মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া

এ পি জে আবদুল কালাম
এ পি জে আবদুল কালাম

আমাদের বয়সী যাঁদের ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের আগের জন্ম, তাদের স্কুল, কলেজের পাঠ্যপুস্তকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাহিত্যক্ষেত্রে মুসলমানদের অনেক ভূমিকা ও উপস্থিতি পরিলক্ষিত হতো। ধীরে ধীরে সিলেবাস বদল হতে হতে, বিশেষত ইতিহাস বারবার পুনর্লিখিত হওয়ার ফলে, ভারতের নানা ক্ষেত্রে মুসলমানদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদানের কথা একরকম ধামাচাপা পড়ে গেছে। এর ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে তা অজানা আর চোখে না পড়ার ফলে বয়স্কদের কাছেও সেসব স্মৃতিও আর বেঁচে নেই। ভারতের স্বাধীনতাপূর্ব, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই মুসলমানদেরও যে অনেক মূল্যবান অবদান আছে, সে সম্পর্কে পাঠকদের জানাতে এই ধারাবাহিক লেখা
আভুল (আবুল) পকির (ফকির) জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম তৎকালীন ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (বর্তমান তামিলনাড়ু প্রদেশ) অন্তর্গত পামবান দ্বীপে অবস্থিত রামেশ্বরম তীর্থস্থান এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর এক তামিল মুসলিম পরিবারে। তাঁর বাবা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন, আর তাঁর একটি নৌকা ছিল। সেই নৌকা দিয়ে তিনি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের রামেশ্বরম তীর্থস্থান ও এখনকার জনশূন্য ধানুশকড়ি এলাকায় পারাপার করতেন। তাঁর মা আশিয়াম্মা ছিলেন একজন গৃহিণী। তাঁদের মোট পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে কালাম ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর পূর্বপুরুষেরা খুবই বর্ধিঞ্চু ছিলেন। তাঁদের বিরাট ব্যবসা ও প্রচুর জায়গা–জমি ছিল। প্রথম ব্যবসা ছিল মাদ্রাজের মূল ভূমি ও পামবান দ্বীপ এবং মূল ভূমি থেকে শ্রীলঙ্কায় মুদিখানার মালপত্র আমদানি–রপ্তানি। আর দ্বিতীয় ব্যবসা হলো, মূল ভূখণ্ড থেকে পামবান দ্বীপে তীর্থযাত্রী আনা–নেওয়া করা।
১৯১৪ সালে ‘পামবান ব্রিজ’ নামে সেতুটি নির্মিত হওয়ার কারণে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সংসার চালাতে ও দেনার দায়ে পরিবারের ব্যবসা ও জমিজমা চলে যায়। এমনকি তাঁদের পৈতৃক ভিটাটিও হারাতে হয়। সে জন্য ছোট বেলায় আবদুল কালামকে খবরের কাগজ বিক্রি করে সংসার চালাতে কিছুটা সাহায্য করতে হয়েছে।
স্কুল জীবনে কালামের পরীক্ষার মান মাঝারির কোঠায় ছিল। তবে তিনি যে বেশ বুদ্ধিমান ও কঠোর পরিশ্রমী, সেটা সবার চোখে পড়ত। তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পড়াশোনা করতেন, বিশেষত গণিত নিয়ে। রামানাথপুরমের হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে পাস করার পর তিনি তিরুচুরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে মূলত পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত এই কলেজ থেকে তিনি পাস করেন। ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অ্যারোস্পেস টেকনোলজি পড়তে তিনি মাদ্রাজ চলে যান। সে সময় সিনিয়র ক্লাসের এক প্রজেক্টে তাঁর অগ্রগতি এত ঢিমে তেতলায় চলছিল যে, একদিন ডিন ডেকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি এই প্রজেক্ট শেষ না কর, তাহলে আমি তোমার স্কলারশিপ ছাঁটাই করে দেব।’
কালাম প্রজেক্ট শেষ করে কাজটা ওই নির্ধারিত সময়ে জমা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ডিন কালামকে ডেকে বলেছিলেন, ‘জেনেশুনে আমি অত্যন্ত কঠিন কাজটা অত অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য তোমাকে প্রায় নিপীড়ন পর্যায়ের চাপ দিয়েছিলাম।’ তাঁর স্বপ্ন ছিল তিনি ফাইটার পাইলট হবেন। কিন্তু সে স্বপ্নটিও সামান্য একটুর জন্য মিস হয়ে যায়। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের (আইএএফ) আটটি পজিশনের জন্য পরীক্ষায় কৃতকার্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম আটজনকে নেওয়া হয়েছিল। কালামের পজিশন ছিল ঠিক তার পর নয় নম্বরে।
