পলাতক মানুষ

পেছন ফিরে যে লোকটি মাটি কোপাচ্ছিল, এতক্ষণে তার চেহারা দেখা গেল। দাঁড়ি-গোঁফে মুখ পুরোটাই ঢাকা। মাথায় বাবরি চুল। চোখে চোখ পড়তেই সুমনের মনে হলো লোকটা এই অঞ্চলের লোক নয়। এ অঞ্চলে মূলত চাকমা ও মারমাদের বাস। চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি রোডের কাউখালী হয়ে সাত-আট মাইল ভেতরে এমন গহিন পাহাড়ের মাঝে আদিবাসীরাই বসবাস করে। বাঙালিদের বসতি এখান থেকে বেশ দূরে।
—কাকা কেমন আছেন? কী নাম আপনার?
কথা শেষ হওয়ার আগেই কোদাল ফেলে লোকটা বাড়ির ভেতরে চলে গেল।
চেয়ার মুছতে মুছতে উষাতন চাকমা উত্তর দেন, ও বাঙালি। ওকে আমরা বাঙালি বলেই ডাকি। আসল নাম কী তা কেউই জানে না। আমাদের সঙ্গে আছে প্রায় ২০ বছর।
উষাতন চাকমা এ অঞ্চলের হেডম্যান, স্থানীয় প্রতিনিধি। কিছুটা লেখাপড়া জানেন। উপজেলা অফিসে বসে এর আগে একদিন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তাঁর আমন্ত্রণেই আজকের এই স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন।
এমন গহিন অরণ্যে অন্য অফিসার দূরে থাক, পুলিশও আসে না। ইদানীং এই প্রকৃতির কোলে প্রাকৃতিক জীবন যাপনের মাঝেও ভর করেছে রাজনীতির ভূত। মাঝেমধ্যেই খুনোখুনির ঘটনা ঘটে। কিডন্যাপের ঘটনাও ঘটছে। সে সময় হেডম্যান কারবারির মতো স্থানীয় প্রতিনিধিদের ডাক পড়ে সেনা ক্যাম্পে। অনেক সময় তাদের সহযোগিতায় উদ্ধারও হয়। এ নিয়ে নানা কানাঘুষাও আছে অবশ্য। সুমন এ সবই জেনেছে মাস তিনেক আগে, যখন ঢাকা থেকে তারা এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আসে।
সে সময়েই উষাতন চাকমার সঙ্গে আলাপ। উষাতন নিজেও এক ইতিহাসের উত্তরাধিকার। তিনি নাকি কোনো এক চাকমা রাজা বিজয়গিরির বংশধর। বিজয়গিরি মুঘলদের যুদ্ধে পরাজিত করে এই এলাকায় চাকমা রাজত্ব অব্যাহত রেখেছিলেন। তার প্রমাণ হিসেবে উষাতন বলেছিল, এখন রাঙামাটি রাজবাড়িতে ফতে খাঁ নামে যে কামান রাখা আছে, সেটি বিজয়গিরি মুঘলদের যুদ্ধে পরাজিত করে অধিকার করেছিলেন। যদিও সুমনের রাঙামাটি রাজবাড়িটি এখনো দেখা হয়নি। ইচ্ছা আছে কখনো রাজবাড়ি গেলে কামানটা খুঁজে দেখবে। আপাতত সে এই গহিন পাহাড়ের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তা দেখেই বিমোহিত। মোটরসাইকেলে আসার পথে বিপৎসংকুল পাহাড়ি রাস্তার কথা ভুলে অবাক হয়ে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থেকেছে। আর ভেবেছে, মানুষ অযথাই কক্সবাজার আর রাঙামাটি ভ্রমণে যায়। সকল সৌন্দর্য তো লুকিয়ে আছে এই পাহাড়ের গহিনে। বিশাল সব পাহাড়। সবুজ বনানী। ঝরনা থেকে নেমে আসা ছোট ছোট খাল, যাকে ওরা ‘ছড়া’ বলে। পাঁচ মাইল মোটরসাইকেলে আসার পর এমনই এক পাহাড়ি ছড়া পার হয়ে তিন মাইল হেঁটে তারপর উষাতনের বাড়ি।
