চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে শান্তির আভাস

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, যার শুরু হয়েছিল চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এবার সে যুদ্ধে শান্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আজ শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের সরকারি কর্মকর্তারা দু দেশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ সমঝোতার মধ্য দিয়ে চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে আনবে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দু দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। কিন্তু বরাবরই বিষয়টি চীনে মার্কিন কৃষিপণ্য কেনা না কেনার বিষয়ে এসে আটকে যাচ্ছিল। শুক্রবার প্রথম পর্যায়ের একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে জানানো হলেও, চীন ঠিক কী পরিমাণ মার্কিন কৃষিপণ্য কিনত সম্মত হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষি, জ্বালানি ও শিল্প পণ্য ক্রয়ের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ১২ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানিতে আরোপিত শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নিয়ে আসবে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার দেওয়া এক টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘চীনের সঙ্গে আমরা একটি প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছি। চীনের কর্মকর্তারা কাঠামোগত অনেক বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। একই সঙ্গে কৃষিপণ্য, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ বিপুল পরিমাণে পণ্য ক্রয়ে সম্মত হয়েছেন তাঁরা।’ ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে বলেও তিনি তাঁর টুইটে উল্লেখ করেন।

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, চুক্তির আওতায় প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাস্বত্ব, কৃষি, আর্থিক পরিষেবা, মুদ্রা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়সহ অনেক কিছু রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের এ চুক্তি মোতাবেক চীন থেকে ২৫ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানিতে আগের মতোই ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ১২ হাজার কোটি ডলার পণ্য আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হবে।

এদিকে চুক্তির বিষয়ে বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে চীন। চুক্তি অনুযায়ী চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি ভুট্টা ও গম কিনবে।

ঠিক কী পরিমাণ কৃষিপণ্য কিনতে সম্মত হয়েছে চীন, সে বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অন্তত ৫ হাজার কোটি ডলারের কৃষিপণ্য ক্রয়ে চাপ দিচ্ছিল এত দিন।