জেগে ওঠা স্বপ্ন

নিজের আঁকা সামিহা সাজেদের চিত্রকর্ম
নিজের আঁকা সামিহা সাজেদের চিত্রকর্ম

কার্ল জং একবার বলেছিলেন, ‘যে বাইরে দেখে, সে স্বপ্ন দেখে। যিনি ভেতরে দেখেন, তিনি জাগ্রত করেন।’ আমার স্বপ্ন ও আবেগটি ছিল শিল্পের সৃষ্টিশীলতায়। আলাদা কিছু তৈরি করতে চেয়েছি, যা কেবল লক্ষ্যই করা যায় না, ভিন্ন একটি ধারণা তৈরি করে। প্রযুক্তিতেও আমার গভীর আগ্রহ। মনে করি, প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবন বিশ্বকে মানবজাতির বসবাসের জন্য সহজ জায়গা করে তুলেছে।

আমি যখন প্রথম ২০১৫ সালে আমেরিকায় আসলাম, তখন মনে করেছিলাম বেড়াতেই এসেছি। দ্রুতই নিজেকে আবিষ্কার করি, ন্যূনতম মজুরি দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করছি। পরিবারকে সাপোর্ট করার জন্য আমার তা করতে হয়েছে। তখন স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। জীবন হয়ে উঠেছিল বেশ নিরানন্দ।

সামিহা সাজেদ
সামিহা সাজেদ

অবশেষে আমি এমন একটি চাকরি পাই, যা আমাকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। নিউইয়র্ক সিটি কলেজ অফ টেকনোলজিতে দিনরাত ক্লাস করা শুরু করেছিলাম। একইসঙ্গে পুরো সময় কাজ করছিলাম কোনো ব্রেক ছাড়াই। স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিচল থেকেছি। স্কুলে অনলাইন আইটি ক্লাস ও আর্কিটেকচার ক্লাস নিয়েছি। ২০১৮ সালের শেষের দিকে আমি আইটিতে চাকরি খোঁজার কাজ শুরু করি। নানা চড়াই–উৎরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালের শেষদিকে ব্লুমবার্গের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পূর্ণকালীন কর্মী হিসেবে নিয়োগ পাই।