সুমন যেহেতু কুষ্টিয়ার মতো সমভূমি এলাকায় বড় হয়েছে, তাই তার কাছে পাহাড়ের সবকিছুই নতুন ও বিস্ময়কর মনে হয়। এই যেমন আসার পথে একটা গাছের নিচে বানানো মাচার ওপর দেখল মাটির কলস রাখা। সেই মাচার ওপর ছোট্ট ছাউনি দেওয়া। স্থানীয় মহিলারা ঝর্ণার জল ভরে ওখানে রাখে পিপাসার্ত পথিকের জন্য। সুমন নিজে সে জল খেয়ে দেখেছে। ফ্রিজের জলের মতো ঠান্ডা। আর সহকর্মীদের বলেছে, প্রশিক্ষণে এদের আপনারা যা শেখাবেন, তার চেয়ে বেশি শেখার চেষ্টা করবেন। কখনো ভাববেন না আপনারাই সবকিছু শেখাতে এসেছেন, ওদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। সম্পূর্ণ অজানা একটি জগৎ।
প্রশিক্ষণ শুরু হতেই সুমন উষাতনকে বলে উঠে পড়ল প্রকৃতি দর্শনে। উষাতন সঙ্গে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু সুমন তাকে নেয়নি। বলেছে, ‘আপনি সঙ্গে গেলে তো আর অ্যাডভেঞ্চার থাকবে না। আমি পাহাড়ের এই অপার সৌন্দর্য একা উপভোগ করতে চাই।’
ইচ্ছা ছিল নতুন পথের সন্ধান করা। নতুন কিছু দেখা। কিন্তু সে পুরোনো পথেই পা রাখল। একটা পাহাড় কেটে মাঝ দিয়ে বানানো রাস্তা। সেটা পার হয়ে অন্য একটা পাহাড়ের ধার ঘেঁষে আঁকাবাঁকা পায়ে চলা রাস্তা। এই পাহাড়টা পার হতেই একটু সমভূমি মতো। সেখানে কয়েকটা বাড়ি, একটা ছোট দোকান। সুমন দোকানের সামনে কিছুটা সময় বসে। দোকানির সঙ্গে দু-এক কথা বলে ভাব জমানোর চেষ্টা করে। ভাষার কারণে ঠিকমতো ভাব জমে না। সুমন ফেরার পথে পা বাড়ায়। পাহাড়ের পাশের পায়ে হাঁটা রাস্তাটা দু পাশের ঘাস বেড়ে প্রায় ঢেকে আছে। হঠাৎ একটা বড় আকারের সাপ সুমনের সামনে দিয়ে গিয়ে একটা গর্তে ঢুকে পড়ল। সুমন হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এখন সে কী করবে? সামনে এখনো প্রায় আধা মাইল পথ। ঘাসে পথ ঢাকা। মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘাসের ভেতর থেকে আরেকটা সাপ বের হবে। ভয়ে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। পা দুটো যেন অবশ হয়ে আসছে। নিশ্বাস বন্ধ করে চোখ বুঁজে দৌড়ে যাওয়ার মতো সে যখন উষাতনের বাড়িতে এসে পৌঁছাল, তখন সারা শরীর ঘামে ভেজা।
সব শুনে উষাতন বলল, ‘ভয় নাই। বাঙালি ওঝা মানুষ। সে আপনাদের এগিয়ে দেবে। আর গর্তটা দেখিয়ে দেবেন, ও ঠিকই সাপ খুঁজে বের করবে।’
উষাতন বাঙালি লোকটাকে ডেকে ঘটনা বলল। লোকটা একটা পাখা নিয়ে বাতাস দিচ্ছে। সুমন জামা-জুতা খুলে বসেছে। এখনো শরীর ঘামছে তার। ভয়ের রেশ কাটেনি। ‘পায়ে কেটেছে?’ বিস্ময় নিয়ে বাঙালি প্রশ্ন করল সুমনকে; শুদ্ধ বাংলায়।
-না, ওটা সাইকেলে কাটা। ছোটবেলায় আমাদের প্রতিবেশী এক কাকা বিয়ে করে নতুন ফোনিক্স সাইকেল পেয়েছিলেন। আনন্দ করে সেই নতুন সাইকেলে উঠে পা কেটেছি। সাপে কাটলে কি আর আমি এতক্ষণ বেঁচে থাকতাম!