বিজ্ঞানী জীবন: ১৯৬০ সালে পাস করে বেরোবার পর তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থার অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন। প্রথমে তিনি একটি হোভারক্র্যাফট ডিজাইন করেছিলেন, কিন্তু নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। পরে প্রখ্যাত স্পেস সায়েন্টিস্ট বিক্রম সারাভাইয়ের ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ট্রান্সফার করা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে (আইএসআরও), ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল (এসএলভি-৩)-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে স্থানান্তরিত হন। সেখান থেকে ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট ‘রোহিণী” সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৯৭০ সালে তিনি ‘প্রজেক্ট ডেভিল’ ও ‘প্রজেক্ট ভেলিয়ান্ট’ নামে মিসাইল উদ্ভাবনের এই প্রজেক্ট দুটি পরিচালনা করেন। এতে অর্থলগ্নি করতে ইউনিয়ন ক্যাবিনেট রাজি হয়নি। তবুও ইন্দিরা গান্ধী নিজে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ তহবিল থেকে গোপনে এই প্রজেক্টে টাকা দেন।
এই মিসাইল প্রোগ্রাম সফল হওয়ায় ১৯৮০ সালের মধ্যে আবদুল কালাম অনেক খ্যাতি ও পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘অ্যাডভান্সড মিসাইল প্রোগ্রাম প্রজেক্ট’-এর পরিচালকের দায়িত্ব দেন। এ সময় তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর ভেঙ্কটরমন আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘এভাবে একটার পর আর একটা মিসাইল না বানিয়ে তুমি একইসঙ্গে অনেকগুলো মিসাইল বানানোর কাজ শুরু করো।’ তিনি নিজেই একটু তদবির করে ক্যাবিনেট থেকে ৩ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন রুপি অনুমোদন করিয়ে আনেন এবং এটির নাম দেন ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইজিএমডিপি)। তিনি কালামকে প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ নিযুক্ত করেন। কালাম এই প্রজেক্টের মাধ্যমে অনেকগুলো মিসাইল বানান, যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো মধ্যম রেঞ্জের ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি’ ও সারফেস টু সারফেস মিসাইল ‘পৃথিবী’।
১৯৬৫ সালে কালাম ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) এক ক্রমবর্ধমান রকেট প্রজেক্টে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি প্রোগ্রামটা বাড়িয়ে আরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করার ব্যাপারে সরকারের অনুমোদন পান। ১৯৬৩-৬৪ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন নাসা ল্যাঙ্গলি রিসার্চ সেন্টার, মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টের গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার এবং ওয়ালপ ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সাল নাগাদ পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) এবং এসএলভি-৩ বানানোর চেষ্টা করে সফল হন।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই বিজ্ঞানী একইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থার সেক্রেটারির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তিনি ‘পোখরাজ-২’ নিউক্লিয়ার টেস্ট প্রজেক্টেরও চিফ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন রাজাগোপালা চিদাম্বরম। ১৯৯৮ সালে কার্ডিওলজিস্ট সোনা রাজুর সঙ্গে তিনি ‘কালাম-রাজু স্টেন্ট’ নামে করোনারি স্টেন্ট উদ্ভাবন করেন। ২০১২ সালে তাঁরা দুজন মিলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য ‘কালাম-রাজু ট্যাবলেট’ নামে সহজ মূল্যের একটি কম্পিউটার ট্যাবলেটেরও উদ্ভাবন করেন।
রাষ্ট্রপতি: প্রেসিডেন্ট কে আর নারায়ণনের পর ২০০২ সালের ২৫ জুলাই পাঁচ বছরের মেয়াদে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সে সময়কার সরকার ছিল ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ দ্বারা গঠিত। কোয়ালিশন সরকারের সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস—দুই দলই তাঁকে সমর্থন করায়, বিশেষত সমাজবাদী পার্টি সরে যাওয়ায় কে আর নারায়ণ আর পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস পাননি। সে জন্য কালাম সহজেই জয়ী হন। আবদুল কালাম ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি, যিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা, ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর আগের দুজন ছিলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ও ড. জাকির হুসেন যাঁরা রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তবে ব্যতিক্রম এই যে, তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী ও প্রথম ‘ব্যাচেলর’, যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন আলোকিত করেছিলেন। তাঁর মেয়াদকালে তিনি ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’ বা ‘পিপলস প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।
