'অল ইজ ওয়েল' - হামলার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

ইরাকে মার্কিন দুই বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনায় টুইটে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘সব ঠিক আছে! এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, ভালো হয়েছে!’

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামলার ব্যাপারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলা হলেও পরে হোয়াইট হাউস জানায়, এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ক্যামেরার সামনে আসবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুসারে এখন সেখানে মঙ্গলবার গভীর রাত।

তবে জাতির উদ্দেশে ভাষণ না দিলেও টুইটে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। হামলার ঘটনার পর এটিই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া। আজ বুধবার সকালে বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, টু্ইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সব ঠিক আছে! ইরাকে অবস্থিত দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে এখন। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, ভালো হয়েছে! এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী রয়েছে আমাদের! কাল সকালে আমি বিবৃতি দেব।’

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ইরাকের যে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরান হামলা চালিয়েছে, সে দুটি হলো আল-আসাদ ও ইরবিল। সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল। প্রাথমিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়েছে ইরান।

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য মার্কিন সেনারা প্রস্তুত।

সিএনএন জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় এ মুহূর্তে (যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার রাত) নতুন কোনো বিবৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হামলার ব্যাপারে এখন কোনো বক্তব্য দেবেন না। এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন প্রেসিডেন্ট।’ ওই সময় হামলার ব্যাপারে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে শুরুতে জানানো হয়। তবে এখন বলা হচ্ছে, ‘আজ রাতে (স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত) আর ক্যামেরার সামনে আসবেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’ এদিকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপের সহ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউস ছেড়ে গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বেসামরিক মার্কিন বিমানগুলোকে ইরাক, ইরান, পারস্য ও ওমান উপসাগরের ওপর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।