সুমনের ইচ্ছা বাঙালির সঙ্গে কিছুটা ভাব জমানো। যদি তার মুখ থেকে তার অতীত সম্পর্কে কিছু জানা যায়। কিন্তু সে সুযোগ পাওয়া গেল না। হঠাৎ সে তার পাখা রেখে বাড়ির ভেতরে চলে গেল।
প্রশিক্ষণ শেষে যে আপ্যায়ন পর্ব ছিল, সেটা শেষ হওয়ার পর সবাই দল বেঁধে রওনা হয়। বাঙালি সবার সামনে। তার হাতে একটা বাঁশের লাঠি আর লোহার শাবল। সবার মনের ভেতরে একটা ভয় ঢুকেছে। সাপ দেখা গেছে এমন একটা চিকন রাস্তা, যা আবার ঘাসে ঢাকা। বিকল্প রাস্তার সন্ধান করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিন মাইলের জায়গায় সাত মাইল হাঁটতে হবে। দুটি বড় ছরা পার হতে হবে। তা ছাড়া রাস্তাটাতে অন্য বিপদের আশঙ্কাও আছে। শেষ পর্যন্ত বাঙালিকে ভরসা করেই রওনা হওয়া। সবাই লাইনের মাঝামাঝি থাকতে চায়। কেউ পেছনে বা সামনে যেতে চায় না। নিজেদের পায়ের শব্দেই মাঝেমধ্যে চলা থেমে যাচ্ছে।
সুমন ভাবছিল জায়গাটা সে চিনতে পারবে তো? কিন্তু সে চিনতে পারল। পথের পাশেই ঘাসের ফাঁকে বেশ একটা বড় গর্ত। সুমন বাঙালিকে দেখাল। এই গর্তটাতেই সাপটা ঢুকেছে। বাঙালি গর্তের পাশের ঘাসগুলো পরিষ্কার করে মাটিতে কান পেতে বোঝার চেষ্টা করল সাপটা সেখানে আছে কি না। সুমনের যুক্তিনির্ভর মন বলছিল, বাঙালি শেষ পর্যন্ত বলবে যে, এখানে কোনো সাপ নেই। তাতে সাপটাও বাঁচে, আবার তার কেরামতিও বাঁচে। কিন্তু বাঙালি বলল, সাপটা এই গর্তেই আছে।
উষাতন ঠিক করল দুজন স্থানীয় ছেলে বাঙালির সঙ্গে থাকবে। বাকিরা সবাই রাস্তার মাথায় দোকানটার সামনে গিয়ে অপেক্ষা করবে। ‘গর্তে ঢুকে সাপ আমার কাছ থেকে বাঁচতে পারবে না। ওরে আমি মারবই’ , বলল বাঙালি।
সুমনদের দলটা যখন দোকানের দিকে পা বাড়াল, তখন বাঙালির এই কথাটা তার মাথার মধ্যে একটা বিদ্যুতের চমক দিল। এই কথাটি কি সে আগেও কোথাও শুনেছে? সুমন লোকটার দিকে ফিরে তাকাল। চোখাচোখি হলো। শুধু দুটি আত্মবিশ্বাসী চোখ ছাড়া দাড়িগোঁফের মাঝে আর কিছুই খুঁজে পেল না। মনে পড়ল, স্কুলে পড়ার সময় তার পড়ার ঘরে একটা সাপ ঢুকেছিল। সবাই লাঠিসোঁটা নিয়ে যখন সাপটাকে মারার জন্য চেষ্টা করছিল, তখন সাপটা একটা গর্তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। লেজ বেরিয়ে আছে।
তখন হাজির হলো সুমনের এক প্রতিবেশী কাকা। সাধন কাকা। সে ছোটবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বেদের দলের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। অনেক বছর পরে কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসেছে। রটনা ছিল যে, সে নাকি বেশ কয়েক বছর কামরূপ কামাখ্যায় থেকে অনেক রকমের জাদুটোনা, সাপের মন্ত্র শিখে এসেছে। কেউ বিশ্বাস করে, কেউ করে না। সেদিন সবাই তাকে ধরে বসল, আজ সাপ মেরে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সে কত বড় ওস্তাদ হয়ে ফিরেছে। তারপর কীভাবে সে সাপটাকে বের করে মেরেছিল, তা সুমন ছোট থাকার কারণে দেখার সুযোগ পায়নি, অথবা মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে যে, সাপটা সে মেরেছিল।