এতত্সত্ত্বেও কালামের বিরুদ্ধে সমালোচনা আছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীকে ক্ষমা করার বিশেষ ‘প্রেসিডেনশিয়াল পাওয়ার’ তিনি কাজে লাগাননি। ২১ জন আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র একজনকে মাফ করেছিলেন। বাকি ২০ জনের ওপর কোন দয়া–দাক্ষিণ্য তিনি দেখাননি। ধর্ষণকারী ধনঞ্জয় চ্যাটার্জির ফাঁসি কার্যকর হয়। আরও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল, কাশ্মীরের আফজাল গুরুর মামলা, যার নেতৃত্বে ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্ট আক্রান্ত হয়েছিল। এই বিশেষ ক্ষমতার কথা ছাড়া ২০০৫ সালে বিহারে রাষ্ট্রপতির শাসনব্যবস্থা কায়েম করার সিদ্ধান্তটাও অনেক সমালোচিত হয়েছিল।
আবদুল কালাম দ্বিতীয়বার নির্বাচনে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করলে দেখা গেল বিজেপি বলছে, যদি কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রস্তাবটি আনে, তবে তারাও তাঁকে সমর্থন করবে। কিন্তু মুলায়ম সিং যাদব হটে যাওয়ায় আবদুল কালাম আর দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী হননি।
রাষ্ট্রপতি-পরবর্তী জীবন: রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অবসানের পর প্রধানত অধ্যাপনার কাজে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। তিনি ছিলেন ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট’–এর শিলং, আহমেদাবাদ ও ইন্দোরের ভিজিটিং প্রফেসর, ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, বেঙ্গালুরু’–এর সম্মানিত ফেলো, ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, থিরুভান্তাপুরম’-এর চ্যান্সেলর, অ্যানা ইউনিভার্সিটির ‘অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর প্রফেসর। এ ছাড়া তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি, হায়দরাবাদ’-এ ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ‘ব্যানারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি’-তে টেকনোলজি পড়াতেন।
২০১২ সালে দেশে ‘করাপশন‘ প্রতিহত করার মানসে আবদুল কালাম, ‘হোয়াট ক্যান আই গিভ মুভমেন্ট’ নামে একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এর আগে ২০১১ সালে ‘কুদমকুলম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট’–কে সমর্থন করার জন্য তিনি সমালোচিত হন। যদিও তিনি প্ল্যান্টের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, তবুও জনতা অসন্তুষ্ট থেকে যায়।
মৃত্যু: ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই আবদুল কালা, শিলংয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে ‘বসবাসের উপযোগী একটি বিশ্ব তৈরি (ক্রিয়েটিং আ লিভ্যাবল প্ল্যানেট আর্থ)’-র ওপর ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি লেকচার দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় সেখানকার সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে তিনি জ্ঞান হারান। কাছাকাছি বেথানি হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে ২৮ জুলাই কালামকে দিল্লি, ২৯ জুলাই মাদুরা হয়ে রাত ৮টা নাগাদ তাঁর নিজের বাসভূমি রামেশ্বরমে আনা হয়। ৩০ জুলাই ‘পেই কারেম্বুর’ মাঠে তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল এবং কর্ণাটক, কেরালা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়া প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার জনসাধারণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দেশ–বিদেশের বহু নেতা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন। (চলবে)