প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কমলা হ্যারিস

কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স
কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

৩ ডিসেম্বর কমলা হ্যারিস নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও নগদ তহবিল জোগানে ব্যর্থ হয়ে তিনি সরে দাঁড়ালেন। এ ছাড়া কয়েক মাসের জরিপে দেখা গেছে, তাঁর সমর্থকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে।

সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ই–মেইল বার্তায় ক্যালিফোর্নিয়ার এই সিনেটর বলেন, গত জানুয়ারিতে তিনি জন্মস্থান ওকল্যান্ডের ২০ হাজার মানুষের সামনে নির্বাচনী প্রচারণার যে গতি তুলেছিলেন, তা বর্তমান সময়ে আবার তৈরি করতে সক্ষম হননি।

কমলা হ্যারিস ই–মেইলে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে আমাদের প্রচারের জন্য প্রচলিত নিয়মের আর্থিক জোগান ছাড়া কেবল প্রচার চালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। তাই সমর্থকদের উদ্দেশে গভীর অনুশোচনা ও গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি আজ থেকে প্রচারণা স্থগিত করছি।’

কমলা হ্যারিস এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রার্থী ছিলেন। প্রচারের প্রথম তিন মাসে অত্যন্ত চমকপ্রদভাবে ১২ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছিলেন। দ্রুতগতিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় হাইপ্রোফাইল তালিকা অর্জন করেছিলেন। এ কারণে তিনি তাঁর এলাকার জোরালো প্রতিনিধি হিসেবে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রগতিশীল সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কমলা হ্যারিস বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এতে ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। কিছু জরিপে তাঁকে তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছিল।

কমলা হ্যারিসের তহবিল সংগ্রহের দুর্বলতার কারণে তাঁকে আইওয়া ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার মতো মূল প্রাথমিক রাজ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে কষ্ট করতে হয়েছে।

কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়, বয়স ৫৪। বাবা জ্যামাইকা ও মা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে আসা অভিবাসী। তাঁরা দুজনই বিজ্ঞানী, যাঁর যাঁর ক্ষেত্রে কৃতবিদ্যা। মিশ্র বংশীয় কমলা হ্যারিস মার্কিন সিনেটের কনিষ্ঠ সদস্য।