সাধন কাকার বিয়ের কথাও তার বেশ মনে আছে। ছেলে যাতে আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সাধন কাকাকে বিয়ে দেওয়া হয়। সে বিয়েতে যৌতুক ছিল একটা ডবল রডের চায়না ফোনিক্স সাইকেল। সাধন কাকার বউ খুব সুন্দরী ছিলেন। সুমনকে বেশ আদর করতেন। সুন্দরী হওয়ায় অল্প দিনেই সবার বেশ নজর পড়েছিল। নজর পড়েছিল সুমনদের গ্রামের এনাম মেম্বরের। তা নিয়ে তখন পাড়ায় অনেক কানাঘুষা হতো। সুমন সেসবের অর্থ তখন বুঝতে না পারলেও বড় হয়ে বুঝেছে।
একদিন রাতে সাধন কাকা স্বপ্নে পাওয়া মানুষের মতো মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে বাড়ির বাইরে বাঁশঝাড়ের সামনে এসে দাঁড়ান। সেদিন ছিল ফাল্গুন মাসের কোনো এক পূর্ণিমার রাত। চাঁদের আলোয় বাঁশঝাড়ের মাঝে একটা আলো-আঁধারি পরিবেশ। তার মাঝে দুটি সাপ ফণা তুলে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে খেলা করছে। সাধন কাকা বাড়ির ভেতরে গিয়ে একটা বল্লম ও লাঠি নিয়ে ফিরে এলেন। ফণা তোলা সাপ দুটো তখন বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিচু গর্তের দিকে নেমে গেছে। সেখানে আঁধারের ঘনত্ব একটু বেশি। তবু দেখা যাচ্ছে শঙ্খ লাগা সাপ দুটোকে। সাধন কাকা নিঃশব্দে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁশের শুকনো পাতায় পা পড়ে মচমচ শব্দ করে ওঠে। বাঁশঝাড়ের কোনো একটা পাখি ডানা ঝাপটা দেয়। সাপ দুটো সচকিত হয়ে ওঠে। সাধন কাকা তখন বল্লম ও লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ‘গর্তে নেমে তোরা বাঁচতে পারবি না। আমি তোদের মারবই’—কেউ কেউ নাকি সেদিন রাতে এমন চিৎকারের শব্দও শুনেছিল।
পরদিন সকালে সাধন কাকার বউ ও এনাম মেম্বরের লাশ পাওয়া গেল বাঁশঝাড়ের ভেতরে। পাশে একটা বল্লম ও লাঠি পড়ে আছে। এনাম মেম্বরের লোকজন সাধন কাকাদের বাড়িসহ বেশ কয়েকটা বাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ আসে। সেই থেকে সাধন কাকা নিরুদ্দেশ। এই সব বিশ-বাইশ বছরের পুরোনো স্মৃতি। যখন সুমনের মাথার জট খুলছে, তখন উষাতন বলল, ‘ওই যে পাহাড়ের ওপর তাকায়ে দেখেন ওরা আসছে।’
সুমন চোখ তুলে পাহাড়ের দিকে তাকায়। তিনজন মানুষ নেমে আসছে; চেহারাগুলো তখনো স্পষ্ট নয়। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। যখন কাছে এল, তখন দেখা গেল প্রায় চার হাত লম্বা একটা সাপ মেরে লাঠিতে পেঁচিয়ে নিয়ে এসেছে। বাঙালি নামের লোকটা লাঠিসহ সাপটা যখন সুমনের সামনে রাখল, তখন হঠাৎ সুমনের নজর পড়ল লোকটার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির সঙ্গে একটা ছোট আঙুল জোড়া দেওয়া। এই আঙুলটা সুমনের ছোটবেলা থেকে চেনা। সাধন কাকার এই আঙুলটায় ছিল তার বিশেষ আকর্ষণ। সুমন লোকটার চেহারার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু দাঁড়ি-গোঁফে ঢাকা চেহারায় কিছুই বোঝা যায় না। তবু পলাতক মানুষের দুটো অপরাধী চোখ চিনতে সুমনের কষ্ট হয় না।
লোকটা সুমনদের সঙ্গে ছড়া পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। ছড়ার ওপারে সুমনদের মোটরসাইকেলগুলো রাখা। সুমন লোকটাকে কাছে ডেকে বিদায় নিল, ‘সাধন কাকা, ভালো থাকবেন। কোনো দরকার হলে উষাতনকে বলবেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে।’
ছড়া পার হয়ে সুমনরা যখন মোটরসাইকেলে স্টার্ট দিল, তখনো সাধন কাকা ছড়ার ওপারে দাঁড়িয়ে পায়ের আঙুল দিয়ে মাটি খুঁড়ছেন। মাথাটা নিচু করে কী যেন ভাবছেন। সাধন কাকার চোখ থেকে কি জল ঝরছে? দূর থেকে আর দেখা যায় না।