহারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

হেলাল এ শেখ বেশ কয়েকবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সিটি পাবলিক অ্যাডভোকেট পদে নির্বাচন করেন। ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিল ১২তম। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই হাল ছেড়ে দেব না। ২০২১ সালেও নির্বাচনে প্রার্থী হব। কোথা থেকে প্রার্থী হব, তা পরে জানাব।’ নির্বাচনে হেরে গেলেও পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন হেলাল শেখ।

তৈয়বুর রহমান গত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ডিস্ট্রিক্ট ২৪ কুইন্স এলাকা থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতে অংশগ্রহণ করেন। ৩৮ শতাংশ ভোট পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। এবারও একই এলাকা থেকে নির্বাচন করবেন। তাঁর একই এলাকা থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম।

কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট জয় চৌধুরী অ্যাসেম্বলিম্যান পদে নির্বাচন করছেন নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্ট ৩৪ থেকে। এর মধ্যেই তিনি প্রচারের কাজ শুরু করেছেন। তহবিল সংগ্রহ থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন তিনি। আবার নারী প্রার্থী মেরী জোবাইদা ইতিমধ্যে নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিন দশকের এক শ্বেতাঙ্গ নারী প্রার্থীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জে ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘একজন কাউন্সিলর এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া কমিউনিটির উন্নয়নে সাড়ে সাত লাখ ডলার বরাদ্দ থাকে। কিন্তু আমাদের বাঙালি কমিউনিটি কোনো রকম বরাদ্দ পায় না।’ নির্বাচনে জয়ী হলে কমিউনিটি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফখরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

জাহাঙ্গীর আলম নিউইয়র্কের বাফেলো ফিলমোর ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রাইমারিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনে বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ অন্য ভোটারদের সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন।

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্টেট সিনেটর, কাউন্সিলর, পাবলিক অ্যাডভোকেটসহ একাধিক পদে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে এখন মূলধারায় কাজ করছেন।